লাইফস্টাইল: ডাঃ হামজা ভাইয়ের বিয়েতে কেনাকাটা || দ্বাদশ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ16 hours ago


আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম


কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম আমাদের প্রিয় খালাতো ডাক্তার ভাইয়ের বিবাহ উপলক্ষে আমার অনুভূতিমূলক পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আমি বেশ কিছু পর্বে নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ভাইয়ার বিবাহর জন্য কেনাকাটার অনুভূতি নিয়ে। ঠিক তেমনি আজকে কেনাকাটা বিষয়ে আরো একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আজকের পোস্টে থাকবে মিষ্টি কেনার পাশাপাশি ফলকেনা আর আগামী দিনের পরিকল্পনার অনুভূতিগুলো। মনে করি, ভাইয়ার বিয়ের টানটান আনন্দ অনুভব পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

IMG_20240828_185814_642.jpg

photography device: Infinix Hot 11s

[What 3 word's location](https://w3w.co/halves.controls.reactors)


হামজা ভাইয়ার নতুন কোয়াটার থেকে সোজাসুজি গাংনীতে এসে উপস্থিত হয়ে। এরপর ভাইয়া এবং বাবুর আব্বা নির্দিষ্ট স্থানে মোটরসাইকেল রাখলো। সেখান থেকে এগিয়ে গেল মিষ্টির দোকানে। মিষ্টির দোকানে যেতে ফলের দোকানগুলো। প্রথম প্লান ছিল মিষ্টি কেনার পাশাপাশি মিষ্টি খাওয়া দাওয়া। প্লান মাফিক মিষ্টি কেনা খাওয়া দাওয়া আর আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে কথা হল। হামজা ভাইয়া রাত পোহালেই কোয়াটার থেকে বাসায় চলে যাবে। সেখানে অনেক সুন্দর ভাবে পাত্রীপক্ষের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করবেন। পাত্রী পক্ষ জোহরের নামাজের আগেই পৌঁছে যাবেন তাদের বাসায়। এরপর ভাইয়াদের গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়বে অতঃপর ও খাওয়া-দাওয়া আলাপ আলোচনা।

IMG_20240828_185356_8.jpg

IMG_20240828_185352_4.jpg

IMG_20240828_185342_7.jpg

IMG_20240828_185337_1.jpg


মিষ্টির দোকানে উপস্থিত হয়ে দেখতে পারলাম লাইটিং এর জন্য মিষ্টি গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগছে। তবে বিষয় ছিল তাদের জন্য কেমন মিষ্টি নিলে বেশি পছন্দ করবে। বিষয়টা হামজা ভাইয়ার উপরে আমরা ছেড়ে দিলাম। এখন তিনি আপ্যায়নের জন্য কেমন মিষ্টি নিবেন সেটা তিনি ভাল বুঝবেন। উনার কাছে কত টাকা আছে না আছে, কেমন মিষ্টি হলে তাদের পরিবেশে ভালো মানাবে সেটা আমরা কতটা বুঝবো। আমাদের মিষ্টি খাওয়া প্রয়োজন আর ভাইয়ার সাথে থেকে কেনাকাটা প্রয়োজন, মূলত আমরা সেটাই করছি। ভাইয়া তার সুবিধামতো আমাদের মিষ্টি খাওয়ালেন এবং আলাদাভাবে দুই প্যাকেটে চার রকমের মিষ্টি নিলেন। আর এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা মিষ্টি খাওয়া আর মিষ্টি প্যাকেট করে নেওয়ার মধ্যে বেশ কিছুটা সময় চলে গেল।

IMG_20240828_185323_2.jpg

IMG_20240828_185259_7.jpg

IMG_20240828_184938_738.jpg


মিষ্টি খাওয়া ও কেনাকাটা শেষে বের হয়ে আসলাম ফলের দোকানের দিকে। চেয়ে দেখলাম রাতে কেমনে বাজারের ফলের দোকানগুলো বেশি জাকজমকপূর্ণ। কিন্তু ফলের দোকানগুলোতে তেমন মানুষের ভিড় নেই। যত মানুষের ভিড় ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে। আমাদের খুব ইচ্ছে ছিল ফাস্টফুডের দোকানে যাব। বাসায় যাওয়া অনেক লেট হয়ে যাচ্ছে। তাই সেভাবে ফাস্টফুডের দোকানের দিকে যাওয়া হলো না। শুধুমাত্র নতুন গেস্টদের ভালো ফল পরিবেশন করতে হবে তাই ফলের বাজারে ভালো ভালো ফল গুলো দেখার পাশাপাশি কিনতে হলো। বেশ ভালো দামে ভালো মানের আপেল, দুই রকমের আঙ্গুর ফল, কমলালেবু ও আনার বা মালটা ফল কিনতে হল।

