জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ জরুরী। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১৩ই বৈশাখ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | গ্রীষ্ম-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আমাদের সমাজে আশপাশের মানুষের দিকে তাকালে আমরা দুই শ্রেণীর লোক দেখতে পাই। প্রথমত এক শ্রেণীর লোক দেখতে পাবেন যারা কোন কাজের প্রতি গুরুত্ব দেয় না শুধু দিনের পর দিন কোন মত সময় পার করতে চায়। আবার আরেক শ্রেণীর লোক আছে যারা নিজের জীবনটাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। এই দুই শ্রেণীর মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় যে তফাৎ সেটা হচ্ছে জীবনের লক্ষ্যমাত্রা। যদি আপনার লক্ষ্য থাকে আপনি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবেন নিজেকে সফলভাবে তুলে ধরবেন সে ক্ষেত্রে আপনি প্রতিনিয়ত আপনার সেই কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছানোর আকাঙ্খায় মগ্ন থাকবেন। তবে এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম নিজের সঠিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে যার মাধ্যমে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তেমন বড় কোন উদাহরণ দিতে পারব না কেননা জীবনে আমি এখনো সফল হতে পারিনি তবে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি সেটা নিয়ে এখনো এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি যদি সৃষ্টিকর্তা ভাগ্যে লিখে রাখেন তাহলে সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারলে হয়তো জীবনে সফল হতে পারব।
যারা জীবনে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়েছে তারা একপর্যায়ে সফল হয়েছে। এটা সবাই বিশ্বাস করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে গেলে সফল হওয়া সম্ভব। হ্যাঁ জীবনের লক্ষ্যমাত্রা কে কেন্দ্র করে এগিয়ে যেতে নানান বাধার সম্মুখীন হতে হবে। আসলে এটা চরম সত্য আপনি ভালো কাজে বারবার বাধা প্রাপ্ত হবেন তবে মন্দ কাজের ক্ষেত্রে তেমন কোন বাধা প্রাপ্ত হবেন না। এখনো আমাদের সমাজে একশ্রেণীর মানুষ আছে যারা ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। সেই মানুষগুলোর থেকে উৎসাহ নিয়ে ভালো কাজের প্রতি এগিয়ে যেতে হবে। সমস্ত বাঁধা পেরিয়ে নিজেকে আসল লক্ষ্য মাত্রায় দাঁড় করাতে হবে।প্রথমত যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে নিজেকে ধৈর্য ধারণ করার অভ্যাস করতে হবে। আমাদের এলাকায় একটি প্রচলিত কথা আছে, এক লাফে গাছের মাথায় ওঠা যায় না। ধীরে ধীরে যেমন ডাল বেয়ে গাছের মাথায় উঠতে হয় ঠিক একইভাবে ছোট ছোট কাজগুলোর মাধ্যমে নিজেকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে হয়।
বর্তমান প্রজন্মের অনেক ছেলে মেয়েকে দেখেছি যারা জীবনটাকে দিনের পর দিন পার করে যাচ্ছে কিন্তু নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য নেই। যদি আপনি তাদেরকে প্রশ্ন করেন বড় হয়ে তোমার কি হওয়ার ইচ্ছা সেক্ষেত্রে তাদের হুট করে প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কোন সুযোগ থাকে না। হ্যাঁ সবার জীবনের লক্ষ্য যে থাকবে বড় হয়ে বড় সরকারি কর্মকর্তা হবে এরকমটা নয়। আপনি নিজে উদ্যোক্তা হয়েও জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আমি কাউকে ছোট করে বলছি না যারা একটু লেখাপড়ায় দুর্বল তাদের উচিত এমন লক্ষ্যমাত্রা টার্গেট করা যা থেকে জীবনে বড় কিছু করা সম্ভব। বর্তমানের ছেলে মেয়েরা বাবা-মায়ের সংসারে অনেকটা বোঝা হয়ে থাকে। যখন আপনি বুঝতে শিখেছেন কিছু একটা করার মত যোগ্যতা হয়েছে তখন একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করুন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে ছোট্ট একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করে পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন তাহলেই তো সফলতা পাবেন। কিন্তু এমনটা তো সবার ক্ষেত্রে দেখা যায় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বাবার থেকে টাকা নিয়ে একটা বাইক কিনে সারাদিন হই হই করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদি তাদের জীবনের লক্ষ্যমাত্রা থাকতো তাহলে নিশ্চয়ই নিজের টার্গেট পূরণ করার কাজে মগ্ন থাকতো।
