রেনডম ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে এসেছি। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করব বর্ণনার সাথে। আশা করব,ভালো লাগবে সবার।
রেনডম ফটোগ্রাফি
শীতের সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুল সরিষা ফুল। এ সময়ে নিজেদের হাতে বাগান সাজানো হয় বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর ফুল দিয়ে। কিন্তু সারা দেশব্যাপী ফসলের মাঠে সবচেয়ে বেশি ফুটে থাকে সরিষা ফুল। সরিষা ফুলের সৌন্দর্য মানুষকে এতটাই আকর্ষণ করে। একটু সুযোগ পেলে মানুষ ছুটে যায় ফসলের মাঠের দিকে। কিছুটা সময় সরিষা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করে। ফটোগ্রাফি করে থাকে। নিজের স্মৃতি ধরে রাখতে সেলফি তুলে থাকে। আমিও অনেক পছন্দ করি সরিষা ফুল। তাই আজকে ফটোগ্রাফি করেছি আমাদের বাড়ি থেকে। আমাদের বাড়ির বিভিন্ন জায়গাতে সরিষা গাছ হয়েছে। জায়গায় জায়গায় ফুটে রয়েছে এমন সরিষা ফুল।
এখন আপনারা দেখছেন তুলসী পাতার ফুল। শীতের সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় পাতার নাম তুলসী পাতা। গ্রামে গ্রামে যে বাড়িতে ছোট বাচ্চা রয়েছে। সে বাড়ির সদস্যরা একবার হলেও স্মরণ করেছে তুলসী পাতার কথা। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন তত বেশি ডাক্তার ফার্মেসী ছিল না। তাই আমাদের পিতা-মাতারা সর্দি-কাশি জ্বরের মুহূর্তে নির্ভর করতেন তুলসী পাতার উপর। প্রয়োজনীয় জিনিসটাই আমাদের ঘরের সামনে একটি তুলসী গাছ লাগানো হয়েছে।
বর্ষার সময়ে মোবাইলে ধারণ করা একটি ফটোগ্রাফি। বাড়ির পাশেই একটি বাঁশের বাগান রয়েছে। পুকুরে সবজি তুলতে গেলে অথবা মাছ ধরতে গেলে লক্ষ্য করে দেখেছি বাগানটা। বৃষ্টির পানিতে জায়গায় জায়গায় পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। তার পাশে গিয়ে পুকুরপাড় হয়ে আমাদের পুকুরে অবস্থান করতাম। একটি সময় এই স্থান ছিল অনেক ভয়ংকর। শশুর বাড়িতে আসার পরে এই সমস্ত জায়গা অনেক ভয়ঙ্কর ভয়ংকর গল্প শুনেছি। কোন এক সময় সুযোগ পেলে এই সমস্ত জায়গার সে ভয়ংকর গল্প গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
রিলাক্সে বসে পাঙ্গাস মাছের খাবার দিচ্ছে বাবুর আব্বা। এদিকে বেশ কিছু কলা গাছ থেকে কলা কেটে কেটে রেখে দেওয়া হয়েছে কষ ঝরে যাওয়ার জন্য। এমন মুহূর্তে এই ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সময় চলে যায়। তবে সেই সময়ের বিশেষ কিছু ফটোগ্রাফি করতে পারলে এভাবেই পরবর্তীতে দেখার সুযোগ হয়।
পুকুর পাড়ে একটি গোগলু পোকা বা ড্রাগন ফ্লাই বসে রয়েছে। বর্ষার সময় এই কীটপতঙ্গের দেখা মিলে বেশি। এ সময় কেউ অনেক দেখা যায় তবে বর্ষার সময় সব জায়গায় এর উপস্থিতি বেশি থাকে।
এটা একটি চাল কুমড়ার ফটোগ্রাফি। আমাদের টিউবওয়েল পাড়ে আম গাছে, চাল কুমড়ার লতা এসে এই কুমড়াটা হয়েছিল। টিউবওয়েল থেকে পানি নিতে গেলেই কুমড়াটা চোখের সামনে বাধতো। আর বৃষ্টির মুহূর্তে একটা বিষয় লক্ষ্য করতাম। পাড়া গায়ের মানান বিড়ালটা, আমাদের ব্রয়লার মুরগি ঘরের নিচে অবস্থান করতো।
কার মৃত্যু কখন কিভাবে হয় কেউ জানে না। এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি বক পাখি ঝুলে মরে রয়েছে। এটা আমাদের পুকুর থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি পুকুর লক্ষ্য করেছিলাম। সারা পুকুর জাল দিয়ে ঘেরাও করে রেখেছে। সকাল বেলায় বিভিন্ন জায়গা থেকে বক পাখি পানকৌড়ি পাখি মাছরাঙ্গা পাখি যে কোন পুকুরকে কেন্দ্র করে হামলা করে। পাল পাল এসে মাছ খেয়ে যায়। তাই পুকুরটা ঘিরে রাখার জন্য অনেকে এভাবে জাল ব্যবহার করে। তার মধ্য থেকেও অনেক সময় পাখিরা মাছ খাওয়ার চেষ্টা করে। একদম ধার দিয়ে নেমে ভেতরে প্রবেশ করে মাছ ধরে। আবার অনেকে চতুরগিরি করে চালের উপর দাঁড়িয়ে মাছ ধরে। আর তখনই কারোর পরিণতি এমন হয়।
এখানে আপনারা লক্ষ্য করছেন অনেক সুন্দর শিমের ফুল ফুটেছে। এই সিমের ফুল ফটোগ্রাফি করেছিলাম আমাদের বাগান থেকে। সীমের ফুল অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। প্রত্যেকটা ফুলের মধ্যে নিজ নিজ সৌন্দর্য রয়েছে। তবে সবজি ফুলের মধ্যে শিমের ফুলের সৌন্দর্য অনেক বেশি। সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করতে পারলে এই সৌন্দর্য বোঝা যায়।