IMG_20240828_185455_3.jpg

IMG_20240828_185931_129.jpg

IMG_20240828_185940_755.jpg

IMG_20240828_190529_870.jpg


এই ফলের দোকানগুলোতে আনারস ছিল না। রাস্তা ক্রস করে ওই পারে আনারস আনতে হবে। আর সেখানে চিকেন ফ্রাই থাকলে চিকেন ফ্রাই নিয়ে আসবে। আসলে রাস্তা ক্রস করে হাঁটাহাঁটি করা আমার জন্য খুবই ঝামেলার মনে হচ্ছিল। তাই আমি তাদের মোটরসাইকেল দুইটার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলাম। ভাইয়া আর বাবুর আব্বা রাস্তার ওইপারে চলে গেল। তারা তাদের মত কেনাকাটা করে কিছুক্ষণ পর আবার এই পারে চলে আসলো। আমার ততক্ষণে আমি সুযোগ বুঝে আরও বেশ কিছু ফটো ধারণ করলাম। অনেক ভালো লাগছিল ভাইয়ার বিয়ের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো নিয়ে। মনে হচ্ছিল যেন বিয়ের অনুষ্ঠানটাচে কেনাকাটার আনন্দটা অনেক বেশি। যদি রাত না হয়ে যেত তাহলে কসমেটিকসের বাজারগুলো গাংনী বাজার থেকে করে যেতাম। পূর্বের পর্বগুলোতে জানিয়েছি বামুন্দি বাজার থেকে কসমেটিক্স সব কেনা হয়েছিল না। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় আর দোকানে যাওয়ার ইচ্ছে। সিদ্ধান্ত হয়েছিল পরবর্তী দিনে গেস্ট আপ্পায়ন শেষে তারপরের দিন গাংনী বাজার থেকে কসমেটিক সামগ্রী আর সোনার অলংকার কেনা হবে। আর এই সমস্ত বিষয় নিয়ে তারা একটু আলাপ-আলোচনা করলো। সেই ফাঁকে আমিও বেশ আরো কিছু ফটো ধারণ করলাম। এরপর হামজা ভাইয়াকে বিদায় জানালাম। ভাইয়া আবার তার কোয়ার্টারে ব্যাক চলে গেল। এদিকে আমরাও আমাদের বাসায় ফিরে আসলাম।

IMG_20240828_190801_042.jpg

IMG_20240828_190254_605.jpg

IMG_20240828_190259_715.jpg

IMG_20240828_190756_515.jpg

IMG_20240828_190040_712.jpg

IMG_20240828_191128_256.jpg

IMG_20240828_191121_429.jpg

IMG_20240828_191118_572.jpg


PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png


সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

ij42VfeLLLL7WCxzYedv2KU7aUqHk3RNyfwHxuumhaYnHGG1dsqAWnhgxDavkADTEGBJEwSdb572op7FjANMqWxnMxgRucn6JYEH18dx32zBsGYg8oAuC5Quz1do2uNbdFiF3z6Lk1Hw8qJ8jcr6SQ85SbvCaLy5VUwHxx3SRmPnXqteex2eVHV2cAzT5iwMRSwwYpQBkt5B8W7bPzGLjyAxm.gif


পোস্ট এর বিবরণ


বিষয়হামজা ভাইয়ের বিয়ে
What3words LocationGangni-Meherpur
মোবাইলInfinix Hot 11s
ক্রেডিট@jannatul01
ব্লগারআমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPyVUVUB9zP9fbbwhZZLcosDYcEa83Lt5D27DhnwTLHze5DsSthwKddRsCb82xptNjNWzhSvhyp3ShNvja...Z6ARuWwfY6J6xct8hSEYrP54kRaGFBTsKrnqmn4Bx9zAsp58P6TFXf47sNUHFQ6BeHqhYuwsDUtfJ8zzg455YueE9KAteNbQKJpmJwhafJ26xMsnBZwqjCBTw4.png


আমার পরিচয়


আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।


2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WGDwoE5cNuP4f1pr5UUQ4A5WGsZ1y45eRYtB46r1QiD7EQLTn44HJr2kribwtuEHdfW5wGbT24WjehaDmHe6.png


2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Sort:  
 16 hours ago 
 16 hours ago 

আজকের কাজ সম্পন্ন

Screenshot_20250117_230803.jpg

Screenshot_20250117_230659.jpg

Screenshot_20250117_230120.jpg

 15 hours ago 

আপনার হামজা ভাইয়ের বিয়ের গত পর্বগুলো আমার পড়া হয়েছে। এবারে আপনি মিষ্টি কেনা কাটার দায়িত্বে ছিলেন। আপনি আপনার দায়িত্ব খুব ভালোভাবে পালন করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আসলে একটা বিয়ের অনুষ্ঠান হলে তার অনেক দায়িত্ব কাজকর্ম থাকে। আপনার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক কেনাকাটা করেছেন দেখছি।