লাইফ স্টাইল // স্মৃতির পাতায় পুরনো একদিন
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২২-০২-২০২৫)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল // স্মৃতির পাতায় পূরনো একদিন। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে একটু ব্যস্ততার মধ্যেই দিন কাটছে। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে হালকা একটু নাস্তা খেয়ে মামার সাথে একটু বাজারে গিয়েছিলাম বাজার করার জন্য। বাজার শেষ করে এসে মামা রান্না করছিল আমি তখন রুমের মধ্যে বসে ছিলাম। আসলে আজকে আবার একটু রান্না শেষে খাওয়া-দাওয়া শেষে বাইরে বের হতে হবে তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে সকাল সকাল পোস্ট শেয়ার করি। তাই চলে আসলাম আজকে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনারা সকলে জানেন বেশ কিছুদিন আগে রকি ভাই সহ সোনিয়া আপু এবং মেয়ে আমাদের এলাকায় কিছুদিন আগে বেড়াতে এসেছিল। রকি ভাই বেড়াতে এসেছিল এই কারণে আমরা কয়েকদিন আমাদের এলাকার সৌন্দর্য রকি ভাইকে কিছুটা হলেও ঘুরে দেখানোর চেষ্টা করেছি। আমরা একদিন মাইক্রো নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম সেদিন প্রায় অনেকগুলো জায়গা ঘুরে দেখেছিলাম আমরা। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আলাউদ্দিন নগর পার্কে আমরা কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম সেই মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.........
আপনারা প্রথমে উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি চমৎকারভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। আসলে আমরা যেদিন ঘুরতে বের হয়েছিলাম প্রথমে ঘুরতে গিয়েছিলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ঘোরা শেষ করে আমরা বাড়ি ফেরার পথে আবারো আলাউদ্দিন নগর পার্কের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম। এখানে আমরা আমাদের মাইক্রো গাড়ি স্ট্যান্ডে রাখার পরে টিকিট কাউন্টারে এসেছিলাম। সেখানে রকি ভাই আমাদের সকলের টিকিট কেটে দিয়েছিল। আমরা সকলে যখন টিকিট হাতে পেলাম টিকিট হাতে নিয়ে যখন গেট দিয়ে আলাউদ্দিন নগর পার্কের মধ্যে প্রবেশ করব তখনই আমি একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম সেটিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আলাউদ্দিন নগর পার্কের গেটের সাথেই নবাব সিরাজউদ্দৌলার ছবি স্থাপন করা ছিল। সেখানে সোনিয়া আপু এবং মেয়ে অনেক সুন্দর ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল আমি অনেক সুন্দর ভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছি এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে কয়েকদিনে নাশিয়ার সাথে আমার দারুন একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। চেষ্টা করেছি আমরা সবাই মিলে দিনটা সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্য।
আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো খুবই সুন্দর ভাবে দুটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। আমরা টিকিট কাউন্টারে টিকিট দেখানোর পরে আলাউদ্দিন নগর পার্কের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম। পার্কের মধ্যে প্রবেশ করার পরে আমরা সেখানে অনেক বড় একটি বাড়ি দেখতে পেয়েছিলাম। সেখানে মানুষের কাছ থেকে জানতে পারি এখানেই আলাউদ্দিন সাহেব থাকে। সেখান থেকে আরো অনেক কিছু জানতে পারি তার বাবা-দাদা সেই এলাকার জমিদার ছিল। আসলে তাদের নামে ওই এলাকার নামকরণ করা হয়েছিল এবং ওই এলাকায় স্কুল কলেজ ও তাদের নামে ছিল সব মিলিয়ে তারা বেশ ভালো একটা রক্ষণশীল পরিবার বলা যায়। পার্কের মধ্যে প্রবেশ করার পরে সেখানে সৌন্দর্য আমরা সকলেই উপভোগ করতে থাকি এবং পার্কের মধ্যে অনেক বড় জায়গা ছিল। সেখানে একটি পুকুর ছিল পার্কের মাঝখানে । সব মিলিয়ে মনোরম পরিবেশ আমার কাছে ঘুরে দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল। আমি নিজেও চেষ্টা করি বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করার জন্য আসলে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখতে আমার কাছে সত্যিই বেশ ভালো লাগে এবং সেগুলো স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে আজীবন আমি এটাই মনে করি। তাই আমার অন্যতম শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা।
