ঢাকার যানজট ও নিরসনের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
ঢাকা শহরে বসবাসকারী মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির নাম যানজট। প্রতিদিন লাখো মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থেকে সময়, শ্রম ও অর্থ নষ্ট করছে। অফিস-আদালত থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানেই যাওয়া হোক না কেন, যানজট যেন এক অনিবার্য অভিজ্ঞতা। শুধু সময় নষ্টই নয়, বরং এর ফলে অর্থনীতির বিরাট ক্ষতি হচ্ছে, পরিবেশ দূষণ বাড়ছে, এবং মানুষের মানসিক চাপও বহুগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে প্রযুক্তি যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে ঢাকার যানজট অনেকাংশেই কমানো সম্ভব। বিশ্বজুড়ে অনেক বড় শহর ইতোমধ্যেই প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের ট্রাফিক সমস্যার সমাধান করেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিখে ঢাকাতেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
ঢাকার যানজটে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ একটি বড় সমস্যা। আধুনিক সেন্সর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা AI ব্যবহার করে স্মার্ট ট্রাফিক সিগন্যাল চালু করা হলে রাস্তায় গাড়ির চাপ অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিগন্যাল পরিবর্তন হবে। এতে অকারণে অপেক্ষা করতে হবে না এবং গাড়ির লাইন দ্রুত ছড়িয়ে যাবে।
প্রযুক্তির আরেকটি বড় ব্যবহার হতে পারে রিয়েল-টাইম ট্রাফিক মনিটরিং। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা, সেন্সর বা ড্রোন ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক ট্রাফিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা গেলে যানজট কমানো সহজ হবে। নাগরিকরাও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এই তথ্য জেনে বিকল্প রুট বেছে নিতে পারবেন।
আজকাল গুগল ম্যাপস কিংবা রাইড-শেয়ারিং অ্যাপে ট্রাফিকের আপডেট পাওয়া যায়। কিন্তু যদি সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের একটি বিশেষ ট্রাফিক অ্যাপ চালু করে, তাহলে আরও কার্যকর সমাধান পাওয়া সম্ভব। এতে দুর্ঘটনা, রাস্তা বন্ধ থাকা বা অতিরিক্ত চাপের তথ্য মুহূর্তেই জানা যাবে।
যানজট নিরসনের জন্য ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহন ব্যবহার বাড়াতে হবে। এজন্য গণপরিবহনকে প্রযুক্তিনির্ভর করা জরুরি। যেমন—ই-টিকিটিং, বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম, এবং নির্দিষ্ট সময়সূচি মানার ব্যবস্থা। এতে মানুষ বাসে যাতায়াতকে নির্ভরযোগ্য মনে করবে।
বর্তমানে উবার, পাঠাও বা ইনড্রাইভের মতো রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এগুলোকে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারলে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা অনেকটা কমানো যাবে। পাশাপাশি কারপুলিং অ্যাপ চালু করলে একই রুটে যাওয়া একাধিক ব্যক্তি এক গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন।
যানজট কোথায় বেশি, কখন বেশি এবং কেন বেশি এই তথ্যগুলো সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা সম্ভব। বিগ ডেটা ও এআই ব্যবহার করে নতুন রাস্তা, উড়ালসেতু বা মেট্রোরেল কোথায় দরকার তা নির্ধারণ করা সহজ হবে।
ঢাকার ট্রাফিক সমস্যার আরেকটি বড় কারণ হলো আইন ভঙ্গ। সিসিটিভি ফুটেজ ও স্বয়ংক্রিয় জরিমানা ব্যবস্থার মাধ্যমে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ করা গেলে এই সমস্যা অনেকটা কমবে। এতে নিয়ম না মানার প্রবণতা কমে যাবে এবং যান চলাচল শৃঙ্খলিত হবে।
ঢাকার যানজট একদিনে দূর করা সম্ভব নয়। তবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। স্মার্ট ট্রাফিক সিগন্যাল, রিয়েল-টাইম ডেটা, রাইড-শেয়ারিং ও এআই-ভিত্তিক বিশ্লেষণ ব্যবহারের মাধ্যমে একটি কার্যকর ও টেকসই সমাধান পাওয়া সম্ভব। এতে শুধু মানুষের সময় ও অর্থ বাঁচবে না, বরং একটি কর্মক্ষম ও বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে উঠবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server