দুর্বার রাজশাহী এবং রংপুর রাইডার্সের মাঝে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল এর ৩৪তম ম্যাচের রিভিউ শেয়ার করবো। যেই ম্যাচটি দুর্বার রাজশাহী ও রংপুর রাইডার্স এর মাঝে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গতকালকের ম্যাচটি অল্প রানের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। গতকালকে যারা খেলাটি দেখেছে তারা বলতে পারবে কতটা উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ ছিল। খেলার প্রথম দিকে ছিল একরকম আর খেলার শেষের দিকে হয়ে গেছে আরেক রকম। মানে অস্থির একটি ম্যাচ হয়েছে।

বাংলাদেশ টাইম সন্ধ্যা ছয়টা ৩০ মিনিটে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুর্বার রাজশাহী বনাম রংপুর রাইডার্স এর খেলাটি শুরু হয়। পয়েন্ট টেবিলে সবার শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্স প্রথমে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে। দুর্বার রাজশাহীকে ব্যাটিং করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। রাজশাহীর পক্ষে ওপেনার হিসাবে ব্যাট করতে আসে জিসান আলম ও সাব্বির হুসাইন। তবে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি দুর্বার রাজশাহীর। জিসান আলম তিন বল মোকাবেলা করে মাত্র ২ রান সংগ্রহ করে সাইফুদ্দিনের বলে আউট হয়ে যাই। সাব্বির হোসেন মাত্র দুইটি চারের বাউন্ডারি দিয়ে ১৩ বলে ১১ রান করে রাকিবুল হাসানের শিকার হয়।

screenshot from rabbitholebd

তারপর মাঠে আসে এনামুল হক ও মৃত্যুনঞ্জয় চৌধুরী। এ দুজন মোটামুটি ধরে খেলার চেষ্টা করলেও তারা বেশিক্ষণ মাঠে টিকে থাকতে পারেনি। এনামুল হক ১৬ বলে ১৩ রান করে রান আউটের শিকার হয়। অপর পাশে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী দশ বলে দশ রান করে আউট হয়ে যায়। তারপরে এম এস মেহরাব সাত বলে সাত রান, ইয়াসির আলী চার বলে তিন রান, মিজানুর রহমান ১০ বলে পাঁচ রান করে আউট হয়ে যাই।।

দুর্বার রাজশাহীর মাত্র ৮৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ে।। তবে আকবর আলী এবং সানজামুল ইসলাম কিছুটা রান করে। আকবর আলী ২১ বলে ১৯ রান ও সানজামুল ইসলাম ২৯ বল মোকাবেলা করে ২৮ রান সংগ্রহ করে। সব মিলিয়ে রাজশাহী ২০ ওভার মোকাবেলা করে মাত্র ১১৯ রান সংগ্রহ করে।

screenshot from rabbitholebd

রংপুর রাইডার্সের পক্ষে স্টিভেন টেইলর ও সৌম্য সরকার ওপেনিং করে। টেইলরে ব্যাটে তেমন রান আসে নাই। মাত্র দুই রান করে তাসকিনের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ে। সৌম্য সরকার ১৩ বলে আট রান করে বড় শর্ট খেলতে গিয়ে আকবর আলীর হাতে ধরা পরে। তারপর সাইফ হাসান, মেহেদী হাসান শূণ্য রান এবং নুরুল হাসান দুই রান করে আউট হয়।

ইফতেখার আহমেদ ২০ বলে ১৪ রান, খোশদিল শাহ ১৮ বলে ১০ রান করে চলে গেলে কঠিন চাপে পড়ে রংপুর রাইডার্স। তখন ৪৯ রানে ৭ উইকেট হারায় রংপুর। দলের কঠিন সময়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে সাইফুদ্দিন। সে রাকিবুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছে। শেষের দিকে রাকিবুল হাসান ২২ বলে ২০ রান করে এলবিডব্লিউর শিকার হয়। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিল সাইফুদ্দিন। সে ৩১ বল মোকাবেলা করে ৫২ রান সংগ্রহ করে অপরাজিত ছিল। তার ব্যাট থেকে ছয়টি চার ও ৩টি ছয়ের বাউন্ডারি আসে। ফলাফল ২ রানে জয় পায় দুর্বার রাজশাহী। আর একটি বল থাকলই ফলাফল ঘুরে যেতো।

screenshot from rabbitholebd

আমরা যদি বলিং বিবেচনা করি তাহলে দেখতে পায় দুই দলই ভালো বলিং করেছে। তবে দুর্বার রাজশাহীর পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৪টি উইকেট পেয়েছে। আর রংপুর রাইডার্স এর পক্ষে খুশদিল শাহ চার ওভারে ১৯ রান খরচ করে ৩টি উইকেট লাভ করে। দুই দলই ভালো বোলিং করেছে। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।