নাটক রিভিউ "আলতা সুন্দরী" ৩১ তম পর্ব
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি বাংলা নাটক রিভিউ নিয়ে। বৃন্দাবন দাস রচিত জনপ্রিয় এই নাটকের নাম আলতা সুন্দরী। এই নাটকে মোট ৬২ পর্ব। আজকে আমি উপস্থিত হলাম ৩১ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করতে। চলুন তাহলে শুরু করি।
নাটকের নাম | আলতা সুন্দরী |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাহউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, রহমত আলী, ম ম মোরশেদ, জয় রাজ, রাশেদা চৌধুরী, মনিরা মিঠু, সাইকা আহমেদ, লারা লোটাস, পুতুল, ডায়না সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ধরণ | হাস্যরসাত্মক এবং সামাজিক |
মোট পর্ব | ৬২ |
রিভিউ | ৩১ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৬ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- শামীম জামান (আলতা সুন্দরী/নছের)
- আর খ ম হাসান (নায়ক মেসের)
- চঞ্চল চৌধুরী (রহিম বাদশা) সহ আরো অনেকে
গুলজার গানের দলের নতুন নায়িকার জন্য চা তৈরি করাই প্রস্তুত। তার এমন কর্মকাণ্ড দেখে ছোট বোনের সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। নিজের বউয়ের কথা চিন্তা না করে গানের দলের নায়িকাকে নিয়ে পড়ে আছে বড় ভাই। যখন বড় ভাই চা তৈরি এবং নায়িকাকে নিয়ে প্রশংসা করছিল। তখন বিউটি তার ভাইকে বারবার তাগিদ দিয়েছিল ভাবিকে বাড়িতে আনার জন্য। কিন্তু কোন কথাতেই বড় ভাই রাজি হয় না তার বউকে বাড়ি আনতে। ঠিক এমনই মুহূর্তে হঠাৎ দেখা যায় আলতা সুন্দরী অর্থাৎ নছের পারুলকে বিয়ে করে তাদের বাড়িতে এসে উপস্থিত। গুলজার এর কাছে তারা দোয়া আশীর্বাদ নেয়। কেমন অবস্থা দেখে বিউটি থমকে দাঁড়িয়ে যায়। কারণ বিউটি নছেরকে অনেক পাওয়ার প্রত্যাশা করেছে। এমনকি সে নিজের নামে কলঙ্ক তৈরি করেছিল মেয়ে হয়ে। তবুও তাকে পেল না। এর চেয়ে বড় বেদনা আর কি হতে পারে। ভালোবাসার কাছে মিথ্যা প্রতারণা হেরে গেল।
নছেরের বিবাহ উপলক্ষে গানের দলের ওস্তাদ ফেলু গায়েনের বাড়িতেও মিষ্টি খাওয়ার আয়োজন চলছে। তবে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি আনন্দে আনন্দিত হয়েছে নায়ক মেসের। সে বিউটিকে মনে প্রাণে ভালোবাসে, কিন্তু কিছুতেই বিউটি তাকে পাত্তা দিত না। সে এখন মনে আনন্দ পেয়েছে এটা যে বিউটি তাকে এখন থেকে ভালবাসবে। সে নছেরের জন্য এমনটা করত। এখন তো নছেরের বিয়ে হয়ে গেল। অবশ্যই বিউটি তাকে পাত্তা দিবে ভালোবাসবে। তাই সে পারুলদের বিয়েতে অনেক আনন্দে আনন্দিত।
এদিকে এখনো পাগলের মত রহিম বাদশা আলতা সুন্দরীর খোঁজে অস্থির। মাসুমা তাকে আশ্বাস দিয়েছে আলতা সুন্দরী শাশুড়ি বাড়ির খোজ দিবে তাকে। আলতা সুন্দরী যদি তাকে ভালো না বাসে সে যেন মাসুমাকে ভালোবাসে। ঠিক এমনই একটা ওয়াদা বদ্ধ হয় মাসুমার কাছে। তবে তার কিছুক্ষণ পরেই মাসুমার মায়ের হাতে শুকুর মিষ্টি। সে বারবার জানতে চাই কিসের মিষ্টি এটা। হাসেম জোয়ারী দেওয়া মিষ্টি না তো। কিন্তু মিষ্টিটা হাতে ধরে নেয়ার পরে জানতে পারলো আলতা সুন্দরীর বিয়ের মিষ্টি। তখন আবারো রহিম বাদশার মন ভেঙে যায়।
এদিকে গোলজার নায়িকার জন্য চা তৈরি করে বসে রয়েছে। আজকে নায়িকার সাথে নতুন নায়ক এসে উপস্থিত। গুলজার নতুন নায়কের নাম নিয়ে পরিহাস করতে থাকে। বুলেট মানুষের নাম হয় এমনটা সে কোনদিন শুনে নি। পক্ষান্তরে বুলেট বলে বসে গুলজার নামটা সে ভেবেছিল কোন মুরুব্বি মানুষের নাম। এভাবেই তাদের কথা কাটাকাটি হয় মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। আরেক দিকে হাসেম জোয়ারী আর গানের দলের ভিলেন যুক্তি পরামর্শ করতে থাকে যে করে হোক নায়িকাকে দলে রাখতেই হবে। এরপর তারা এসে উপস্থিত হয় গুলজারের বাড়িতে। তারা এসে দেখে নায়িকা এবং নায়ক এসে উপস্থিত গুলজার এর চা খানায়। তবে গুলজার এ কথা সবাইকে বলে প্রত্যেকদিন সবাইকে সে চা খাওয়াতে পারবেনা। শুধুমাত্র নায়িকার জন্য তাদের বাড়িটা ফ্রি থাকবে। তবে হঠাৎ নায়িকা প্রশ্ন করে তার বোনকে কেন আজকে দেখছে না। সত্যি তো বিউটি কেন আজকে তাদের সামনে উপস্থিত নেই। আর এভাবেই এই পর্বের সমাপ্তি ঘটে।
আলতা সুন্দরী নাটকের এই পর্বটা ছিল বেশ আনন্দদায়ক। এতদিন পর জানো অভিনয়ের মধ্যে এক অন্য রকমের ভালোলাগা এসেছে পারুলের বিয়ের মধ্যে দিয়ে। বিউটি অনেক ছলনা করেও আলতা সুন্দরীকে নিজের করে নিতে পারল না। তাই মহা আনন্দে আনন্দিত হয়েছে গানের দলের নায়ক মেসের। কারণ সে বিউটিকে ভালোবাসে। বিউটি তাকে পাত্তা দেয় না। পারুল আর নজরের ভালোবাসার মাঝখানে ফাল হয়ে থাকার চেষ্টা করত। সবকিছু অতিক্রম করে তাদের ভালবাসা সার্থক। শুধু যে তারা তাই নয় গানের দলের ওস্তাদ অনেক খুশি হয়েছেন। আমরা এই অভিনয়ের মধ্যে গুলজার এর একটা অপেক্ষার লক্ষ্য করেছি। সেটা হচ্ছে কিভাবে গানের দলে যুক্ত হতে পারা যায়। আর গানের দলের নতুন নায়িকার সাথে ভাত জমানানো যায়। কিন্তু তার বোন কখনো চায় না তার ভাই এমন বেগানা নারীর সাথে উঠবস করুক। তবে আলতা সুন্দরীর বিয়ের মধ্য দিয়ে বিউটির মধ্যে কিছুটা ট্রাজেডি আসে। যার জন্য লাস্টের দিকে বাড়িতে অতিথি থাকা সত্ত্বেও তাকিয়ে আর দেখা যায়নি। তবে এক্ষেত্রে বলতে পারি এ নাটকে সবচেয়ে সুন্দর অভিনয় করেছে গুলজার। আনন্দ উল্লাস করেছে নায়ক মেছের।
এদিকে নতুন নায়িকা সবাইকে মানিয়ে নিয়ে চলার চেষ্টা করে এটাও একটা ভালো দিক।
রিভিউটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের bidyut01 এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। এক পরিবার থেকে "আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে" চারজন সদস্য রয়েছি। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ভালোলাগা রেসিপি তৈরি, নাটক রিভিউ, ভিডিও ও ফটোগ্রাফি করা সহ ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে সদস্য হয়ে পোস্ট শেয়ার করার।
X-promotion
আজকের কাজ কমপ্লিট
পর্ব নাটকগুলো যদিও দেখা হয় না। তবে এই নাটকের প্রত্যেকটা পর্ব বেশ মজা আছে মনে হচ্ছে। আপনি অনেক সুন্দর করে এই নাটক রিভিউ তুলে ধরেছেন আপু। দেখে অনেক ভালো লাগলো।
সুযোগ করে দেখবেন ভালো লাগবে কিন্তু
অনেক সুন্দর করে আলতা সুন্দরী নাটকের ৩১ তম পর্ব শেয়ার করলেন। এই নাটকটা অনেক আগের হলেও রিভিউর মাধ্যমে কাহিনীটা জানতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। এই নাটকের আগের অনেকগুলো পর্বের রিভিউ আমি পড়েছি। যার কারণে এই পর্ব টা খুব ভালো লেগেছে। এত সুন্দর করে এই পর্ব টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আশা করব বাকিগুলো পড়বেন
ভালোলাগার একটি নাটক আজকে আপনি রিভিউ করেছেন। এ নাটকটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে আমিও দেখতাম কিন্তু অনেকদিন দেখা হয় না। তবে আপনার জন্য আজকে কিছুটা দেখার সুযোগ পেলাম। এ নাটকে যেমন হাসি আনন্দ রয়েছে তেমন ট্রাজেডি রয়েছে। চমৎকার নাটক রিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ ভাবি।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাইয়া। যারা গভীর ভালবাসে তাদের ট্রাজেডি হয়। আমার কাছে মনে হয়নি বিউটির জীবনে এটা ট্রাজেডি
এরকম নাটকগুলো আমি আগে একটু বেশি দেখে থাকতাম। তবে এখন আর খুব একটা নাটক দেখা হয় না। আমি মুভি দেখতে একটু বেশি ভালোবাসি। আর তাই সময় পেলে মুভি বেশি দেখা হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে আবার নাটকও দেখার জন্য চেষ্টা করি। সুন্দর সুন্দর এবং শিক্ষনীয় নাটকগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। আপনি যে নাটকের রিভিউ করেছেন, এটা যদিও দেখি নিই। তবে রিভিউটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
এখনো দেখার চেষ্টা করবেন ভালো লাগবে
চঞ্চল চৌধুরীর নাটক অনেকদিন হলো দেখা হয়নি। তবে তার একটি চমৎকার নাটক রিভিউ করেছেন আপনি। আপনার করা রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল আমি যেন নাটকটি দেখতেছি। আমিও এটাই বলব গুলজার যেটা করছিল সেটা ভালো করছিল না। আর ঠিক সে কারণেই তার বোন তাকে বাধা দিচ্ছিল। যাইহোক দেখা যাক নাটকের পরবর্তী পর্বে আরো কি হয়। নাটকের পরবর্তী পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
সুযোগ করে দেখবেন ভাইয়া।
চঞ্চল চৌধুরীর নাটক গুলোও সত্যি খুবই আনন্দদায়ক। আপনার শেয়ার করা আলতো সুন্দরী নাটকটি অনেকদিন আগের । তাই এই ধরনের নাটক গুলো এখন দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আজকে আপনি ৬২ তম পর্ব শেয়ার করেছেন। আপনার রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
৬২ নয় ৩১ তম পর্ব