আপনারা এবার উপরের ছুটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও খুবই সুন্দর ভাবে দুইটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। আসলে পার্কের মধ্যে প্রবেশ করার পরে সেখানে ছোটদের খেলার মত অনেক জায়গা ছিল কিন্তু প্রত্যেকটা জায়গায় টিকিট সংগ্রহ করা হয়েছিল আসলে এটা আমার কাছে একটু অবাক লেগেছিল। আসলে এখানে ছোট ছেলে মেয়েদের জন্য বেশ আকর্ষণীয় একটি জায়গা বলে আমি মনে করি। সেখানে ছোট ছেলেমেয়েদের খেলা করার জন্য বিভিন্ন কক্ষ তৈরি করা আছে কিন্তু প্রত্যেকটা কক্ষতে প্রবেশ করতে গেলে আলাদা আলাদা টিকিট প্রয়োজন হবে। রকি ভাইয়ের মেয়ে প্রথমে বায়না ধরেছিল সেখানে গিয়ে খেলা করবে তাই টিকিট কেটে বাবা মেয়ে দুজন প্রবেশ করেছিল। আমরা বাইরে থেকে নাশিয়ার খেলা দেখেছিলাম এবং আমি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম। বাবা মেয়ে যখন রুমে বন্দী ছিল তখন আমি এবং মোস্তাফিজুর মামা এবং সোনিয়া আপু তিনজন মিলে পুরো পার্কের সৌন্দর্য ঘুরে দেখেছিলাম এবং সেখানে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
আসলে রকি ভাই আমাদের এলাকায় বেড়াতে আশাতে আমরা সকলেই বেশ খুশি ছিলাম তবে আমি আমার নিজের জায়গা থেকে সেই অনুভূতিটা হয়তো বলে প্রকাশ করতে পারবো না আমি কতটা খুশি ছিলাম। তবে সব মিলিয়ে রকি ভাই আমাদের এলাকায় যেই কয়দিন ছিল আমরা সবাই মিলে একসাথে দারুণ সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমরা আলাউদ্দিন নগর পার্কে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির যে সকল ইউজার ঘুরতে গিয়েছিলাম আমি তাদের নাম নিচে মেনশন করছি। আমি সহ @narocky71 @tasonya @mostafezur001 আমরা সবাই মিলে সেখানে দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে । সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://x.com/kibreay001/status/1893165095603032450?t=4ngKnzNAonnFT2X-6es-QA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আলাউদ্দীন পার্কে গিয়ে তাহলে অনেক আনন্দঘন সময় উপভোগ করেছেন দেখেই বুঝতে পেরেছি। আর সনিয়া আপুর মেয়েটা অনেক কিউট মাশাল্লাহ।সবাই এক সাথে হলে এমনিতেই অনেক মজা হয় তারপর বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি আরও সুন্দর এসব স্মৃতি আসলেই স্মৃতির পাতায় থেকে যায়। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
ঠিক বলেছেন আপু সবাই একসাথে মিলে সময় কাটাতে সত্যি বেশ ভালো লাগে।
রকি ভাই এবং ভাবিকে নিয়ে খুব সুন্দর কিছুটা সময় কাটিয়েছিলেন জানি। সেই সময়টা আমাদের সঙ্গে ব্যাখ্যা করছেন যা পড়ে বেশ ভালো লাগছে। রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ির কথা আমি আগে অনেকবার শুনেছি। আপনারা সকলে মিলে সেখানে গিয়েছিলেন দেখে মুগ্ধ হলাম। বাড়িতে অতিথি এলে কয়েক দিন বেশ ভালই কাটে। আপনার এবং রকি ভাইয়ের স্মৃতিও ঠিক তেমন কথাই বলছে।
ধন্যবাদ ভাই পোস্ট পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
পুরনো স্মৃতি গুলো দেখলে অনেক ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া পরিবারের লোকজন অনেক আপন। আর সেই লোকজন নিয়ে যদি একটু সময় এভাবে ঘুরা যায় তাহলে তো কথায় নেই। নিশ্চয় আপনারা অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
রকি ভাইদের বেড়ানোর গল্প আপনার পোষ্টের আগেও পড়েছি এবং ওনাদের পোস্টেও দেখেছি। সত্যি বলতে কি বাড়ছে বন্ধুরা যখন সামনাসামনি চলে আসি সেই মুহূর্তগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। সমাজ এখনো পুরোটা বিষিয়ে যায়নি আমাদের বন্ধু-বান্ধব এখনো রয়েছে সঙ্গে থাকার জন্য ভালো থাকার জন্য। আপনাদের সবার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল ভালো থাকুন সকলে মিলে।
ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
এই দিনে আসলেই অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। রকি ভাই এবং সোনিয়া আপু এসেছিল তাই আমরা আলাউদ্দিন নগর পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। পার্কের পরিবেশটাও অনেক বেশি সুন্দর ছিল। ছোটদের খেলার জন্য সেখানে অনেক বেশি জায়গা রয়েছে।
ঠিক বলেছেন ঐদিন আমরা পার্কের মধ্যে সব মিলিয়ে বেশি দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
ভাইয়া আপনি দেখছি আমাদের প্রিয় রকি ভাই এবং সোনিয়া আপুর সাথে একটা দিন ভালোই সময় কাটিয়েছেন। যদিও এই দিনটি এখন আপনার জন্য অতীত। আপনারা দেখছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি এবং আলাউদ্দিন নগর পার্কের ঘুরতে গেলেন। এবং আপনাদের পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভালোই সময় কাটিয়েছেন ঐদিন। ব্যস্ততার মাঝে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই আসলে রকি ভাই এবং সোনিয়া আপু সকলের সাথে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছিলাম।
আলাউদ্দিন নগর পার্ক তো দেখছি খুব সুন্দর। আপনারা সেখানে গিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। তাছাড়া নাশিয়া তো দেখছি খুব খুশি হয়েছে সেখানে গিয়ে। আসলে বাচ্চারা পার্কে গেলে একটু বেশিই খুশি হয়। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে সেখানে বাচ্চাদের অনেক খেলার জায়গা ছিল সেই কারণে নাশিয়া সেখানে গিয়ে বেশ খুশি হয়েছিল।