ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৪৫ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৮-০২-২০২৫)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৪৫ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হালকা নাস্তা খেয়ে বেশ কিছু সময় রুমের মধ্যেই বসে ছিলাম। তারপরে হঠাৎ কিছু সময় পরে দেখি মামা ফোন দিয়েছে তারপরে মামা বলল নিচে যেতে হবে একটু বাজারে। তারপরে আমি এবং মামা দুজন মিলে বাজার করার জন্য আমাদের রুমের পাশে একটি বড় বাজার আছে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বেশ কিছু সবজি সহ আরো অনেক কিছু কেনাকাটা করলাম তারপরে বাজারে বেশ কিছু সময় বসে ছিলাম আসলে সেখানে সুন্দর বসার কিছু জায়গা আছে। সেখানে সুন্দর একটি খেলার মাঠ রয়েছে সেখানে অনেক মানুষ ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলা খেলছিল আমরা সেখানে বসে বেশ কিছু সময় খেলা দেখেছিলাম। তারপরে আমি এবং মামা দুজন মিলে রুমে চলে আসলাম মামা এসে সবজিগুলো কাটার পরে রান্না শুরু করল তখন আমি মোবাইল ফোন বের করে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য চলে আসলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক..........
আপনারা প্রথমে উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই চমৎকারভাবে দুইটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে সিলেট ভ্রমন ছিল আমার জীবনে অত্যন্ত স্মরণীয় কিছু মুহূর্ত। আসলে সিলেট ভ্রমণের আগে আমি কখনো এত বড় ট্যুর দিয়েছিলাম না। সিলেট ভ্রমনে আমরা প্রায় চার দিন সিলেট শহরে অবস্থান করেছিলাম। আসলে আমাদের কলেজ থেকে সকল বন্ধুবান্ধব শুধুমাত্র আমরা সেকেন্ড ইয়ারে যে সকল ছেলেমেয়েরা পড়তাম তাদেরকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিলেট ভ্রমণে। আসলে আমরা সেখানে সকল বন্ধু-বান্ধব এবং স্যার ম্যাডাম মিলে বেশ আনন্দ উদযাপন করেছিলাম। তবে আমার সাথে সিলেট ভ্রমণে আমার সবথেকে কাছের বন্ধু গিয়েছিল। আমি ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পর্বে লিখেছি আমার সব থেকে কাছের বন্ধু ছিল পারভেজ। আসলে সেই ছোট্টবেলা থেকেই তার সাথে লেখাপড়া থেকে শুরু করে ম্যাচ লাইফেও তার সাথে রুম শেয়ার করা সবকিছু দুজন একসাথে বলতে পারেন বন্ধু আবার বলতে পারেন দুই ভাই। আসলে তার সাথে সম্পর্কটা খুবই দারুণ ছিল আমার। আসলে তখন আমি নতুন মোবাইল ফোন কিনেছিলাম এবং ডিএসএলআর ক্যামেরায় যে সকল ছবিগুলো তোলা হয়েছিল সব ছবিগুলো আমার মোবাইল ফোনে নেওয়া হয়েছিল। সবমিলে সব বন্ধুদের ছবি আমার কাছে মোটামুটি রয়েছে। এর মধ্য থেকে সব ছবিগুলো তাদেরকে দেওয়া হয়েছে এবং কিছু কিছু ছবি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে রেখে দিয়েছে। সেই ছবিগুলো দিয়ে আমি আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করি।
আপনারা উপরে এবার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো খুবই চমৎকারভাবে দুইটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। জাফলং ঘোরাঘুরি শেষ করে বিকেল বেলায় আমরা পাহাড়ের উপর জাফলং জিরো পয়েন্ট দেখার জন্য উঠেছিলাম। জাফলং জিরো পয়েন্টের ওইখানে বাংলাদেশ এবং ভারত দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী ছিল। জিরো পয়েন্টের ওই জায়গাটা দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছিল। সব মিলিয়ে জিরো পয়েন্ট দেখা শেষ করে আমরা সেখান থেকে অনেক দূর পায়ে হেঁটে আমাদের বাসের কাছে এসে পৌঁছেছিলাম। সেখান থেকে আমরা সন্ধ্যায় আবারো সিলেট শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম সেখানে এসে একটা হোটেল ভাড়া নিয়েছিলাম তারপরে রুমে গিয়ে গোসল শেষ করে ফ্রেশ হয়ে আমরা খাবার জন্য আবারো হোটেলের নিচে এসেছিলাম। সেখানে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রাতে আবারো আমরা রুমে গিয়ে সকল বন্ধু-বান্ধব বেশ দারুন ভাবে আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম। সত্যি বলতে বন্ধুবান্ধব যখন সবাই মিলে একসাথে থাকা যায় সেই মধুর স্মৃতিগুলো কখনো ভোলা যায় না মাঝে মাঝেই কষ্টের মুহূর্তে সেই মধুর স্মৃতির কথা মনে পড়ে। তবে এখন আমার সেই স্মৃতিগুলো বেশি মনে পড়ে যেহেতু সিঙ্গাপুর আসার পরে একাকীত্ব সময় পার করছি।
সবার শেষে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও খুব চমৎকারভাবে দুটি আমার নিজের ছবি ক্যামেরা বন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। দ্বিতীয় দিন আমরা ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর গিয়ে পৌঁছানোর পরে আমরা যেখানে বাস রেখেছিলাম সেখান থেকে বাংলাদেশ এবং ভারত দুই দেশের মোটামুটি সব কিছু দেখা যাচ্ছিল। সেখানে উঁচু পাহাড় ছিল সেই পাহাড়ের উপরে উঠে আমরা সব কিছুই উপভোগ করেছিলাম। তারপরে সেখান থেকে নৌকা ভাড়া করে আমরা ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমরা সকল বন্ধু-বান্ধব একসাথে নদীর মধ্যে গোসল করার জন্য নেমে পড়েছিলাম। আসলে পানির তীব্র ঢেউছিল বেশ ভালো লাগছিল দেখতে। সব মিলিয়ে গোসল শেষ করে সেখানে আবারো ড্রেস চেঞ্জ করে নতুন ড্রেসে বেশ দারুন ভাবে ছবি তুলেছিলাম। চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে প্রত্যেকটি পর্ব সুন্দরভাবে সাজিয়ে লিখে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
পোস্ট তৈরির বিবরণ
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://x.com/kibreay001/status/1895319388141822404?t=diHdj53aCwRvlliU_eMTpQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সবার সাথে আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন সিলেট ভ্রমণে গিয়ে। আপনার কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত পর্ব আকারে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করছেন। সবাই মিলে কিন্তু এভাবে নদীর মধ্যে গোসল করলে অনেক বেশি ভালো লাগে। যাই হোক আশা করি পরবর্তী পর্বগুলো এভাবে সুন্দর করে শেয়ার করবেন।
ঠিক বলেছেন আপু সবাই মিলে একসাথে নদীর মধ্যে গোসল করলে বেশ ভালো লাগে।
মামা ভাগ্নে মিলে তাহলে বাজার করেই ফেলেছেন। তাহলে সিঙ্গাপুরে আপনার মোটামুটি ভালই সময় কাটতেছে। যাই হোক সিলেট ভ্রমণের আপনার ৪৫ তম পর্বে আরো চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। সেই সাথে বর্ণনা গুলো দারুন হয়েছে। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই পর্বটি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
আলহামদুলিল্লাহ ভাই মোটামুটি সিঙ্গাপুরে ভালো সময় কাটতেছে ধন্যবাদ মতামত তুলে ধরার জন্য।