ফটোগ্রাফি পোস্ট // কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ফটোগ্রাফি পোস্ট // কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি। প্রত্যেকদিনের ন্যায় আজকে সকালবেলায় ঘুম থেকে ওঠার পরে মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে দেখি আমার একজন বন্ধু আমাকে অনেকবার ফোন দিয়েছে। আসলে আমি মূলত ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন আমার আশেপাশে রাখি না অনেক দূরে রাখি কারণ এটার জন্য অনেক ক্ষতি হয় প্রত্যেকটা মানুষের। তারপরে মোবাইল ফোন হাতে পেয়ে আমি আমার বন্ধুকে ফোন দিয়েছিলাম। আসলে আমার বন্ধুর আম্মুর অপারেশন করতে হবে তাই বেশ কয়েক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। তাই আমাকে সেই বন্ধু ফোন দিয়েছিল। আমি সবকিছু বোঝার পরে আমি বন্ধুকে বলেছিলাম আমি এক ব্যাগ রক্ত দিব। বাদবাকি তুমি একটু খোঁজ করো। ইনশাআল্লাহ আমি যদি সুস্থ থাকি রক্ত দিব আমার বন্ধুরা আমাকে। চেষ্টা করি আমি আমার নিজের জায়গা থেকে অন্যদের উপকার করার জন্য। তারপরেই মাছের খাবার দেওয়ার জন্য পুকুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলাম। মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে বেশ কিছু সময় পরে নাস্তা খেয়ে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। প্রথমেই ভেবেছিলাম কি বিষয়ে পোস্ট লিখব। তারপরে চলে গেলাম আমি আমার মোবাইলের গ্যালারিতে সেখানে দেখি অনেক ফটোগ্রাফি আছে। তবে চলুন আজকের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........

আপনারা প্রথমে উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ফটোগ্রাফি আমার মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করে শেয়ার করেছি। আসলে এই ফটোগ্রাফি দুইটি তোলা হচ্ছে আমাদের গ্রামের মাঠ থেকে। আমি এবং আমার দুইজন বন্ধু বেশ কিছুদিন আগে আমাদের গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখতে গিয়েছিলাম বিকেল বেলায়। সেখানে গিয়েই মূলত ফটোগ্রাফি করেছিলাম আমরা। আমাদের মাঠে নতুন একটি ডিপ বসানো হয়েছে সেখানে গিয়েছিলাম দেখতে। আমার এক বন্ধু অনেক সুন্দর ভাবে ডিপের উপরে উঠে পড়েছিল কিভাবে পানি ওঠে সেই ছবিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। উপর থেকে আবারও সেই বন্ধু নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমরা দুই বন্ধু আমাদের ছবি তুলেছিল। সবমিলিয়ে সেই দিন আমরা বেশ মজা করেছিলাম। আসলে আমরা তিনজন বাইরে লেখাপড়া করি অনেক দিন পর গ্রামে ঘুরতে এসেছি তাই একসাথে সব সময় ঘুরে বেড়াই আমরা। আসলে এইরকম মুহূর্ত কখনোই ভোলার নয়। চেষ্টা করি গ্রামে আসলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য।

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই চমৎকারভাবে ক্যামেরাবন্দী করে আপনাদের মাঝে দুইটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। একটি হচ্ছে কসমস ফুলের ফটোগ্রাফি। আসলে হলুদ কালারের কসমস ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে সত্যি বেশ ভালো লেগেছিল। তারপরে আপনাদের মাঝে খেজুর গাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আসলে এই খেজুর গাছের ফটোগ্রাফিটি আমার ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয়েছিল। আমি যখন আমাদের বিলের মধ্যে বসে ছিলাম সন্ধ্যা সন্ধ্যা মুহূর্তের সেই সময় খেজুর গাছের ফটোগ্রাফি তুলেছিলাম। আসলে তখন গাছে খেজুর ছিল দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল। এই খেজুর গাছটি হচ্ছে আমাদের বড় দাদীদের। আর অল্প কিছুদিন পরেই খেজুরগুলো গাছ থেকে পেড়ে নিয়ে এসে বাড়িতে রেখে দিলে খুব সুন্দরভাবে পেকে যাবে তখন বেশ মজা করে খাওয়া যাবে সকলে মিলে। হলুদ কালারের কসমস ফুলের ফটোগ্রাফি আমি সংগ্রহ করেছিলাম আমাদের বাড়ির পাশ থেকে। আসলে চেষ্টা করি প্রত্যেক সপ্তাহে আপনাদের মাঝে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি আপনাদের মাঝে একটি পানির ট্যাংকের ছবি অনেক সুন্দর ভাবে তুলে শেয়ার করেছে। এটি হচ্ছে আমাদের গাংনী উপজেলা পানির ট্যাংকের ছবি। আসলে আমি যখন গাংনীতে মেসেজ ছিলাম তখন প্রায় উপজেলার আশেপাশে থাকতাম। সেই সময় আমরা বিকেল বেলায় ম্যাচের ছেলেরা মিলে একটু বাইরে হাঁটতে যেতাম। সেই সময় মূলত আমি এই ফটোগ্রাফিটি আমার মোবাইলে সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। আসলে পানি সাপ্লাই দেওয়ার জন্য এটাই ছিল একমাত্র পানির ট্যাংক। আসলে এটি বাস্তবে দেখতে কিন্তু অনেক বড় আমি ক্যামেরাবন্দি করেছি বলে দেখতে হয়তো কিছুটা ছোট লাগছে আমার নিজের কাছেও। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম ফটোগ্রাফি গুলো সম্পর্কে মন্তব্য করবেন।

আমি এবার আপনাদের মাঝে আমাদের গ্রামের সময়োপযোগী কিছু দৃশ্যের ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে আমাদের গ্রামে এখন প্রত্যেকটা মানুষ পাঠ পানিতে ধুয়ে পাটের খড়ি রোদে শুকাতে দেয়। সেই সময় আমি আমাদের পুকুরে মাছের খাবার দিতে গিয়েছিলাম। পুকুরে মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে তখন সেখানের সৌন্দর্য আমি ষ বেশ দারুণ ভালো উপভোগ করেছিলাম আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিলো। সেখানে বেশ কিছু সময় বসে থাকার পরে আমি মোবাইল দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের পুকুরের পাড়ের উপরে থাকা পাটের খড়ির ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। দ্বিতীয় ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমাদের মাঠে এখন প্রত্যেকটা চাষী অনেক সুন্দর ভাবে ধান চাষ করছে। আসলে আমাদের এলাকার প্রধান ফসল হচ্ছে ধান মাছ ইত্যাদি। এই সবকিছু ফসল কৃষকেরা তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলায়। সত্যি কৃষি কাজে কতটা কষ্ট যদি কেউ না করে তাহলে বুঝবে না। মাঝে মাঝে আমি যখন বাবার কাছে সাহায্য করি তখন বুঝতে পারি কিছুটা হলেও। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।