আবার আরেক শ্রেণীর ছেলে-মেয়ে আছে যারা জীবনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার উদ্দেশ্যে যে পরিশ্রম করতে হবে নিজেকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে সে সম্পর্কে উদাসীন। তাদের উদ্দেশ্য করে বলছি ভাই আপনি যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন সেই লক্ষ্যমাত্রায় কি আপনি হাওয়ায় উড়ে পৌঁছে যাবেন নাকি সেই আঙ্গিকে পরিশ্রম করতে হবে। যদি উদাহরণ স্বরূপ একটা কথা বলি আপনি স্বপ্ন দেখছেন পাহাড়ের চূড়ায় উঠবেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মনোবল রাখতে হবে, পাহাড়ে ওঠার মত শক্তি নিয়ে চেষ্টা করতে হবে। আপনি পাহাড়ের নিচে দাঁড়িয়ে চূড়ায় উঠার স্বপ্ন দেখলেন আর বোঝানোর চেষ্টা করলেন আপনার লক্ষ্যমাত্রা পাহাড়ের উপরে উঠা সে ক্ষেত্রে তো আর সফলতা পাবেন না। তাই লক্ষ্যমাত্রাও থাকতে হবে আবার সেই রকম পরিশ্রম করতে হবে পাশাপাশি নিজেকে ধৈর্য ধারণ করার মত শক্তি সঞ্চার করতে হবে।
অনেকেই আবার সফলতার জন্য কিছু মানুষকে অনুসরণ করে এমন কাউকে অনুসরণ করুন যে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিটা কঠিন মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং পরিশেষে সফল হয়েছে। তবে আমার মনে হয় সফলতার ক্ষেত্রে আপনি এমন কাজগুলোই বেশি করবেন যে কাজগুলোর প্রতি আপনার আগ্রহ বেশি। প্রথমেই বলেছি কেউ লেখাপড়া করে সফলতা অর্জন করে আবার কেউ ব্যবসার মাধ্যমে সফলতা অর্জন করে। হ্যাঁ আপনি যে কাজটি করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন সে কাজটির প্রতি বেশি গুরুত্ব দিন। এমন কোন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করুন যে কাজটি করতে আপনি ভালোবাসেন সে ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে সহজ হবে। কেননা সেই কাজের প্রতি আপনি বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন আর দ্রুতই সফল হবেন।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।


VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

https://x.com/KaziRai39057271/status/1783754553562980409
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওয়া বন্ধু তুমি আজকে বেশ দারুন একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করেছো। নিজেকে সফল এবং প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আগে নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। তারপর সকল বাধা পেরিয়ে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
আসলে জীবনে যদি নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকে তাহলে সেই জীবনে সফলতা অর্জন করা অসম্ভব। তাই জীবনের সফলতা অর্জন করতে হলে প্রথমে সঠিক একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিতে হবে। তারপর সে লক্ষ্য অনুসারে কাজ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে হবে। যাহোক আজকে আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
যারা জীবনে কোন একটি লক্ষ্য স্থির করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়, তারা খুবই তাড়াতাড়ি জীবনে সফলতা বয়ে আনে।আর সফল হতে হলে অবশ্যই লক্ষ্য স্থির করতে হবে। বর্তমান সময়ের কিছু ছেলে মেয়েরা তাদের জীবন কে একটি বিভিন্ন ভাবে উপভোগ করে যাচ্ছে।তারা কখনো অতীতের কথা মাথায় আনে না। কিন্তু এক সময় তারা ঠিকই ধরা খেয়ে যায়।
চমৎকার একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। ঠিকই বলেছেন আপনি। নিজেকে সফল ও প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আগে নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। তা না হলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। যারা জীবনে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রেখে এগিয়েছে।যারা তারা জীবনে উন্নতি করতে পেরেছেন। তাই জীবনে লক্ষ নির্ধারণ করা জরুরী।
যার জীবনে কোন লক্ষ্য নেই তার অবস্থা অনেকটাই পানিতে ভাসা কচুরিপানার মতো, যেখানে নেই কোন আনন্দ কিংবা সুখের প্রকৃত স্বাদ। ধন্যবাদ।
একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই। সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া। যারা জীবনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যায় তারা অবশ্যই সাকসেস হয়। তবে তার পিছনে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয় তার পরেও যদি লক্ষ্য স্থির থাকে অবশ্যই সেই গন্তব্য পৌঁছাবে।
জীবনে লক্ষ্য না থাকলে পাল ছাড়া নৌকা যেমন তেমন অবস্থা হয়।তাই প্রতিটি মানুষের উচিত সঠিক লক্ষ্য নির্ধারন করে এগিয়ে যাওয়া।তবেই সফল হওয়া সম্ভব।ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।