জেলেদের মাছ ধরতে দেখার অনুভূতি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আমি এর আগে অনেকগুলো মাছ ধরা দেখার ফটো ও ভিডিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এরমধ্যে অনেক পুরাতন ফটোগ্রাফি আমার মোবাইলে রয়ে গেছে। তাই আজকে ভাবলাম এক-দেড় বছর আগের মাছ ধরা দেখার ছবিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দিব। তাই আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম সেই ফটোগ্রাফি এবং অনুভূতি প্রকাশ করার উদ্দেশ্য।
আমি ছোট থেকে গ্রামে বেড়ে এসেছি। এইজন্য গ্রামের বেশ কিছু কার্যক্রম গুলো আমি পছন্দ করে থাকি। এর মধ্যে মাছ ধরতে দেখার মজাটা আলাদা। গ্রামীণ জীবনে কৃষকদের অন্যান্য কৃষি কাজ দেখে অভ্যস্ত। সেগুলো তত বেশি একটা ভালো না লাগলেও মাছ ধরতে দেখার মজাটা এখনো ভালোলাগা হয়ে রয়েছে আমার মধ্যে। এজন্য যখনই মাছ ধরে আমাদের পুকুরে তখনই মাছ ধরতে দেখা সুযোগ আসে এবং দেখার চেষ্টা করি। যখনই আমি এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম বা হবো সেই মুহূর্তে অনেক ফটো ধারণ করতাম। এখন অবশ্য সেভাবে হয়তো ফটোগ্রাফি করা হয়ে ওঠে না মোবাইলের গ্যালারিতে জায়গা কম থাকায়। এমনিতে আগের ফটো গুলোই অনেক অনেক রয়ে গেছে মোবাইল এর মধ্যে। যাইহোক প্রথম সময়ের একটা অন্যরকম উৎসাহ অনুভূতি থাকে মনে। তাই সুন্দর করেই ফটো ধারণ করার চেষ্টা করতাম। এই মুহূর্তে আপনারা আমার ফটোগ্রাফিতে লক্ষ্য করছেন আমাদের একটি পুকুরের জেলেরা মাছ ধরতে এসেছে। সম্ভবত এমন রোদ গরমের দিন ছিল তখন। এইজন্য প্রচন্ড রোদের মুহূর্তে ফটোগ্রাফি করাটাও বেশ কঠিন ছিল। একটু রোদ লাগলে মোবাইল হয়ে উঠতে গরম। তার মধ্য থেকে চেষ্টা করতাম ফটোগ্রাফি ধারণ করে রাখতে। একদিকে জেলেরা পুকুরে নেমে মাছ ধরছে সেটা এক আনন্দের বিষয়। আরেক দিকে আনন্দের বিষয় দেখার মত ভালো ভালো মাছ বাড়িতে নিয়ে যাব রান্না করতে হবে। এমন অনুভূতি থেকেই যেন রোদ গরম দেখা দেখি নেই সুন্দর ফটো ধারণ করছিলাম।
আমাদের পুকুরগুলোতে পাঙ্গাস মাছ বেশি চাষ করে থাকে। যে পুকুরগুলোতে পাঙ্গাস মাছ থাকে সেই পুকুরগুলোতে সব সময় মাছ ধরতে পারা যায় না এটাই সমস্যা। মাছ ধরতে দেখার পাশাপাশি নিজে বরশি দিয়ে মাছ ধরা মজার কিন্তু অন্যরকম। আমি তো বাসা থেকে নিকটে যে পুকুর গুলো আছে সেই পুকুরগুলোতে বরশি দিয়ে মাছ ধরেছি অনেক। এমনকি বাবুর আব্বার সাথে জাল নিয়ে পুকুরে এসেছি অনেকবার। বড়শি দিয়ে মাছ ধরা আনন্দ বেশি মাছ কম। নিজেরা জাল দিয়ে মাছ ধরায় আনন্দ কম মোটামুটি ভালোই মাছ উঠে থাকে। এদিকে জেলেরা মাছ ধরে প্রচুর পরিমাণ মাছ উঠে কিন্তু রোদ গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যেতে হয়।
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখতে পারা যায় জেলেরা মাছ নিয়ে উপরে উঠে আসছেন। এরপর একের পর এক ব্যক্তি মাছগুলো মেপে নেওয়ার কাজ করতে থাকেন। পুকুর পাড়ে আগে দাঁড়িপাল্লার ব্যবস্থা করত এখন আর সেই ব্যবস্থা নেই ডিজিটাল কাটা হওয়ার কারণে। খুব সহজে ডিজিটাল মেশিন দিয়ে মাছ মেপে দিতে পারে। এখানে বিভিন্ন ধরনের মাছের বিভিন্ন রেট থাকে। পাঙ্গাস মাছের আলাদা দাম তেলাপিয়া মাছের আলাদা দাম ঠিক এভাবেই বেশ কিছু মাছের আলাদা কম বেশি দাম হয়ে থাকে। মাছের দাম টা মাছ ধরার পূর্বেই নির্দিষ্ট করে নেয়া হয়। ফটোগ্রাফিতেও দেখতে পাচ্ছেন মাছগুলো দেখতে কতটা সুন্দর এবং উজ্জল। যখন মাছগুলো লাফালাফি করে তখন আরো বেশি প্রাণবন্ত মনে হয়।
