লাইফ স্টাইল // মামা ভাগ্নের খাওয়া দাওয়ার কিছু মুহূর্ত

in আমার বাংলা ব্লগ20 hours ago

হ্যালো.........!!
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৭-০১-২০২৫)

IMG_20250112_121506.jpg

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল // মামা ভাগ্নের খাওয়া দাওয়ার কিছু মুহূর্ত। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই বেশ কিছু সময় বাড়িতেই বসে ছিলাম। তারপরে হাতমুখ ধুয়ে সকালের নাস্তা শেষ করে বাড়িতেই ছোট্ট ছেলেদের সাথে আড্ডা দিয়েছিলাম। যেহেতু কয়েকদিন আগে অপারেশন করে এসেছি তাই শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ তাও বাড়ি থেকে কোথাও যেতে পারছি না তাই বাড়িতে সারাদিন পার করতে হচ্ছে। এর মাঝেও চেষ্টা করছি কিছু অবসর সময় পেলে কিছু পোস্ট লিখে রেখে দেওয়ার জন্য। আসলে আমি প্রায় প্রতিনিয়ত আমার অগ্রিম পোস্ট কিছু লিখে আমি আমার নোটপ্যাডে লিখে রাখি। আসলে এভাবে যদি আমি কিছু পোস্ট জমা রাখি তাহলে আমার জন্য বেশ ভালো হয়। আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ততার মধ্যে পড়ে যাই তাই চেষ্টা করি এভাবে আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত কাজের অ্যাক্টিভিটি বৃদ্ধি করে রাখার জন্য। তবে চলুন আজকের খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক...........

IMG_20250112_121452.jpg

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে চমৎকার ভাবে একটি ছবি তুলে আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দী করে শেয়ার করেছি। বেশ কিছুদিন আগে আমি তুহিন মামা এবং মুস্তাফিজুর মামার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আসলে আমি অবসর সময় পেলেই চলে যাই নানীদের বাসায় সেখানে তুহিন মামা এবং মুস্তাফিজুর মামা দুজনের সাথে বেশ আড্ডা দিয়ে থাকি। এভাবে তাদের সাথে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম এবং বেশ কিছু মুহূর্ত রয়েছে খুব আনন্দদায়ক। বাড়িতে গিয়ে দেখিয়ে মোস্তাফিজুর মামা বাড়িতে নেই শ্বশুর বাড়িতে গেছে তাই আমি এবং তুহিন মামা বিকেল বেলায় গ্রামে বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করেছিলাম। হঠাৎ সন্ধ্যা মুহূর্তে আমাদের কি মনে হলো আমরা চলে গেলাম গাংনী বাজারে চিকেন গ্রিল খাওয়ার জন্য। আমি এবং মামা সেখানে যাওয়ার পরে আমরা দুজন দুই কোয়াটার চিকেন গ্রিল অর্ডার করেছিলাম। আমাদের সামনে যখনই দুই প্লেট নিয়ে এসে রাখল তখনই আমি আমার মোবাইল দিয়ে বেশ দারুন ভাবে ছবি তুলে রেখেছিলাম। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন।

IMG_20250112_121537.jpg

IMG_20250112_121525.jpg

এবার আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো আপনাদের মাঝে চমৎকার দুটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। আসলে আমরা যেখানে খেতে গিয়েছিলাম সেখানে অনেক মানুষ প্রায় প্রতিনিয়ত শীতের সন্ধ্যায় খেতে যাই। সেখানে চান্দুরার রুটি বানিয়ে কুল পায় না এমন একটা পরিচিতি। আমরা সেখানে কয়েক মিনিট বসে থাকার পরে আমাদের দুইজনকে দুইটা চান্দুরা রুটি দিয়েছিল। আসলে গরম গরম চান্দুরা রুটি খেতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আমি এবং তুহিন মামা সেখানে বেশ দারুন ভাবে মজা করে খেয়েছিলাম এবং আড্ডা এবং খুশ গল্পে মেতে উঠেছিলাম। আসলে আমি এমনিতেই একটু বাইরের ফাস্টফুড খাবার খেতে বেশি পছন্দ করি। প্রায় প্রতিনিয়ত এভাবে আমি সন্ধ্যায় বাইরের খাবার খেয়ে থাকি তাই বাড়িতে প্রায় প্রতিনিয়ত আমাকে অনেক বকাবকি শুনতে হয়। তবে আমার কাছে চিকেন গ্রিলের সস খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। বেশ দারুণভাবে আমি এবং তুহিন মামা আড্ডা দিয়েছিলাম এবং খোঁজ গল্পে মেতে উঠেছিলাম এবং খাওয়া-দাওয়া শেষ করেছিলাম।

