কবিতার আলো জানুয়ারি সংখ্যার জন্য সম্পাদকীয় লিখলাম।
কবিতার আলো জানুয়ারি সংখ্যার সম্পাদকীয়
🙏 সকলকে স্বাগত জানাই 🙏
প্রতি মাসে যখন কবিতার আলো পত্রিকাটি প্রকাশ হয়, তখন সেখানে লেখা সম্পাদকীয় কলমটি আপনাদের সামনে তুলে আনি। এইবারেও জানুয়ারির সংখ্যায় প্রকাশিত হলো কবিতার আলো ই-পত্রিকার ইস্যুটি। আর তার জন্য সম্পাদকীয় লিখলাম। সেই সম্পাদকীয় কলম আপনাদের সামনে তুলে আনলাম। যেখানে মূলত বর্তমান উত্তর আধুনিকতা বিষয়টির উপর জোর দিয়েছি এবং কবিতার আলোয় আমাদের কার্যপদ্ধতির কিছুটা আভাস দিয়েছি। আপনাদের পড়ে ভালো লাগলে কমেন্টের মাধ্যমে নিশ্চয় জানাবেন।
সম্পাদকীয়
দেখতে দেখতে আরও একটি একুশ তারিখে আমরা পা ফেলেছি। আর পূর্ব কথামতো আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি কবিতার আলোর আর একটি সংখ্যা। কবিতার আলো একটি মাইলস্টোন। প্রতিদিন একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি এই পত্রিকাটিকে। আমরা যখন পা ফেলেছি সামনে, আপনাদের দৃপ্ত পদক্ষেপও তার সঙ্গে মিলেমিশে গেছে। অন্ধকার থেকেই যেমন আলোর উৎস খুঁজতে হয়, রাতের মধ্যেই যেমন লুকিয়ে থাকে দিনের বীজ, ঠিক তেমন ভাবেই আমরা চেষ্টা করেছি সমস্ত প্রতিবন্ধকতার ভিতর দিয়ে আরও বেশি করে সবুজের সন্ধান করতে। আর এই সবুজটুকু খুঁজে নেওয়ার মুহূর্তে যা সব থেকে বেশি পেয়েছি তা হল আপনাদের সাহচর্য।
কবিতা আর নির্জনতাকে এককে প্রকাশ করলে নির্ভয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন আপনিও। একটি নিরাপদ জায়গায় দাঁড়িয়ে কখনও পা ফেলতে চেষ্টা করেছেন গনগনে আগুনের আঁচে? হয়তো পা সাময়িক পুড়ে যাবে, কিন্তু সেখান থেকেই জন্ম হবে আরও কিছু নতুনের। আসলে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করাই যেকোনো কাজের প্রধান অনুপ্রেরণা। আর আমরা ধীরে ধীরে সেই অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছি নিজেদের। আমরা আপনাদের থেকে প্রতিনিয়ত শিখি। আর সেখান থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে তার সার্থক প্রয়োগ ঘটাতে চেষ্টা করি এই পত্রিকায়।
এখন যেটুকু কথা বলা দরকার তার মূল ভিত্তি হওয়া উচিত উত্তর আধুনিকতা। এই বিষয়টিকে মূল মন্ত্র ধরে নিয়ে আমরা কাঠামো নির্মাণ করে চলেছি এক নির্দিষ্ট ঠিকানায়। যাঁরা এই ঠিকানায় নিজেদের অস্তিত্বের স্থায়ী প্রমাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য অনেক শুভকামনা রইল। উত্তর আধুনিক ভাবধারায় নতুন সৃষ্টিকে যাঁরা রূপদান করেছেন, তাঁদের কলম আমরা রাখতে পেরে গর্বিত। আর যাঁদের লেখা রাখতে পারিনি এই সংখ্যায়, তাঁদের প্রত্যেককে বলি আমাদের সংখ্যাটি পড়ে আবার লেখা পাঠান দপ্তরে। আপনার লেখাটি প্রকাশিত না হওয়ার অর্থ আপনাকে বর্জন করা নয়। লেখার রকমফেরে বদলে যায় অনেক কিছু। তাই আপনারা সকলে আমাদের সাথে থাকবেন এই আর্জি নিয়েই এই জানুয়ারি সংখ্যা আপনাদের সামনে নিয়ে এলাম।
নৈঃশব্দ্য ক্ষণস্থায়ী। আর সেই নির্ভরতার পথে আমাদের পথ চলা আবহমান গতিতে। একটি পত্রিকা চালাতে গেলে অনেক প্রতিবন্ধকতার সামনে পড়তে হয়। কিন্তু লড়াইটা আমাদের একার নয়। যে লিটল ম্যাগাজিন ভাবধারায় বলিয়ান হয়ে আমরা আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি, তা নিজেদের অস্তিত্বকে আরো কঠিন করে তুলবে, এই আমাদের বিশ্বাস। আর তার প্রমাণস্বরূপ আমরা প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণে পাচ্ছি আপনাদের লেখা। তাই লেখা বাছাই করতে গিয়ে তুল্যমূল্য বিচারে প্রচুর পরিশ্রম করতে হচ্ছে আমাদের। তবে এ আমাদের পরিশ্রম নয়। এই সমস্ত প্রকাশিত অথবা অপ্রকাশিত লেখার সঙ্গে আমরা নিজেদের এগিয়ে চলাকে অনেক আগেই এক সুতোয় বেঁধেছি। তাই সবশেষে এটুকুই বলার, যে পথে আর অন্ধকার নেই, সেই পথটাই আমরা বেছে নিলাম আগামীর জন্য। কবিতার আলো পড়ুন এবং অন্যদের পড়ান।
কৌশিক চক্রবর্ত্তী
সম্পাদক
কবিতার আলো
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
Daily tasks-
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/KausikChak1234/status/1881450423489532021?t=ozvGKkIb468Qr6j9SyeaRQ&s=19