লাইফ স্টাইল // মাঠের সবজি দেখতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল // মাঠের সবজি দেখতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। প্রত্যেক দিনের ন্যায় আজকেও ঘুম থেকে ওঠার পরে বাইক নিয়ে মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। মাছের খাবার দিতে যাওয়ার সময় আমাদের এলাকায় প্রবল জোরে বৃষ্টি হয়েছে বৃষ্টিতে ভিজে সকালবেলায় শেষ পুরোই। মাছের পুকুরে পৌঁছাতেই দেখি আমাদের পুকুরে অনেকগুলো মাছ মরে গিয়েছে সত্যি কি যে মন খারাপ হয়েছিল বলে বোঝানো যাবে না। আসলে অনেকদিন ধরে যেহেতু আমি নিজের হাতে পরিচর্যা করছি সেগুলো যদি নিজের চোখে সামনে মারা যায় সত্যি একটু কষ্ট লাগে। আমি পুকুরের মধ্যে নেমেছিলাম তারপরে মাছগুলো সব উপরে তুলেছিলাম তারপরে মামার কাছে ফোন দিয়ে মাছের জন্য ওষুধ নিয়ে আনতে বলেছিলাম। ওষুধগুলো পুকুরে ছিটিয়ে দিয়ে কিছু সময় সেখানে বসে থেকে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......

আপনারা প্রথমে উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি প্রথমে আপনাদের মাঝে আমাদের পটেলের সবজি বাগান ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে প্রত্যেক বছর আমরা মাঠে বিভিন্ন ধরনের সবজি ফসল চাষ করে থাকি। আসলে আমাদের মাঠে প্রায় পুরো জমি এক জায়গায় তাই সেখানে আমরা সব সময় সবজি চাষ করে থাকি। আসলে পটল সবজি খুবই ভালো স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকার। পটল সবজি আবাদ করতে হলে অনেকটা খাটনি করতে হয় না। পটলের আবাদ খুবই সহজ। শুধুমাত্র পটল লাগানো থেকে শুরু করে বান দেওয়ার পর্যন্ত একটু কষ্ট আছে তারপরে যখন পটলগুলো ধরা শুরু করবে তখন আর কোন কষ্ট নেই পটলের আবাদে। পটলের গাছে যখন চমৎকার একটি ফুল এসেছিল আমি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদের কাছে দুইটাই বেশ ভালো লাগে। আসলে এবার মাঠে আমাদের প্রায় ১৮ কাঠা জমিতে পটল চাষ করা হচ্ছে।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি খুবই চমৎকারভাবে আপনাদের মাঝে আমাদের পটলের জমি থেকে কয়েকটি পটলের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে পটলের বাগানে গেলে সত্যি আমার মন ভরে ওঠে। প্রত্যেক সপ্তাহে আমরা প্রায় অনেক টাকার পটল বিক্রয় করে থাকি। মূলত কৃষিকাজ আমাদের আয়ের প্রধান উৎস। তাই কৃষিকাজকে আমরা অনেক যত্নশীল ভাবে করার চেষ্টা করি। পটল গুলো দেখতে পারছেন আপনারা এখনো কিছুটা হলেও বেশ ছোট আছে আসলে এই পটলগুলো প্রায় অনেক বড় হবে। আমাদের পটল প্রায় সাত থেকে আটটা এক কেজি ওজন হয়ে থাকে। প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে বাজারে আমার ছোট আব্বু এই পটলগুলো বিক্রয় করতে যাই। আশা করি আপনারা সকলেই কমবেশি পটল সবজি খেতে বেশ পছন্দ করেন। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে পটলের ভর্তা। আপনারা মতামত জানাবেন নিচে আপনাদের পটলের কোন জিনিস খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে।

আপনারা এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি খুবই চমৎকারভাবে আপনাদের মাঝে দুটি সবজি ফসলের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে পটলের জমির পাশে আমাদের ঝালের জমি রয়েছে। সেখান থেকে আমি অনেক সুন্দর ভাবে কিছু মরিচের ছবি সংগ্রহ করেছিলাম। সেখানে আমাদের জমির মধ্যে একটি ওল গাছ ছিল আমি সেই ওল গাছের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে মাটির নিচের কোন কিছু খেতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। যদি এই ওল মাংস দিয়ে রান্না করা যায় খেতে সত্যি বেশ টেস্ট লাগবে। আমি প্রায় প্রতিনিয়ত এমন সবজি খেয়ে থাকি। আসলে বর্তমান সময়ে মরিচের দাম অনেক তাই চেষ্টা করি প্রত্যেক সময়োপযোগী ফসল গুলো মাঠে চাষ করার জন্য।

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দরভাবে আমাদের মরিচের বাগানের মরিচ ফুলের ফটো তুলে শেয়ার করেছি। এবং বেশ কিছু মরিচ হাতের উপরে ধরে রেখে ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে আমি মাঠে যায় না বললেই চলে তবে অনেকদিন পর যখন বাড়িতে আসি তখন মাঠের আবাদগুলো ঘুরে দেখতে সত্যি বেশ ভালো লাগে। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে যখন মাঠে হাটতে বের হয় তখন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আসলে আমাদের পরিবারের সকলেই কৃষি কাজের সাথে জড়িত। আমি যখন সবজি বাগান গুলো ঘুরে দেখতে গিয়েছিলাম তখন সেখান থেকে বেশ কিছু সেলফি তুলে রেখেছিলাম তার মধ্যে থেকে একটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।