দেনাপাওনা নাটক সিরিজ রিভিউ- ৫-৬ পর্ব।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করতে চলে এলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে দেনা পাওনা নাটক সিরিজের পঞ্চম ও ষষ্ঠ এপিসোডের রিভিউ শেয়ার করবো। আমি এই নাটকটি দেখেছি প্রায় এক মাস আগে। ফেসবুকে এখনো নাটকটি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সব সময় নাটকটির পক্ষে পজিটিভ রিভিউ পাই। সেজন্য চিন্তা করলাম,আজকে দুইটি পর্ব আপনাদের সাথে রিভিউ শেয়ার করা যাক।
নাটকের প্রয়োজনী কিছু তথ্য
নাটকের নাম:- দেনা পাওনা
পরিচালনাঃ- কে এম সোহাগ রানা
প্রযোজক:- সোহাগ তালুকদার
অভিনয়েঃ- শহিদুজ্জামান সেলিম, অ্যালেন শুভ্র, ডা. এজাজুল ইসলাম, শিল্পী সরকার অপু, মনিরা আক্তার মিঠু, সুষমা সরকার, মুসাফিরে সৈয়দ বাচ্চু, সোহাগ খান, এমএনইউ রাজু, এবি রোকন, তানজিম হাসান অনিক, তাবাসসুম জাসান ছৈয়া, সুবহানা, তানজিম হাসান সহ আরও অনেকে।
মুক্তির তারিখঃ- ২৬শে নভেম্বর ২০২৪
সময়ঃ- দুটি এপিসোড ৪০ মিনিট
দেশঃ- বাংলাদেশ
ভাষাঃ- বাংলা।
সংক্ষিপ্ত রিভিউ-
গত পর্বগুলোতে আমরা দেখেছিলাম শহীদের বাবা মা ও তার ছোট ভাই তার বাসায় বেড়াতে এসেছে। মূলত তারা বেড়াতে আসে নাই, বরং বাড়ি বন্দকের টাকা নিতে এসেছে। ছোট একটি বাসাতে এতগুলো মানুষ থাকা নিয়ে শহীদের বউ প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে। এরমধ্যে শহীদের মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে গ্রাম থেকে শহীদের শাশুড়ি ও তার একমাত্র শালা নবাব এসেছে। শহীদের শাশুড়ি সেই ধরনের মহিলা। খুব বেশি কথা বলে।
গ্রাম থেকে এসেই বাড়ির দারোয়ানের সাথে ক্যাচাল লাগিয়ে দিয়েছে। সে কেন সালাম দিল না, সে ঠিকঠাকমতো ডিউটি করে কিনা, বাড়ির মালিকের সামনে এসব কিছু জিজ্ঞেস করা শুরু করে দিয়েছে। আবার বাড়ির মালিককে বলেছে দারোয়ানের সেলারি যেন কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। দারোয়ানের সেলারি বাড়ানোর সুপারিশ করার পরেও দারোয়ান শহীদের শাশুড়ি এবং তার শালাকে একদম পছন্দ করে না কিন্তু দারোয়ান সেটা কাউকে বুঝতে দেয় না।
এদিকে শহিদুজ্জামান বাসায় অনেক মানুষ থাকার কারণে বড় ছেলে শহীদের সাথে ঠিকভাবে কথাবার্তা বলতে পারছে না। সেই জন্য সে তার ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে বড় ছেলে শহীদের অফিসে চলে আসে। কিন্তু শহীদ তার বাবাকে তার অফিসে দেখে মোটামুটি রাগারাগি করলো। শহিদুজ্জামান যতই বাড়ির বন্দকের টাকার কথা বলতে চাই, শহীদ সেটা শুনেও এড়িয়ে চলে যাই। অবশেষে ব্যর্থ হয়ে শহীদুজ্জামান ও তার ছোট ছেলে বাসায় ফিরে চলে যাই।
এদিকে বাসায় অনেক মেহমান থাকার কারণে রাতের বেলা সবার ঘুমাতে একটু কষ্ট হয়। তাছাড়া বাসার মধ্যে মাত্র দুইটি রুম। সেই কারণে শহিদুজ্জামান ও তার ছোট ছেলে ফ্লোরে ঘুমায়। এর আগে খাইরুল সোফার মধ্যে ঘুমালেও নবাব এসে খাইরুলের সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে। অন্যদিকে শহীদুজ্জামানের মেয়ে শাশুড়ি শালিকা ও তার মা এক রুমে ঘুমাই। খায়রুলের রাতের বেলা ঘুম আসছিল না। সে কারণে সে রাতের বেলা তার বাবাকে বলে দারোয়ানের সাথে ঘুমাতে চলে যাই। সেখানে গিয়ে আরামে ঘুম দেয়। দারোয়ান সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গেটে চলে গেলেও খাইরুল কে ডেকে তুলে দেইনি। যার ফলে সকালবেলা শহীদ অফিসে যাওয়ার সময় খাইরুল কে দারোয়ানের রুমে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে প্রচুর রাগারাগি করে।
পরের দিন রাতের বেলা খাইরুল ছাদে চলে যাই। সে চিন্তা করেছে, আমি বাবার সাথে ফ্লোরে ঘুমাতে পারিনা, দারোয়ানের সাথে ঘুমাতে পারিনা, তাহলে ছাদে বসেই সারারাত কাটিয়ে দিবো। এমন চিন্তা ভাবনা করে খাইরুল ছাদে চলে গেছিল। খায়রুল কে বাসায় দেখতে না পেয়ে তাকে খুঁজতে খুঁজতে নিপা ছাদে চলে যাই। সেখানে দুজন মিলে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে। তারপর দুইজন একসাথে বাসার ভিতরে প্রবেশ করতেই নিপার বড় বোন তার মার কাছে নিপার নামের নালিশ করে। তারপর নীপার মা নিপাকে দুইটি থাপ্পড় মারে। অপরদিকে খাইরুলের ভাবি তার বড় ভাইয়ের কাছে খাইরুলের নামে নালিশ করে। খাইরুলের ভাই শহীদ খায়রুলকে না মারলেও খায়রুলের বাবা তাকে একটি থাপ্পড় মারে। এসব ঘটনা শেষের পথে শহীদের বউ খুব রাগান্বিত সরে একটা কথা বলে যাই, বাসাটাকে নোঙ্গরখানা বানিয়ে ফেলেছে। এই কথাটা শহীদুজ্জামান এর শরীরে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। যার ফলে সে তার ফ্যামিলি নিয়ে রাতের বেলা বাসা থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
মতামত-
এ দুই পূর্বে মোটামুটি একটি বিষয় ফুটে উঠেছে যে, এখানে মূলত খায়রুলের কিছুটা দোষ রয়েছে। সে দারোয়ানের রুমে না গিয়ে ফ্লোরে যেকোনো জায়গায় ঘুমিয়ে থাকতে পারতো। আর তাকে যেহেতু নিপার সাথে কথা বলতে বারণ করা হয়েছে সে এবার সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে পারতো। আবার অন্য দিকে সহিত তার বাবার সাথে যা আচরণ করেছে সেটা কখনো কাম্য নয়। এখন দেখা যাক পরের পরবে কি আসে।
নাটকের দুই পর্বের লিংক
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [2/1/2025 10:09 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
দেনা পাওনা নাটকটা আমি প্রথম থেকেই দেখি।নাটকটি খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে।৫-৬ পর্বের রিভিউ আজকে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরলে।নাটকটি যত দেখবেন তত দেখার প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দেনা পাওনা নাটকের রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে নাটকটা অনেক বেশি সুন্দর। যদিও নাটকটা আমার কখনো দেখা হয়নি। তবে রিভিউটা পড়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমি তো ভাবছি সময় পেলে নাটকটা দেখব। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এরকম নাটক গুলো দেখতে। আজকে আপনি ৫ এবং ৬ নাম্বার পর্ব শেয়ার করলেন। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বগুলোর রিভিউ পড়ার জন্য।
এই নাটকটার শর্ট ভিডিও দেখেছিলাম কিন্তু নাটকটা এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি। তবে আমার কাছে নাটকটা অনেক সুন্দর লেগেছিল। আজকে আপনি নাটকের রিভিউটা শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। এরকম নাটক গুলো দেখতে আমি অনেক ভালোবাসি। মাঝেমধ্যেই নাটক দেখা হয় আমার। তবে ব্যস্ততার জন্য সব সময় দেখা হয় না। আজকে এই নাটকের 5-6 পর্বের রিভিউ পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।