ছোট বোনের ঔষধ কিনতে লাজফার্মায় কিছু সময়।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে লাইফ স্টাইল একটি ব্লগ শেয়ার করবো। ছোট বোনের জন্য লাজফার্মায় ওষুধ আনতে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই আজকে একটি ব্লগ শেয়ার করতে যাচ্ছি।
প্রায় দুই সাপ্তাহ ধরে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। ছোট বোনের থাইরয়েডের প্রবলেম তথা সার্জারি নিয়ে অনেক টেনশনে ছিলাম। টেনশন যে একেবারে শেষ হয়ে গেছে তা কিন্তু না। তবে গত শনিবারে সার্জারি সফল হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। যেহেতু গলায় সার্জারি করেছে হাসপাতালে চার পাঁচদিন থাকা লাগবে। বাসায় এসে স্বভাবিক জীবন যাপন না করা পর্যন্ত টেনশন থেকে মুক্ত হতে পারছি না। দেখা যাক কি হয় আল্লাহ ভরসা।
আমার বোনের সার্জারিটা হয়েছিল দুপুর একটার সময়। আড়াইটার দিকে নার্স আমাকে ডেকে নিয়ে বললো রোগীর কিছু ঔষধ লাগবে। যে গুলো রাতে খাওয়াতে হবে। আর রাতে যেন অবশ্যই লিকুইড জাতীয় খাবার রোগীকে খেতে দেয়। যেমন স্যুপ, পায়েস, নরম খিচুড়ি, ভাতের ঝাউ এসব জাতীয় খাবার।
আমরা যে ডাক্তারের সাথে সার্জারির ব্যাপারে কন্টাক্ট করেছি, তিনির সাথে আমাদের কথা হয়েছিল, সার্জারি এবং হাসপাতালের ব্যাডের খরচ একসাথে ৬৫,০০০ হাজার টাকা তাদের দিতে হবে। আর বাকি খাওয়া দাওয়া, ঔষধ , পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ যখন যেটা লাগে সেটা নিজেরা আলাদা ভাবে বহন করতে হবে। সার্জারি ও বেড ভাড়া সার্জারি শেষ করেই পেইড করে দিয়েছি। এখন প্রতিদিন যা ঔষধ লিখছে সেটাই ফার্মেসি থেকে নিয়ে আসছি।
প্রথমদিনই ঔষধের বিশাল একটি লিস্ট হাতে ধরিয়ে দিলো। প্রথম ছিল দুটি ইনজেকশন, তারপর এন্টিবায়োটিক, ক্যালসিয়াম, মাথা ঠান্ডা রাখার ট্যাবলেট, ঘুমের ট্যাবলেট সহ বেশ কিছু ঔষধ। সে গুলো আনতে প্রথমে আট তলায় হাসপাতালের ফার্মেসিতে গেলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি নামাজের জন্য ফার্মেসি বন্ধ। তো নিচে গিয়ে ফার্মেসির খুঁজ করতে লাগলাম। তাকওয়া হাসপাতালেরর পশ্চিম পাশে একটি ভবন পরেই দেখতে পেলাম লাজফার্মার বিশাল একটি আউটলেট, যেটা মগবাজারের ইস্কাটন রোডে অবস্থিত । সেখানে গিয়ে প্রেসক্রিপশন দিলাম। তারা সব গুলো ঔষধ হিসাব করে বললো ১৭০০ টাকা বিল আসবে। আমরা ঔষধ দিতে বললাম।
তারা কম্পিউটার দেখে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সব গুলো ঔষধ বের করে ফেললো। আমরা ক্যাশ কাউন্টারে গেলাম। তারা তারা ৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে ১৬১৫ টাকা বিল করলো। লাজফার্মার আউটলেটে অনেক ধরনের প্রডাক্ট দেখতে পেলাম। বলতে গেলে এটা যেন আরেক মিনা বাজার, বিগ বাজারের মত। অনেক কিছু রযেছে। আমি আমার স্যারের জন্য এক এক বক্স ডায়াবেটিসের স্টিক নিলাম, বাসার জন্য হ্যান্ড গ্লাপস নিলাম। ছোট ভাগ্নির জন্য জুস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিলাম। সব মিলিয়ে তিন হাজার টাকার মত বিল হয়ে ছিল।
আশার বানী হলো তাদের পন্যে কোন ভ্যাট নেই, অতিরিক্ত মূল্য নেয় না। স্টাফদের ব্যবহার অনেক ভালো। ঔষধ ছাড়াও কয়েক হাজার রকম প্রডাক্ট রয়েছে। সব কিছু সাজানো গুছানো অনেক সুন্দর। ঔষধ ছাড়া অন্য কোন পন্যে ডিসকাউন্ট দেয় না। আমার কাছে তাদের সব কিছুই ভালোই লেগেছে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ১৫-০৩-২০২৫ |
সময় | রাত ৯.১০ মিনিট |
স্থান | ইস্কাটন রোড, মগবাজার , ঢাকা। |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
আমাদের ফেনীতেও লাজফার্মা আছে। আসলে আমাদের এখানকার কর্মীদেরও অনেক ভালো ব্যবহার এবং এখানেও দেখলাম অনেক ধরনের প্রোডাক্ট রয়েছে ওষুধ ব্যতিরেকে । আর ডিজাইন টাও দেখছি একই রকম। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম আপনি ফেনী লাজফার্মায় এসেছেন কিনা। যাইহোক আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।