IMG_20250112_121551.jpg

এবার আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো আপনাদের মাঝে খুবই চমৎকারভাবে একটি সেলফি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে আমি মাঝেমধ্যেই নানীদের বাসায় যেয়ে থাকি সেখান থেকে আমি এবং তুহিন মামা মোস্তাফিজুর মামা তাদের সাথে প্রায় দিন আমার খেতে যাওয়া হয় বাইরে। আসলে আমি এই সময়টাকে খুবই উপভোগ করি। নিজের স্বাধীনতা মত নিজে ঘুরে বেড়ায় এবং খাওয়া দাওয়া করি এবং সকলকে একটু আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করি। আসলে আমার পাশের মানুষগুলোকে আমি সব সময় হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করি। আসলে শীতের সন্ধ্যায় বাইক চালিয়ে খাবার খেতে যাওয়া সত্যি বেশ মুশকিল তাই আমি তুহিন মামাকে আমার বাইক দিয়েছিলাম চালানোর জন্য। এমনিতেই আমি বাইক চালাতে একটু ভয় পাই শীতের বেলায় তাই আমার সাথে যে থাকে আমি সবসময় তাকে বাইক চালাতে দেই। এভাবেই বেশ দারুন ভাবে শীতের সন্ধ্যায় খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।

✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨

IMG_20240213_153009.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Banner.png

1000061548.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

✨💞আমার লেখা পোস্টটি সকলকে ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ💞✨

Sort:  
 20 hours ago 
1000084902.jpg1000084903.jpg1000084904.jpg
1000084907.jpg1000084909.jpg1000084908.jpg
 20 hours ago 

অনেক ভালো লাগলো আপনাদের মামা ভাগ্নে একসাথে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্তগুলো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন দেখে। অনেক সুন্দর আপনারা, খাওয়া দাওয়া করেছেন। মাঝেমধ্যে এভাবে যদি বাইরের পরিবেশে খাওয়া দাওয়া করতে পারা যায় তাহলে সেখানে কিন্তু অন্যরকম ভালোলাগা খুঁজে পাই আমরা।

 20 hours ago 

মামা ভাগ্নে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। দুজনে মিলে চিকেন গ্রিল এবং তুন্দুল রুটি খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। এই খাবারটা আমারও খুব পছন্দের। ছবিগুলো দেখে লোভনীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু ছিল। আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 19 hours ago 

বাহ মামা ভাগ্নে দুজনে হোটেলে গিয়ে দারুন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। চিকেন গ্রিল খাওয়ার দারুন মোটামুটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে বেশ মজা করে জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন। এখন সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 16 hours ago 

বেশ দারুন অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে মামা। মামা ভাগ্নে একসাথে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। আরশি খাবার যদি হয় কোন রেস্টুরেন্টে তাহলে তো কথাই নেই। অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর মুহূর্ত দেখে।

 16 hours ago 

মামা ভাগ্নে মজা করে খাওয়ার পাশাপাশি সেলফি শেয়ার করেছেন। দেখে বুঝতে পারলাম অনেক সুন্দর ভাবে আপনারা ইনজয় করেছেন এই মুহূর্তটা। আপনাদের দুজনার মাঝে বারবার ফিরে আসুক এমন সুন্দর আনন্দের সময়। অনেক অনেক শুভকামনা করি।