কক্সবাজার ভ্রমণ (পর্ব-০৯)। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -৪ঠা চৈত্র | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | বসন্তকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে পর্যায়ক্রমে আপনাদের সাথে অনেকগুলো পর্ব শেয়ার করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় আজকেও নতুন একটি পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি মূলত আজকের এই পর্বের মাধ্যমে কক্সবাজার পর্বগুলো শেয়ার করার ইতি টানবো। গত সপ্তাহে কক্সবাজার ঘিরে যে পর্ব শেয়ার করেছিলাম সেখানে শেষ দিনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কাটানো কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেছিলাম আর আজকের পর্বে কক্সবাজার হোটেল থেকে বেরিয়ে আসার পরে আমাদের কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাতে যে সময় গুলো কাটিয়েছিলাম সেটা তুলে ধরবো। কক্সবাজার থেকে রাতের বেলায় আমাদের ট্রেন ছিল। রাত আটটার সময় কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন এর উদ্দেশ্যে আমাদের ট্রেন ছিল। আমরা সন্ধ্যার সময় পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
সন্ধার পরে আমরা হোটেল থেকে আমাদের ব্যাগসহ সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে ইজি বাইকে করে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওনা হলাম। তবে মজার বিষয় যখন হোটেল থেকে স্টেশন এর দিকে আসছিলাম তখন বারবার ডান পাশের সমুদ্র সৈকতের দিকে তাকাতেই আলাদা একটা আকর্ষণ কাজ করছিল মনে হচ্ছিল আজকে সারাদিনও সমুদ্র সৈকতে ঘোরাফেরা করেছি আর এখন এই জায়গা থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছি। অবশ্য পাঁচ দিনের সফর শেষে আবার বাড়িতে ফিরছি সেটাও একটা আকর্ষণ মনে হচ্ছিল । কতদিন বাড়ির লোকজনের সাথে দেখা হয় না এরকমটা ও মনে হচ্ছিল। যাইহোক আমরা ইজি বাইকে ওঠার আধা ঘন্টা সময়ের মধ্যেই কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে গেলাম মোটামুটি ট্রেন স্টেশনে আসার আধা ঘন্টা আগেই আমরা সেখানে পৌঁছে গেলাম। সবাইতো রাতের এই সৌন্দর্যটা উপভোগ করার জন্য একটু তাড়াতাড়ি করেই রেলওয়ে স্টেশনে আসলো।
তবে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন রেলওয়ে স্টেশনের কাজটা পুরোপুরি শেষ হয়নি। সেটা আজ থেকে এক বছরের অধিক সময় আগের কথা। কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের সামনের যে সৌন্দর্যটা ছিল সেটা সবাইকে আকৃষ্ট করার মতো। মনে হচ্ছিল যেন অনেক বড় একটা ঝিনুক দেখতে পাচ্ছি শুধু তাই নয় সেখানে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য পানির পাশে একটি কৃত্রিম ঝিনুক তৈরি করে রাখা হয়েছে সেটাও দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিল। এমন সৌন্দর্য দেখে সেখানে আসা পর্যটকেরা বারবার ছবি উঠছিল যদি উপরের ছবিগুলো লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পারবেন আসলে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনটা কতটা সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। হ্যাঁ বাংলাদেশের অনেক রেলওয়ে স্টেশন ঘুরেছি তবে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের মত সৌন্দর্য আর কোথাও দেখতে পাইনি। তবে আজ থেকে এক বছর আগে যখন এই রেলওয়ে স্টেশনটা চালু হয়েছিল তখন সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণটা তুলনামূলক আরো বেশি ছিল কেননা নতুন কোন কিছুর প্রতি মানুষের আকর্ষণ সব সময় বেশিই থাকে।
ট্রেনের যে নির্দিষ্ট টাইম আমাদের টিকিটের উপরে উল্লেখ করা ছিল ঠিক নির্দিষ্ট টাইম এর মধ্যেই ট্রেন চলে আসবে এই ভেবে আমরা দশ মিনিট আগেই রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করলাম। সবাই কমবেশি কেনাকাটা করেছে সবার ব্যাগেই কমবেশি সৌখিন জিনিসগুলো রয়েছে তাই ব্যাগগুলো নিয়ে দ্রুত ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলাম কারণ সেখানে একটু বাড়তি সিকিউরিটি ছিল। পর্যায়ক্রমে একটি গেইট দিয়ে আমাদেরকে সিরিয়াল অনুযায়ী ঢুকতে হচ্ছিল আর সেখানে থাকা কর্মচারীদের টিকিট দেখানো লাগছিল। স্টেশনের ভেতরে ঢোকার পরে দেখলাম সেখানকার কাজ শেষ হতে আরো অনেক দেরি। যদি উপরের ছবিগুলো দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন রেল স্টেশনের কাজ চলমান আছে।
যাইহোক সেখানকার কিছু দৃশ্যপট উপরে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আমরা সেখানে দশ মিনিট মত অপেক্ষা করার পরেই ট্রেন চলে আসলো আর সিরিয়াল অনুযায়ী আমরা আমাদের সিটগুলো খুঁজে নিয়ে আপাতত কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আর এরই মাঝে আমাদের কক্সবাজার পর্ব শেষ হলো। এর পরবর্তী পোস্টে বা সামনের সপ্তাহে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার পর যেভাবে বাসায় এসেছিলাম সেটা নিয়ে না হয় আরেকটি পোস্ট শেয়ার করব।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | মার্চ,২০২৫ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।


VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পর্যায়ক্রমে কক্সবাজার ভ্রমণের বিভিন্ন পর্ব শেয়ার করার পর সর্বশেষে ফেরার পর্বটি পড়ে সম্পূর্ণ ভ্রমণটি সম্পূর্ণ হলো বলে মনে করলাম। কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনটি তো ভীষণ সুন্দর বানিয়েছে দেখছি। সামনে আবার একটি ঝিনুকের পেটের ভিতর মুক্ত রয়েছে। আপনার সম্পূর্ণ ভ্রমণের পর্ব গুলি সব মিলিয়ে দারুণ সুন্দর লাগলো।
একটা সফর কেবল গন্তব্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর প্রতিটি মুহূর্ত, অনুভূতি আর স্মৃতিই একেকটা গল্প হয়ে থাকে। কক্সবাজারের বিদায়বেলা, রেলস্টেশনের সৌন্দর্য আর সমুদ্রের প্রতি টান সবকিছুই যেন এক অনন্য আবেগের রেখাচিত্র এঁকেছে। নতুন কিছু দেখা যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনি প্রিয় স্থান ছেড়ে যাওয়ার মুহূর্তগুলোও অন্যরকম অনুভূতি জাগায়।