উত্তরায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা: হারিয়ে গেল অসংখ্য স্বপ্ন
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
২১ জুলাই ২০২৫, সোমবার দুপুর। রাজধানী ঢাকার উত্তরার একটি দিন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি F-7 BGI যুদ্ধবিমান হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের ওপর বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই রক্ত ও ধ্বংসস্তূপে ঢেকে যায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
প্রাথমিকভাবে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে সংখ্যাটি আরও বেড়ে ২৭ জনে পৌঁছায়। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থী। যাদের বয়স মাত্র ১০ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। এছাড়াও নিহত হয়েছেন স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ও দুর্ঘটনায় জড়িত পাইলট। আহত হয়েছেন অন্তত ১৭১ জন, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানটি তেজগাঁও বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করেছিল প্রশিক্ষণ মিশনের অংশ হিসেবে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই পাইলট বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি অনুভব করেন। তিনি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন এবং শেষ মুহূর্তে বিমানটি উত্তরার আবাসিক এলাকায় ছিটকে গিয়ে মাইলস্টোন স্কুলে আছড়ে পড়ে। বিমানটি ১৩.৬ মিনিট আকাশে ছিল। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যা ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়িয়ে তোলে।
দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করে ২২ জুলাই জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দেবে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গোটা দেশ আজ শোকস্তব্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকবার্তা ও সহমর্মিতার ঢল নেমেছে। অসংখ্য পরিবার হারিয়েছে তাদের সন্তানের স্বপ্ন, অনেক মা-বাবা হারিয়েছেন তাদের বুকের ধন। স্কুলের ক্লাসরুমগুলো এখন নিস্তব্ধ, কেবল কান্নার সুরে ভাসছে পুরো এলাকা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শোক প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো রক্তদানের আহ্বান জানিয়েছে আহতদের বাঁচাতে।
এই দুর্ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—শহরের জনবহুল এলাকায় বিমান প্রশিক্ষণ কতটা নিরাপদ? কেন নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়নি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা ঠেকাতে অবিলম্বে নীতিমালা হালনাগাদ করা জরুরি।
২১ জুলাইয়ের এই ঘটনা আমাদের শিখিয়ে দিল, প্রযুক্তি যত উন্নত হোক না কেন, এক মুহূর্তের ত্রুটি কত শত স্বপ্নকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। আমরা হারিয়েছি ভবিষ্যতের অসংখ্য সম্ভাবনা, কিন্তু প্রার্থনা করি—আর যেন কোনো মা তার সন্তানকে এভাবে হারাতে না হয়।
আমাদের সবার উচিত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো এবং এমন দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
হাজারো স্বপ্ন যেমন ভেঙে গেছে তেমনি শত শত মানুষের মনে ভয় ঢুকে গেছে। আর ছোট বাচ্চাদের এই ভয়ংকর পরিণতিটাও সবাইকে কষ্ট দিচ্ছে ভাইয়া।
এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা। আল্লাহ তাদের ধৈর্য্য দিন এবং মৃতদেরকে জান্নাতবাসী করুন। আমরা এই মুহূর্তে তাদের পাশে আছি।এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য বিমান চলাচলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা উচিত। একটি স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করে ভবিষ্যতে সতর্কতা নেওয়া জরুরি।
https://x.com/RamimHa74448648/status/1947879161051419050?t=gm7hfYnrcIRl6NIvFNGV0Q&s=19