প্রকৃতি ও পরিবেশের কিছু রকমারি ফটোগ্রাফি।
বিভিন্ন রেনডম ফটোগ্রাফি
💐সকলকে স্বাগত জানাই💐
ঘুরতে যেতে কে না ভালোবাসে। আর ঘুরতে যাওয়া মানে বিভিন্ন ধরনের ছবি ক্যামেরাবন্দি করা। আজকাল তো আর আলাদা করে ক্যামেরা বহন করতে হয় না। পকেটে একটি মোবাইল ফোন থাকা মানেই সব ধরনের সলিউশন একদম রেডি। আর মোবাইল ফোনের ক্যামেরা গুলি আজকাল এত সুন্দর যে ক্যামেরা আলাদা করে আর প্রয়োজন হয়ই না। আমিও যে অঞ্চলে যাই সেখানে চেষ্টা করি বিভিন্ন ছবি নিজের মতো করে ক্যামেরা বন্দি করতে। সব সময় যে সেরা ছবিটা তুলতে পারি তা নয়, কিন্তু ফটোগ্রাফি ভালোবাসি বলে চেষ্টা করি সুন্দর করে ছবিগুলি তুলে রাখতে। ছবি তোলায় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো অ্যাঙ্গেল। সঠিক অ্যাঙ্গেল বুঝে ছবি তুললে ছবির কোয়ালিটি অনেকটা বেড়ে যায় এ কথা অনস্বীকার্য। আর সেই অ্যাঙ্গেল সেট করাই হলো ভালো ফটোগ্রাফারের আসল কাজ। আমি এই অ্যালবামে বিভিন্ন ধরনের রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট করলাম। সম্প্রতি দুটি জায়গায় ঘুরে এলাম। একটি হলো ডুয়ার্সের ঘন জঙ্গল এবং দ্বিতীয়টি হল সৈকত নগরী দীঘা। আর এই দুই জায়গায় তোলা ছবিগুলি ধীরে ধীরে আপনাদের সামনে নিয়ে আসব। তারই মধ্যে কিছু ছবি রইল আজকের এই অ্যালবামে। যদি আপনাদের পছন্দ হয় তবে নিশ্চয়ই কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।
💐বেলুনওয়ালা💐
প্রথমে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি দীঘার সমুদ্র সৈকতে একজন বেলুনওয়ালার ছবি। বেলুন ওয়ালার মত পেশা এক সময় রমরমিয়ে চললেও আজ এটি প্রায় লুপ্ত। আসলে বর্তমানে শিশুরা এতই ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যস্ত যে বেলুন নিয়ে খেলবার সময় তাদের কাছে কই। তাই বেলুন ওয়ালার বিক্রিও কমে গেছে ভীষণভাবে। বিশেষ করে আজকাল তো এই ধরনের গ্যাস বেলুন চোখে দেখাই যায় না। তাই দিঘার সমুদ্র সৈকতে এমন ঝলমলে রঙিন বেলুনগুলো দেখে আমার নিজের অনেক ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করেছিল।
💐সূর্যাস্ত💐
এই ছবিতে একটি সূর্যাস্তের ছবি দেখা যাচ্ছে। প্রথমে জায়গাটিকে খুব সাধারন বলে মনে হলেও এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একে সুন্দর বানিয়ে তুলেছে। আর ঠিক তেমনভাবেই পশ্চিম কোলে হেলে পড়ে সূর্য সেই সময়কার গুরুত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। অসাধারণ এই মুহূর্তে সূর্যাস্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি না করে আমি পারিনি। এই জায়গাটি তিস্তা ব্যারেজে অবস্থিত। এখানে নৌকা গুলি ছবিটির আরো সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। নৌকা গুলির সাথে গোধূলি বেলায় এই সূর্যাস্তের ছবি আশা করি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
💐তিস্তা বাঁধ💐
সামনে যে নদীটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত নদী তিস্তা। পাহাড় থেকে নেমে আসার পর গাজোল ডোবা অঞ্চলে এই নদীটি বিশাল চওড়া। এখানে তিস্তার উপর বাঁধ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। এই জায়গার সৌন্দর্য একেবারে মানুষকে টেনে রাখবার মত। এখান থেকে একটি খাল মহানন্দার সাথে যুক্ত করা আছে।
💐মূর্তি নদী💐
উত্তরবঙ্গের একটি অন্যতম সুন্দর এবং উল্লেখযোগ্য নদী হল মূর্তি। এই মূর্তি নদী দুটি অভয়ারণ্য গরুমারা এবং চাপড়ামারির ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মূর্তি নদীর সৌন্দর্য পর্যটকদের টেনে রাখে চিরকাল। আর প্রতিদিন অসাধারণ এই নদীতে জল খেতে আসে অসংখ্য বাইসন এবং হাতির পাল। সাধারণ সুন্দর এই খরস্রতা নদীটির ছবি আপনাদের সামনে পেশ করলাম এই অ্যালবামে।
💐চাপরামারি অভয়ারণ্য💐
