দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রাখলো ঢাকা ক্যাপিটালস।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলের গতকালকের ঢাকা ক্যাপিটালস বনাম সিলেট স্টাইকার্স এর মধ্যকার খেলার রিভিউ শেয়ার করবো।

বন্ধুরা দেখতে দেখতে ২০২৪/২৫ সালের বিপিএল এর ২৮ টি ম্যাচ অতিক্রম হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পয়েন্ট তালিকায় রংপুর রাইডার্স সব থেকে এগিয়ে রয়েছে। তারা সব কটি খেলা জিতেছে। আর ঢাকা এবং সিলেট এবার আসরের সবথেকে তলানিতে রয়েছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত ফলাফল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। তো বন্ধুরা গতকাল ঢাকা ক্যাপিটালস বনাম সিলেট স্ট্রাইকার্স এর দারুন একটি খেলা উপভোগ করলাম। খুবই উত্তেজনাপূর্ণ একটি খেলা ছিল। সম্পূর্ণ খেলার মধ্যে টানটান উত্তেজনা ছিল। দুই দলই মোটামুটি ভালোই খেলেছে। কোন দলই কোন অংশে কম ছিল না।

** screen shot forum T Sports **

গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার সময় চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম ঢাকা ক্যাপিটেলসের মধ্যকার খেলাটি শুরু হয়েছিল। ঢাকা ক্যাপিটালস ক্যাপ্টেন টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ঢাকার পক্ষে তানজিদ হাসান এবং লিটন দাস ওপেনার হিসেবে ব্যাটিং করেছিল। তাদের শুরুটা মোটামুটি ভালই হয়েছিল তানজিত হাসান ১৬ বল মোকাবেলা করে ২২ রান সংগ্রহ করেছিল। অপরদিকে লিটন দাস ৪৮ বল মোকাবেলা করে ৭০ রান সংগ্রহ করেছিল। তার ব্যাট থেকে আমরা চারটি চার ও চারটি ছয়ের বাউন্ডারি দেখেছিলাম। সে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খেলাটি টেনে নিয়ে গিয়েছিল।

এ দুজন আউট হওয়ার পরে মোসাদ্দেক হোসেন এবং জেপি কোটজে মাঠে আসলেও তাদের ব্যাটে তেমন রান আসে নাই। মোসাদ্দেক হোসেন সাত বলে চার রান ও কোটজে ৮ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যাই। ঢাকা ক্যাপিটালসের রান যখন ১০৪ তখন চারটি উইকেট এর পতন হয়েছিল। তারপর সাব্বির হোসেন এবং তিশারা পেরারা মোটামুটি কিছু রান করেছিল। সাব্বির হোসেন ২১ বলে ২৪ তিসারা পেরারা ১৭ বলে ৩৭ রান সংগ্রহ করেছিল। সব মিলিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালস ছয় উইকেট হারিয়ে ২০ ওভার মোকাবেলা করে ১৯৬ রান সংগ্রহ করেছিল।

** screenshot forum T Sports **

দ্বিতীয় পর্বে সিলেট স্ট্রাইকার্সের প্রথম উইকেটের পতন ঘটায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সিলেট স্ট্রাইকার্স এর পক্ষে ওপেনিং ব্যাটিং করেছিল জর্জ মুন্সী এবং রনি তালুকদার। জর্জ মুন্সি পাঁচ বলে তিন রান করে আউট হয়ে গেলেও রনি তালুকদার প্রথম থেকেই ধরে খেলার চেষ্টা করেছিলাম। সে ৪৪ বল মোকাবেলা করে ৬৮ রান সংগ্রহ করেছিল। যার মধ্যে আমরা নয়টি চারের বাউন্ডারি দেখতে পায়। তবে কোন ছয়ের বাউন্ডারি দেখতে পাইনি।

তৃতীয় নম্বরে জাকির হাসান সাত বলে আট রান করে আউট হয়ে যায়। তারপর জন্স এবং জাকের আলি আরো কিছু রান সংগ্রহ করে। জন্স ৩২ বলে ৩৬ রান জাকের আলী ১৩ বলে ২৮ রান সংগ্রহ করে। তারপর আরিফুল হক তের বলে ২৯ রান সংগ্রহ করলে মোটামুটি খেলাটি উত্তেজনাপূর্ণ একটি পরিস্থিতিতে পৌঁছায়। শেষের দিকে সামিউল্লাহ ছানুয়ারি ৪ বলে ১২ রান করলে মাঠের মধ্যে সব দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে যায়। সামিউল্লাহ সানোয়ারই যদি আরেকটি ছয়ের বাউন্ডারি দিতে পারতো তাহলে হয়তো খেলাটি সিলেট স্ট্রাইকার্স জিততে পারতো। তবে ফলাফল দাঁড়ায় ঢাকা ক্যাপিটালস ছয় রানে জয় লাভ করে।

** screenshot forum T Sports **

খেলাটি দেখে ভালোই লেগেছিল দুই দল মোটামুটি ভালোই খেলেছে। অল্প কিছু রানের জন্য সিলেট স্ট্রাইকার্স হেরে যাই ঢাকা ক্যাপ্টেন্স এর মুখে হাঁসি ফুটে। এটাই যেন চিরাচরিত নিয়ম। কেউ হাঁসে কেউ কাঁদে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।