ফুড ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি অনেক ভালো আছি। শরীরের এলার্জি প্রবলেমটা ধীরে ধীরে কমে আসতেছে। দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস যাবৎ এলার্জির সমস্যা নিয়ে ভুগতেছি। হয়তো আরো কিছুদিন এভাবে এলার্জি সমস্যা সহ্য করতে হবে। আমার পক্ষ থেকে সবাইকে বলতে চাই আপনারা সবাই খাবার-দাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। কারণ খাবার-দাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। এছাড়াও অন্যান্য কারণ রয়েছে, তবে বেশি অংশ খাবার-দাবারের মাধ্যমেই মানুষ অসুস্থ হয়ে থাকে। তাই আমাদের উচিত খাওয়া-দাওয়া করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

আমি দুই ধরনের মাংস একসাথে খেয়েছিলাম। হয়তো সেই কারণে আমার শরীরে এলার্জির সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। তবে সৃষ্টিকর্তা ইচ্ছা করলে যেকোন ভাবে মানুষকে রোগ দিতে পারে, মানুষ যে কোনভাবে অসুস্থ হতে পারে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে কিছু কিছু খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি রয়েছে। যাদের আমার মত এলার্জি রয়েছে তাদের সেই খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ হতেও পারে এই খাবার গুলোর মাধ্যমেও এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তো বন্ধুরা খাবারের কথা বলতে বলতে আজকে কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। ঘরোয়াভাবে তৈরি করা কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

প্রথমেই পোলাও দিয়ে শুরু করি। কারণ আমরা সাধারণত এ খাবারটি দিয়ে খাওয়া-দাওয়া শুরু করি। সর্বপ্রথম আমাদের প্লেটে রাইস আসে। মেহমান আসা উপলক্ষে বড় পাতিলে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে পোলাও রান্না করা হয়েছিল।

পোলাউ ওর সাথে দেওয়া হয় ডিম ভুনা, অথবা ডিম ভাজি অথবা ডিম তেল দিয়ে হালকা ভেজে পোলাউয়ের সাথে দেওয়া হয়ে থাকে। এখানে উপরে ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন,, স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে হালকা একটু ভেজে ডিমগুলো তুলে ফেলা হয়েছে।

তারপর আসলো করলা ভাজি, এটা শুধু আমার প্রিয় খাবার নয়, অনেক মানুষ করলা ভাজি খুবই পছন্দ করে। সবজি হিসেবে করলা ভাজিতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। করলা ভাজি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই যেকোন অনুষ্ঠানে অপশনাল হিসাবে করলা ভাজিটা রাখা হয়।

তারপর আসলো চিংড়ি মাছ ভুনা। এই মাছটি সবাই পছন্দ করে। তবে কিছুকিছু মানুষ রয়েছে যাদের আমার মত এলার্জির প্রবলেম রয়েছে তারা হয়তো এই মাছটি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। কারণ দেখা গেছে চিংড়ি মাছ খাওয়ার পরে শরীরে প্রচুর চুলকানি হয়। সেখান থেকে ধারণা করা হয় চিংড়ি মাছের মধ্যেও এলার্জির সমস্যা থাকতে পারে।

এলার্জির সমস্যার কারণে অনেকে হয়তো চিংড়ি মাছ খাবে না, তাই তাদের জন্য রয়েছে রূপচাঁদা ফ্রাই। মেহমান আসলে যেন কোনভাবেই না খেয়ে উঠতে না পারে। সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে। রূপচাঁদা ফ্রাইটি খেতে দারুন স্বাদ লেগেছিল।

তারপরে রয়েছে চিকেন ফ্রাই। চিকেন ফ্রাই মোটামুটি সবাই খাওয়ার চেষ্টা করে। এটাতে তেমন কারো কোন প্রবলেম নেই। ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন খুব সুন্দর করেই ফ্রাই করা হয়েছে। মা খালা মিলে রেস্টুরেন্ট স্টাইলেই রান্না করেছিল।

তারপরে আরও রয়েছে গরুর মাংস, বোরহানি, দই ও কোমল পানীয়। অর্থাৎ খাবারের কোন দিক দিয়ে কোন কমতি ছিল না। মেহমান আসলে তাদেরকে যত সম্ভব আদর আপ্যায়ন করা উচিত। কারণ সবাই যার যার রিযিক অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া করে থাকে। রিজিকের বাহিরে কেউ এক লোকমা ও খেতে পারে না।

দেখতে দেখতে আমিও আমার ব্লগের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। এখন আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেবো। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।