এখন একটা বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করি সেটা হচ্ছে আমরা কখন কিভাবে মাছ নিয়ে থাকি। এখানে যদি ১০ জন জেলে মাছ ধরতে আসে। তাদের কাছে দশটা হাঁড়ি থাকবে। দশটা হাঁড়ির মধ্যে তারা তাদের সাধ্যমত মাছ ধরে জমা করে। এবার মাছ যখন নিতে দেওয়া হয় তখন একজন একজন ব্যক্তি মাছ মেপে দিতে থাকতে হয়। যে মাছ ব্যবসা অর্থাৎ জেলে ভাইয়ের মাছ বিক্রয়ের হাট অনেক দূরে হয়ে থাকে মূলত তাকে আগে মাছ মেপে দেয়। এই বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করে জেলেদের মধ্যে প্রধান যিনি। যাইহোক তখন জেলেদের প্রধান কে বলা থাকে কি কি মাছ নেব বাড়ির খাওয়ার জন্য। এ বিষয়টা মাথায় রেখে প্রথম থেকে শেষ হাঁড়ি মাছ মাপা পর্যন্ত বাছাই করে ভালো মন্দ যাই হোক মাছ আলাদা করে রাখেন। আর এভাবেই প্রত্যেক হাড়ি থেকেই কম বেশি কয়েকটা করে মাছ রেখে আমাদের খাওয়ার বা ফ্রিজ লোড করার জন্য দিয়ে দেন। আর এভাবেই বাড়িতে খাওয়ার জন্য মাছ রাখা হয় খুব সহজ বুদ্ধিতে। যেন একজন ব্যক্তির কাছ থেকে বেশি নেওয়া না হয়ে যায় সে বিষয়টাও খেয়াল রাখেন তিনি। তাই এক্ষেত্রে আমাদের কেমন চিন্তা করা লাগে না। শুধুমাত্র ভালো লাগার মাছটা দেখিয়ে দিতে হয়।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | মাছ ধরতে দেখা |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Huawei p30 pro |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
পুকুর পাড়ে বসে জেলেদের মাছ ধরা দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। গ্রামে গেলে আমিও এভাবে পুকুর ধারে বসে মাছ ধরা দেখে। অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে মাছ নিজে থেকে ধরার চেয়ে অন্যদের মাছ ধরা দেখার আনন্দ অনেক টা বেশি। আপনি দেখছি আজকে জেলেদের মাছ ধরতে দেখার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এরকম নদীতে মাছ ধরা দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে।মাছ ধরার দৃশ্য গুলো অসাধারন হয়েছে আপু।
আজকের কাজ সম্পন্ন
X--promotion
এরকম মুহূর্তগুলো এখন সামনাসামনি একদমই দেখা হয়নি। আপনাদের পোস্টগুলোর মাধ্যমে ছবি দেখা হয়। অনেক মাছ ধরা হয়েছে দেখছি। এরকম মুহূর্তগুলো সামনাসামনি দেখতে ভালোই লাগে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রায় ১০ বছর আগেকার কথা যখন আমাদের বাড়ির দুটো পুকুর আমাদের কাছে লিজ ছিল। তখন ভোর বেলায় চাষের মাছগুলো তুলে বাজারে বিক্রি করা হতো। আর সেই সময় সকাল সকাল উঠে মাছ ধরার মুহূর্তগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগতো। বিশেষ করে ভোরবেলায় মাছ ধরার প্রধান কারণ ছিল ভোর বেলায় মাছের দাম অনেক বেশি থাকে আর রোদের ঝামেলা থাকে না। এজন্য সহজে মাছ ধরা হয়ে যায়। গ্রাম এলাকায় এরকম মুহুর্তগুলো অনেক বেশি হয় এগুলো দেখতেও ভালো লাগে। আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল।