ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৪৬ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৪-০৩-২০২৫)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৪৬ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই হালকা একটু নাস্তা খেয়েছিলাম। তারপরে পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। পুকুরে মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে বেশ কিছু সময় বসে ছিলাম। গত ৮ তারিখে আমার বাইরের দেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু প্লেনের টিকিট পাওয়া যায়নি এই কারণে যাওয়া মিসটেক হয়েছে আশা করছি খুব দ্রুত চলে যাব কয়েক দিনের মধ্যেই। চেষ্টা করছি এর মাঝেও প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে নিজের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে এগারোটার দিকে ব্যাংকে গিয়েছিলাম একটু বাড়ির কাজের জন্য। কাজ শেষ করে বাড়িতে এসে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের সিলেট ভ্রমণের পোস্ট আপনাদের সাথে আরও বিস্তারিত শেয়ার করা যাক......
আপনারা প্রথমে উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই চমৎকার ভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি শেয়ার করেছি। আসলে সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলাম আমি আমাদের কলেজ থেকে। আসলে কলেজ লাইফে বন্ধু-বান্ধব এবং সকল স্যার ম্যাডামদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। আমরা যখন কলেজ থেকে শিক্ষা সফর গিয়েছিলাম তখন আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়েছিলাম। সেখানে আমাদের কলেজের সকল স্যার ম্যাডাম এবং সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগেই শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে আমরা সবাই বলেছিলাম আমরা এবার দূরে কোথাও শিক্ষা সফর করতে চাই। তাই আমাদের কলেজ থেকে সর্বমোট পাঁচ দিনের ট্যুরে নিয়ে গিয়েছিল সিলেট দর্শনীয় জায়গা গুলো দেখার জন্য। আমরা সেখানে তিনদিন অবস্থান করেছিলাম এবং দুইদিন যাওয়া আসার পথে শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে একটি পাহাড়ি ঝর্ণা ছিল আমরা সেখানে পাথরের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ঝরনার উপরে উঠে চলে গিয়েছিলাম। পাথরের গা ফেটে পানি বের হচ্ছিল আমি এবং আমার বন্ধু পারভেজ দুজন সেখানে উঠেছিলাম দেখার জন্য এবং সেখান থেকে দুজন বেশ চমৎকারভাবে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
এবার আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন সিলেট ভ্রমণে দ্বিতীয় দিন আমরা গিয়েছিলাম সিলেট রাতারগুল দেখার জন্য। আসলে রাতারগুল জায়গাটি হচ্ছে অত্যন্ত সুন্দর সত্যিই যদি কখনো চক্ষু মেলে দেখা যায় বেশ ভালো লাগবে। সেখানে আমরা নদীপথ পাড়ি দিয়ে রাতারগুল জায়গাটি দেখতে গিয়েছিলাম। নদী পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য আমরা নৌকায় বেশ কিছু সময় নদীর মধ্যে পাড়ি দিয়েছিলাম। নৌকার মাঝি আমাদের সাথে গান বলতে বলতে গানের তালে তালে আমরা নৌকায় নদী পথ পাড়ি দিয়েছিলাম। আসলে সেই জায়গাগুলো ভ্রমণের সময় কি যে ভালো লেগেছিল সেই স্মৃতিগুলো এখনো মনে ভেসে বেড়ায় ছবিগুলো দেখলে। নৌকাই কিনারায় বসে আমি বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম এবং নদীর মধ্যে পানি হাত দিয়ে নাড়াচ্ছিলাম এবং সেই সময় ছবি তুলেছিলাম ছবিগুলো দেখতেও বেশ দারুন ছিল। এভাবেই প্রায় আধা ঘন্টা নদী পথ পাড়ি দেওয়ার পরে আমরা রাতারগুল পিকনিক স্পট গিয়ে পৌঁছেছিলাম।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি চমৎকারভাবে আবারো আপনাদের মাঝে দুটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। রাতারগুল পিকনিক স্পট পৌঁছানোর পরে আমরা সেখানে বেশ কিছু সময় হাটাহাটি করেছিলাম এবং বন্ধুদের মধ্যে নিজেরাই বেশ কিছু টপিক্স নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আসলে সেখানে ঝিরিঝিরি বন জঙ্গল এবং গাছপালা সত্যি আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছে। আসলে সেই জায়গায় বর্ষার সময় দেখতে সব থেকে বেশি সুন্দর কিন্তু আমরা গিয়েছিলাম শীত মৌসুমী। আসলে সেই জায়গাটি দেখতে সত্যি অত্যন্ত সুন্দর আমরা সেখানে বন্ধুবান্ধবসহ আরো অনেকেই জায়গা ভ্রমণ করতে এসেছিল সকলের বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম এবং সেখানে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিজেরা ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
পোস্ট তৈরির বিবরণ
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://x.com/kibreay001/status/1900580302185001056?t=_bxnDjXHKXXXGOU1sbVpQw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি তো দেখছি সিলেট ভ্রমণ করতে গিয়ে বেশ অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলেন। আপনার এই ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারলাম আপনাদের সিলেট ভ্রমণটা অনেক আনন্দের ছিল। মধ্যে আপনি অনেকগুলো পোস্ট শেয়ার করেছেন। আজকে আবারো আরো একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ভালো লেগেছে দেখে।
আসলে সিলেট ভ্রমণে গিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক ফটোগ্রাফি মোবাইল ফোনে ধারণ করেছিলাম।
শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানে বন্ধু এবং স্যার ম্যাডামদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার অনুভূতি আলাদা। এটা আপনি একেবারে ঠিক কথা বলেছেন ভাই। পরবর্তী সময়ে এই সময়গুলো আর ফিরে পাওয়া যায় না। জীবনে যা হারিয়ে যায় তা তো চিরদিনের জন্যই হারিয়ে যায়। তবে থেকে যায় কিছু স্মৃতির মুহূর্ত। আর আমরা সারা জীবন সেই স্মৃতিগুলোকেই আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই।
ঠিক বলেছেন ভাই পরবর্তী সময়ে এই সুন্দর মুহূর্তগুলো আর কখনোই ফিরে পাওয়া সম্ভব না।
কমিউনিটির অ্যাডমিন (রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স) সুমন ভাই ইতিপূর্বে কয়েকটি হ্যাংআউটে ভ্রমণ সংক্রান্ত পোষ্ট নিয়ে কথা বলেছিলেন এবং ইউজারদের গাইড/নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন। কিন্তু আপনি সেটা মানছেন না। কোন একটি ভ্রমণ নিয়ে একাধিক পোষ্ট (মানে অসংখ্য পোষ্ট) এবং শুধুমাত্র সেলফি নিয়ে পোষ্ট সংখ্যা বাড়াতে নিষেধ করেছিলেন। কারণ সেলফি নিয়ে পোষ্ট করার মাঝে কোন মহত্ব নেই। এই বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং পরবর্তীতে এমন হলে পোষ্ট কিউরেশনে যাবে না। প্রয়োজনে পোষ্ট মিউটও করা হতে পারে। ধন্যবাদ
বিষয়টি পরবর্তী থেকে আমার মাথায় থাকবে ধন্যবাদ ভাই।