সকালে সোনার রবি উঠছে জেগে
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দিতে। আমি প্রতিনিয়ত খেয়াল করে দেখি আমাদের কমিউনিটির ইউজাররা খুব সুন্দর সুন্দর পোস্ট করে থাকেন। তাই চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম আমিও ব্যতিক্রম একটি পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হব। হ্যাঁ বন্ধুরা এটা হবে সূর্য উদয়ের সৌন্দর্য উপভোগ।
যখন লেখাপড়া করতাম, রাত পোহাতে দেরি থাকলে ঘুম থেকে উঠে পড়েছি। মাথার মধ্যে কত চিন্তা। ক্লাসের পড়া রেডি করতে হবে। প্রাইভেট এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এই সেই হাবিজাবি চিন্তা যেন প্রভাতের মুহূর্তেই ঘুম ভাঙিয়ে দিত। কিন্তু লেখাপড়া জীবন শেষ করে যখন সাংসারিক জীবন। তখন সূর্য উদয় হয় কখন সেটা আর ভাবতে পারিনা। আগেকার সময় স্কুলে যেতে প্রাইভেট পড়তে যেতে রাস্তা থেকেই দেখতে পারতাম সূর্য উদয়টা। এখন গৃহস্থলী কাজের জন্য হোক ঘুম থেকে দেরি করে উঠার জন্য হোক সেভাবে আর সূর্য উদয় দেখা হয় না। কিছুদিন আগে হঠাৎ লক্ষ্য করতে পারলাম সূর্য উদয়ের মুহূর্ত। তাই তখনই মনে করলাম ফটো ধারণ করলে কেমন হয়। সূর্য মামা উঠে পড়েছিল। লক্ষ্য করে দেখলাম আমাদের কলাগাছের উপর দিয়ে সূর্যমামা কে ভালোই দেখা যাচ্ছে। শুধু দেখতে হবে তার সামনে থাকা একটি মেঘ অতিক্রম করে আরও উপরের দিকে অগ্রসর হওয়া এমনটা। হয়তো মেঘটা সূর্যকে ভেদ করে এদিক থেকে ওদিকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে মেঘ দাঁড়িয়ে রয়েছে শুধু তাকে অতিক্রম করছে।
আমি আমার মোবাইলটাকে জুম করে ভালো করে দেখার চেষ্টা করলাম আর ফটো ধারণ করার চেষ্টা করলাম, আপনাদের দেখাবো তাই। লক্ষ্য করে দেখলাম সূর্য মেঘের নিচে ছিল। মাঝেমধ্যে ফটো অন্ধকার হয়ে যাচ্ছিল তারপরে চেষ্টা করলাম একটু সুন্দর্য সৃষ্টি করার। কি আর করার নাক সোজাসুজি মোবাইলটা ধরাটাও বেশ কঠিন। হাত যেন কাঁপতে ছিল। এর মধ্য দিয়ে ফটো ধারণ করার চেষ্টা। সম্পূর্ণ জুম করতে গেলে কেন জানি ফটো দড়িয়ে বেড়ায়। তবু আমার চেষ্টার ত্রুটি থাকলো না। আমি আমার মত করে ফটো ধারণ করার চেষ্টা করলাম। এরপর লক্ষ্য করে দেখলাম সূর্যমামা আস্তে আস্তে মেঘ বিক্রম করার চেষ্টা করছে। এরই মাঝে ২-৩ বার হাকচি উঠে পড়ল সূর্যের দিকে তাকিয়ে। না চোখে পানি চলে আসলো। তারপরে আবার রেডি হয়ে ফটো ধারণ।
ফটোগুলো দেখতে যতটা সহজ মনে হচ্ছে ফটো ধারণ করার তত সহজ ছিল না। বেশ চেষ্টা ছিল। কেন জানি হাত হালকা কাঁপছিল যার জন্য ফটো ধারণ করাটাও হয়ে উঠছিল কঠিন। কিছুক্ষণ উপর দিকে মাথা উঁচু করে মুখ উঁচু করে রাখাটা আরো কঠিন ছিল। তবে সূর্যের টানে টানে ফটো ধারনা হয়ে গেছে। এভাবেই দিনের সূর্য উদয় হতে থাকে সময়ের সাথে সাথে। কিন্তু উদয় হয়না আমাদের অলস মন। একটু সুযোগ পেলেই যেন বিছানা ছেড়ে উঠতে মন চায় না অনেকের। এই মুহূর্তে বাইরের প্রকৃতি শীতল আবহাওয়া আমাদের শরীরের জন্য কত উপকার সেটা অসুস্থ মানুষেরা ভালো বোঝে। সুস্থ মানুষেরা বুঝবে কি। যাইহোক সূর্য উদয়ের মুহূর্তটা আমি বেশি এনজয় করছিলাম কষ্ট করে। একদম আমাদের কলা গাছের পাশ দিয়ে এত সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছিল যে। আমি মুগ্ধ হয়ে ফটো ধারণ করছিলাম আর কমিউনিটির কথা ভাবছিলাম। এরপর সূর্যের আলো তীব্র হয়ে পড়ল। আর ফটো ধারণ করা সম্ভব হলো না। আমিও থেমে গেলাম। এই নিয়ে একটা পোস্ট করব। সূর্য উদয়ের মুহূর্ত টা তুলে ধরবো আপনাদের মাঝে। আজকে বিষয়টা তুলে ধরতে পেরে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | সূর্য উদয়ের মুহূর্ত |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Huawei p30 pro |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আজকের কার সম্পূর্ণ