উত্তরবঙ্গের অন্যতম একটি অভয়ারণ্য হল চাপরামারি। এই অভয়ারণ্যের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম এইবার। জঙ্গল সাফারি ঝুপে করে একেবারে মধ্যিখানে গিয়েছিলাম বন্যপ্রাণ দর্শন করতে। আপনারা যে অঞ্চলটি এই ছবিটা দেখছেন তাকে সল্টপিট বলে। এখানে বন্যপ্রাণীরা রোদ পোহাতে এবং জল খেতে আসে। তাই দূর থেকে এই জায়গায় হাতি বাইসন বা হরিণের মতো বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী দেখা যায়। এই ছবিতে আপনারা যদি একটু লক্ষ্য করেন তবে দূরে একটি হরিণের পাল দেখতে পাবেন। আর তাছাড়া পিছনে পাহাড় গুলি দেখা যাচ্ছে বলে এখানকার সৌন্দর্য যেন নজর কেড়ে নেয়।
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
সৈকত নগরী দীঘা এবং ডুয়ার্সের ঘন জঙ্গল থেকে করা ফটোগ্রাফি গুলি দেখে যথারীতি মুগ্ধ হয়ে গেলাম আমি। বেশ চমৎকার জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন আপনি। সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলোর বিশেষ বর্ণনাও দিয়েছেন যা তথ্যসম্পৃক্ত। আশা করি পরবর্তীতে এই জায়গা গুলির আরও চমৎকার দৃশ্য আপনার ফটোগ্রাফি অ্যালবামের মাধ্যমে দেখতে পারব। কেননা আপনার এই অ্যালবামের ফটোগ্রাফি গুলি আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। তাই পরের গুলো দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
Daily tasks-
https://x.com/KausikChak1234/status/1879399848686023103?t=l-G5--xbQHCEPMStpi80GA&s=19
ভাইয়া আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী চোখ জুড়ানোর মতো। প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। আসলে নদীর ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা নদীর উপর সুর্যাস্তের দৃশ্য টি দেখে বেশ ভালো লাগলো।সব গুলো ফটোগ্রাফী খুবই সুন্দর করে ধারণ করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আমার তোলা নদীর ফটোগ্রাফিগুলো আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভীষণ ভালো লাগলো। এমন সুন্দর মন্তব্য করে আমার পাশে থাকবার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
চমৎকার সব দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আপনি ক্যাপচার করে শেয়ার করলেন। আপনি একটা কথা সঠিক বলছেন সেটা হচ্ছে ভালো অভিজ্ঞতা দিয়ে ক্যাপচার করা ফটোগ্রাফির কোয়ালিটি অনেক বেড়ে যায়। সামান্য কিছু জিনিস কে যখন অভিজ্ঞতা দিয়ে ভালোভাবে ফটোগ্রাফি করা সম্ভব হয় তাহলে সেই ফটোগ্রাফির কোয়ালিটি অনেক বেশি হয়। অনেক ভালো লেগেছে দাদা আপনার সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। তাছাড়া বর্ণনা গুলো আপনি সুন্দরভাবে তুলে ধরলেন।
আমার ফটোগুলি দেখে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকলে বলে অনেক আনন্দ হল আপু।
এমন বিভিন্ন পর্যায়ের ফটোগ্রাফি দিয়ে সাজানো পোস্টগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। বেশি দুর্দান্ত ছিল আপনার উপস্থাপনা। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। আশা করব এমন সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে প্রত্যেক সপ্তাহে উপস্থিত থাকবেন।
চেষ্টা করেছি ভাই ফটোগ্রাফিগুলির বিবরণ সকলের সামনে তুলে ধরার। সুন্দর মন্তব্যটি করবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমিও আপনার সাথে একমত। ভালো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে যে কোন জিনিসের ক্যাপচার করা হোক না কেন তা দেখতে সত্যি দুর্দান্ত হয়। আজ আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমায় মুগ্ধ করেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাঝে ফুটে উঠেছে আপনার সুন্দর দক্ষতাটি। সত্যি ভাইয়া আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে।
আমার ফটোগ্রাফিগুলি আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভীষন আনন্দ হল। এমন ভাবেই পাশে থাকবেন আগামীতেও৷
আসলেই দাদা কোথাও ঘুরতে গেলে ফটোগ্রাফি না করলে চলেই না। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। বিশেষ করে তিস্তা বাঁধ এবং মূর্তি নদীর ফটোগ্রাফি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা বেশ ভালো। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।