স্টেশনে বসে আছি।।
আমাদের ভালোবাসার কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের দিনে আমার সাথে ঘটে যাওয়া ছোট ছোট কিছু ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আপনাদের সাথে আগের একটি ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করেছিলাম যে,আগামী বৃহস্পতিবারে আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ের দিন তারিখ ধার্য করা হয়েছে। তো সেজন্য গতকাল মঙ্গলবারে অফিস থেকে দুই দিনের ছুটির অ্যাপ্লিকেশন জমা দিয়েছিলাম । প্রথম দিকে যদিও এপ্লিকেশনের মধ্যে ম্যানেজার স্যারের সিগনেচার হয়েছে, তবে এডমিন এইচআর সেকশনে গিয়ে মনে হয় এটা আটকে গেছে। শনিবারে অফিসে যাওয়ার পরে বুঝা যাবে। কারণ আমি অ্যাপলিকেশন দিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে চলে এসেছিলাম। রাতের বেলা আমার এক কলিগ আমাকে ফোন করে ছুটির ব্যাপারে এরকমই একটি দুঃসংবাদ দিলো।
রাতের বেলা বাড়িতে আসার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলাম। সকাল ছয়টার সময় ঘুম থেকে ওঠার এলার্ম দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। আরেকটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করে রাখি, গতকাল রাত আটটার পর থেকে ঢাকা শহরে প্রচুর বৃষ্টিপাত আর ঝড় হয়েছিল। মোটামুটি প্রচন্ড জোরেই ঝড় বৃষ্টি হয়েছিল। যার ফলে বেশ কিছু গাছপালা পড়েছিল বিভিন্ন রাস্তার মধ্যে। ওয়েদার অনেক ঠান্ডা ছিল কারণ হলো রাত্রেবেলা প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। আমি সকাল ছয়টার সময় ঘুম থেকে উঠে ৩০ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে সাড়ে ছয়টার সময় বাসা থেকে বের হয়েছিলাম।
কিন্তু ভাগ্য বলে একটা কথা আছে, বাসা থেকে বের হয়ে বিআরটিসি বাসের মাধ্যমে সাইনবোর্ড পর্যন্ত এসেছিলাম। তারপরে লাব্বাইক বাসে উঠে শনি আখড়া এসে কিছুটা জ্যামের মধ্যে আটকে গেছিলাম। যাই হোক জ্যাম বেশি সময় ছিল না, তবে গোলাপবাগ স্টেশনে এসে মোটামুটি ভালো একটি জামের মধ্যে পড়লাম। তখন ভেবেছিলাম হয়তো হেঁটেই কমলাপুর স্টেশন চলে যাবে। কিন্তু রাস্তার মধ্যে প্রচুর পানি ছিল। যার ফলে হেঁটে আসা ও সম্ভব ছিল না। আর তাছাড়া রাস্তার মধ্যে গাছ পড়ে ভালোই জ্যাম লেগেছে। জ্যাম অতিক্রম করে ৭ টা ৫০ মিনিটে আমি কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছেছিলাম। কিন্তু সাতটা ৪৯ মিনিটে টেনটি ছেড়ে দিয়েছে। আমি ট্রেনটি দেখতে পেয়েছিলাম কিন্তু দৌড়ে গিয়েও ট্রেনটিপায়নি।
তারপর অন ট্রেনের জন্য লাইনে দাঁড়ালাম। যেটা সাড়ে নয়টার সময় ছাড়বে। প্রায় দুই ঘন্টার মত স্টেশন অপেক্ষা করলাম। তিতাস ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর পরে, আমার হাতে একটি ছোট ব্যাগ ছিল, সে ব্যাগিট পাশে এক জায়গায় রাখলাম। টিকেট নিতে গিয়ে মোটামুটি অনেক বড় লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। কারণ এ ট্রেনের টিকেটের জন্য সকাল ৭ঃ০০ টা থেকেই মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে যায়। আমি টিকিট নিতে গিয়ে আমার হাতের ব্যাগটি হারিয়ে ফেললাম। মানে আমি যেখানে ব্যাগটি রেখেছিলাম, সেখান থেকে কে যেন ব্যাগটি নিয়ে গেছে। ব্যাগ না পেয়ে আমি কিছুটা টেনশনে পড়ে গেলাম। এদিক ওদিক সব জায়গায় খুঁজে দেখার চেষ্টা করলাম। কিছুক্ষণ পরে একটি লোক এসে আমার ব্যাগটি যথাস্থানে রেখে দিলো। সে আমাকে দেখেই বুঝতে পেরেছিল যে ব্যাগটি আমার তারপর সরি বলে চলে গেল। আমি ব্যাগ পেয়ে টেনশন মুক্ত হলাম। তারপর বসে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষার পালা।
ফ্রেন্ড ছাড়ার সময় ৯ঃ৪৫। তবে সেটা সঠিক সময় ছাড়তে পারে কিনা সেটা আমরা কেউ জানিনা। আমার মত অনেক যাত্রী বসে বসে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। সকালে বাসা থেকে আসার সময় নাস্তা করা হয়নি। সেজন্য টিকেট কেটে হালকা নাস্তা করে নিলাম। আর খুবই আফসোস হচ্ছে, যদি বাসা থেকে আরেকটু আগে বের হতাম তাহলে মনে হয় ট্রেনটি মিস হতো না। কিছুদিন আগেও যখন এসেছিলাম তখন কিন্তু ট্রেন ছেড়েছিল ৮:১৫ মিনিটে। মানে আধা ঘন্টা লেট করেছিল। অথচ আমি আজকে এক মিনিট লেট করেছি অথচ ট্রেনটি পেলাম না। এটাই ভাগ্য।
দেখা যাক কখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে পারি, আজকে মনে হয় ভাগ্যটা তেমন ভালো না। সকালবেলায় হোচট খেয়ে গেলাম। সব দিন তো আর এক যায় না, সব সময় ভাগ্য ও সাথে থাকেনা। বাড়িতে এবং মামার কাছে সবকিছু ফোন করে বলে দিলাম। দেখা যাক পরিস্থিতি কিভাবে সামাল হয়।
তো বন্ধুরা, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। কখন বাড়িতে যেতে পারবো সেটা জানিনা। সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী। সুস্থভাবে যেন বাড়িতে পৌঁছতে পারি। যদি বেঁচে থাকি তাহলে আগামীকাল আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | স্টেশনে বসে আছি ।। |
স্থান | কমলাপুর , ঢাকা, বাংলাদেশ। |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
পড়তে বেশ ভালো লাগছিল ভাই৷ সুন্দর করে যাত্রার বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন। একটা জিনিস জানতাম না, যে বাংলাদেশে বেসরকারি ট্রেন চলে। এটা একটা তথ্য পেলাম৷ আর কমলাপুর স্টেশন খুব বড় একটি স্টেশন৷ আমি কিছুমাস আগে গিয়েছিলাম। এই স্টেশনের উল্টো দিকেই একটি হোটেলে ছিলামও৷ তাই মনে পড়ে গেল সেইসব৷ আর ভয়েস টাইপ করেছেন মনে হয়৷ অনেকগুলি টাইপিং মিস্টেক আছে। যেমন ট্রেন হয়ে গেছে ফ্রেন্ড৷ একবার পড়ে নিন।