পাতি হাঁসের এই ফটোগ্রাফি দেখলে বারবার মনে হয় "আজকে আমার মন ভালো নেই"। পুকুরের মধ্যে চরাই করে, এভাবে এক পা উঁচা করে, মুখটা দুই ডানার মধ্যে লুকিয়ে, রোদে গা জুড়ায় এই পাতি হাঁস। এটা এদের একটা সুন্দর বৈশিষ্ট্য। তাদের এই চমৎকার বৈশিষ্ট্য আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এক পায়ের উপর ভরন দিয়ে থাকাটাও বেশ কঠিন।
বাপজান যখন নারিকেল পছন্দ করে। তখন চেষ্টা করা হয় তার হাতে নারিকেল তুলে দেওয়ার। আর যখনই সে নারিকেল হাতে পায়। দেখে বুঝতেই পারছেন কতটা আনন্দে খাওয়ার চেষ্টা করে।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | রেনডম ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
X--promotion
আজকের কাজ সম্পন্ন
একটা সত্যি বলেছেন আপু শীতের সময় এসব থেকে জনপ্রিয় ফুল হচ্ছে সরিষা ফুল। গ্রামের মাঠগুলোতে আসলে সরিষা ফুলের দৃশ্য দেখলে মন ভরে যায়। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু। আপনি যদিও এলোমেলো ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করেছেন কিন্তু দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে সরিষা ফুল এবং সিম ফুলের ফটোগ্রাফিটি।ফটোগ্ৰাফির পাশাপাশি দারুন বর্ণনাও দিয়েছেন এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে
বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি, গ্রাম বাংলার কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সরিষা ফুল আর শিম ফুল দেখে খুব ভালো লাগলো। মাছের খাবার খাওয়ার দৃশ্য দেখতে সত্যি খুব দারুণ লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
দারুন দারুন ফটোগ্রাফি আছে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখতে আমি বেশ পছন্দ করি কারণ অনেক ধরনের ফটোগ্রাফি একসাথে দেখতে পাওয়া যায়। আমার কাছে আজকের সবগুলো ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে একেবারে শেষের ফটোগ্রাফিটা দারুন লাগছে ।যেখানে আপনার বাপজান তার পছন্দের নারিকেল খাচ্ছে সেই ফটোগ্রাফিটা দেখে একেবারে চোখ জুড়িয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আপনার ফটোগ্রাফি দেখে সত্যিই মনটা প্রশান্ত হলো। গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার ছবিতে অসাধারণভাবে ফুটে উঠেছে। সরিষা ফুল আর শিম ফুলের মাঝে প্রকৃতির নিখুঁত রঙ, এক অদ্ভুত শান্তি এনে দেয়। মাছ খেতে দেখতে যেমন মজা, তেমন আপনিও আমাদের সঙ্গে সেই স্নিগ্ধ মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন, এর জন্য কৃতজ্ঞ।ধন্যবাদ আপনাকে এই অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আজকে আপনি খুব সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। তবে আপনার শিম ফুলের এর ফটোগ্রাফি এবং সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে। এবং আপনার বাপজানের ফটোগ্রাফিও ভালো লাগলো। তবে এটি শুনে ভালো লাগলো সেই নারিকেল খেতে পছন্দ করে এবং আপনি নারিকেল তুলে খাওয়ান । এবং ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনার ছেলে তো দেখছি বেশ মজা করে নারিকেল খাচ্ছে। বাচ্চারা যেটা পছন্দ করে তাদেরকে সেটা দিতেই হয়। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে চাল কুমড়ার ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সবসময়ই আপনার সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসছি। সব সময় আপনি যেভাবে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন তা খুবই সুন্দর হয়েছে৷ এখানে আজকেও যেভাবে আপনি অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ যা দেখেও খুব ভালো লাগছে৷ এর মধ্যে একের পর এক ফটোগ্রাফি গুলো যখন দেখছিলাম তখন একেবারে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম৷ এর মধ্যে শেষের দিকে আপনার বাপজানের এত সুন্দর মুহুর্তের যে ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করেছেন সেটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ৷