সুস্বাদু আলুর পাকোড়া তৈরি
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছেন সকলের। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মহান সৃষ্টিকর্তার নাম মুখে রেখে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি খুব সহজে আপনাদের বড়া তৈরি করে দেখাবো। অনেকে এই রেসিপিতে আলুর পাকোড়া বলে থাকে। স্থান ভেদে যে যায় বলুক না কেন এই রেসিপিটা আমার খুবই প্রিয় তাই আপনাদের তৈরি করে দেখাবো এখন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে, রান্নার কার্যক্রম শুরু করি।
১. | আলু | ২ পিস |
২. | পেঁয়াজ কুচি | ১ পিস |
৩. | কাঁচা মরিচ | ৮ পিস |
৪. | সয়াবিন তেল | ১০০ গ্রাম |
৫. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
৮. | হলুদের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
৯. | পানি | পরিমাণ মতো |
প্রথমে একটি প্লেটের মধ্যে আলু পেঁয়াজ ঝাল কুচিগুলো ঝাল হলুদের গুড়ার সাথে মিশিয়ে নিলাম। এরপর বড়া তৈরি করা ময়দা প্লেটের উপাদানের উপরে দিলাম। এরপর সেগুলোর সাথে মিক্সচার করতে থাকলাম।
সমস্ত উপাদান গুলো একের পর এক হাত দিয়ে টানতে থাকলাম। কিছুটা ময়দা ছানার মত করে শান্তি থাকলাম নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি দিয়ে। আর এভাবে প্লেটের উপর সমস্ত উপাদান গুলো একসাথে মাখিয়ে প্রস্তুত করে নিলাম।
এরপর ভালোভাবে মিক্সচার হয়ে গেলে আরও একটি আলাদা প্লেটে ছোট ছোট পাকোড়া বা বড়া জাতীয় করে রাখলাম। আর এভাবে একাধিক তৈরি করে রাখতে থাকলাম প্লেটের মধ্যে।
এরপর গ্যাসের চুলার উপর কড়াইটা বসিয়ে দিলাম। এবার কড়াইয়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ সয়াবিন তেল ঢেলে নিলাম। কিছুটা সময়ে তেল গরম হয়ে গেল।
এবার প্লেটের মধ্য থেকে তৈরি করা গোল গোল কাঁচা বড়াগুলো তিলের মধ্যে দিতে থাকলাম। তেলের মধ্যে দেওয়ার সাথে সাথে টগবগ করে ফুটতে থাকলো।
বেশ কিছুটা সময় ধরে তেলের মধ্যে বড়া তৈরি হতে থাকলো। এদিকে আমিও ছাঁকনি দিয়ে নাড়তে থাকলাম।
এরপর যখন বড়াগুলো তৈরি হতে থাকলো বাহ ভালোভাবে তেলে ভাজা হয়ে গেল তখন ছাঁকনি দিয়ে তেলের মধ্য থেকে উঠিয়ে আবার প্লেটের মধ্যে রাখলাম। আর এভাবে আমি আমার কাজ চলমান রাখলাম যত না সমস্ত বড়া তৈরি করা শেষ হলো।
আর এভাবে একটি পর্যায়ে আমার সমস্ত বড়া তৈরি করা শেষ হলো। এরপর বড়া গুলো সব প্লেটের মধ্যে নিয়ে সোলার পার্ক থেকে সরে ডাইনিং টেবিলে রাখলাম। আর এভাবেই বড় বা পাকোড়া তৈরি করা সম্পন্ন হল।
পরিবেশন
খাবার খাওয়ার মুহূর্তে সবার মাঝে আমি আমার হাতে তৈরি এই বড়া পরিবেশন করলাম। সবাই কমবেশি আমার এই রেসিপি খেয়ে অনেক অনেক খুশি হল। আর এভাবে আমি আমার ঝাল ঝাল বড়া রেসিপির কাজ সম্পন্ন করলাম।
Photo device | Itel vision 1 |
---|---|
বিষয় | সুস্বাদু বড়া ভাজা রেসিপি |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
খুবই সুন্দর ভাবে আপনি আলু ও পেঁয়াজ দিয়ে পাকোড়া তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করার রেসিপিটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এ ধরনের রেসিপিগুলো গরম গরম খেতে ভীষণ মজা লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার রেসিপি দেখতে দেখতে জিভে জল চলে এলো আপু। আমি এই ধরণের তেলেভাজা খেতে খুবই ভালোবাসি। বিকেলে চায়ের সাথে এমন পকোড়া কী যে ভালো লাগে। উফফ
X-promotion
আজকের কাজ কমপ্লিট
বিকেলের জন্য একটি মুখোরচক নাস্তা। আমাদের এইদিকেও এটাকে আলুর বড়া নামে চিনে থাকে। খুবই সহজ এবং তাৎক্ষণিকভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করা দেখিয়েছেন। ফাইনাল আউটপুট দেখে মনে হচ্ছে খুবই টেস্টি হয়েছিল। আর এই কারণেই ভাবতেছি আমি নিজেও বাসায় তৈরি করে খেয়ে নিব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এবং মজাদার একটি রেসিপি আমাদের তৈরি করা শিখায় দেওয়ার জন্য।
আলু দিয়ে এভাবে পাকোড়া তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার কাছে নতুন একটা রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। খুব সুস্বাদু এবং লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বিকেলের নাস্তায় এরকম ঝাল কিছু হলে দারুন হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য।
আলুর পাকোড়া খেতে অনেক ভালো লাগে। গরম গরম পাকোড়া খাওয়ার মজাই আলাদা। বিকেলের নাস্তায় এই ধরনের খাবার গুলো অনেক ভালো লাগে খেতে। খুবই লোভনীয় লাগছে আপু।
বাহ্ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করছেন আপু।আলুর পাকোড়া খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে এগুলো গরম গরম খেতে ভীষণ ভালো লাগে।আপনি দারুণ ভাবে পুরো রেসিপির ধাপ গুলো উপস্থাপন করছেন। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
সুস্বাদু আলুর পাকোড়া তৈরি দেখেই ভালো লাগলো। আপনি খুবই মজদানি ছবি তৈরি করেছেন । ধানগুলো খুবই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।