লাইফ স্টাইল:- ভাতিজার বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ভাতিজা হুমায়ুন এর বিয়ে খাওয়ার মুহূর্ত। কিছুদিন আগে আমার জ্যাঠাতো ভাই হানিফ এর বড় ছেলে হুমায়ুন বিয়ে করেছেন। এবং আমাদের বাড়িতে ভাতিজা সবার বড় হচ্ছে হুমায়ুন। এবং তার বিয়েটি নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা ছিল। জল্পনা কল্পনা বলতে অনেকে বলে হুমায়ুন নাকি প্রেম করে বিয়ে করেছেন। তবে কথাটুকু কতটি সত্য কখনো কেউ জানতে পারে নাই। মূলত হুমায়ুন ফেনীতে যখন লেখাপড়া করতেন। তখন তার প্রাইভেট ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে। তবে তার ছাত্রীকে পড়ানো অবস্থা কথাটি প্রকাশ হওয়ার পর তার প্রাইভেট টি চলে গেল। এরপর সেই রাজশাহী কলেজে পড়ালেখা করেছেন ভাতিজা হুমায়ুন।
তবে দূরে গেলেও তার ভালোবাসার ছাত্রীর সাথে যোগাযোগ ছিল। কিছু মাস আগে হঠাৎ করে খবর আসলো ফেনীতে সরকারি স্কুলে চাকরি হয়েছে। মূলত হুমাইনের সরকারি চাকরি হওয়ার কারণে তার ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার রাস্তা অনেকটা ক্লিয়ার হয়ে গেল। যেখানে আগে তার ওয়াইফের গার্জিয়ান রাজি ছিল না। এখন তার চাকরি হওয়ার সাথে সাথে তারাই বিয়ে দেওয়ার জন্য ছেলের পক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। এতে করে হুমায়ুন এর পরিবার ও রাজি হয়েছে। এবং দুই পক্ষের আলোচনায় বিয়ের তারিখ ঠিক হলো। গত শুক্রবারে হুমায়ুন এর বিয়ের তারিখ ঠিক করলেন। এতে করে বাড়ির সকল পুরুষ লোক গুলোকে দাওয়াত দিলেন। তবে বিয়েতে বাড়ির একটি মহিলা নেয় নাই তারা।
এমনকি তার ছোট বোনও বিয়েতে গেলেন না। তার বিয়ের অনুষ্ঠান ঠিক করেছে ফেনী ফাইভ স্টার রেস্টুরেন্টে। এখনকার বিয়ে সাদি গুলো বেশিরভাগ দেখা যায় কমিটির সেন্টারে হয়। আগে গ্রামাঞ্চলে বিয়ে অনুষ্ঠান তিন দিন থাকতো। এখন একদিনে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যায়। যদিও ফেনী শহর আমাদের বাড়ি থেকে মোটামুটি দূর আছে। এরপর আমরা বারোটার দিকে বাড়ি থেকে সবাই একসাথে বাইর হলাম। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে হুমায়ুন জামাই সেজে অনুষ্ঠানে যাই নাই। এতে করে বুঝা যায় হুমায়ুন আগে বিয়ে করেছে বাড়িতে কাউকে শুনে নাই। শুধু এইখানে তার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পর্কে সবাইকে দাওয়াত করেছে খাওয়ানোর জন্য।
এবং রেস্টুরেন্টে আমাদের বাড়ি থেকে আমরা ফ্রাই ৫০ জনের মত গেলাম। এবং তার ফেনীর বন্ধুবান্ধব ছিল 50 জনের মত। কিছুক্ষণ বসার পর তার বিয়ের সম্বন্ধে সব ডিটেলস সবাইকে শুনানো হলো। তারপর একসাথে সবাই বসলো খাওয়া দাওয়া করতে। এবং কি রেস্টুরেন্টে তার ওয়াইফও আসে নাই। তার পরিবারের লোক গুলো আসলো খাওয়া দাওয়ার অনুষ্ঠানে। খাওয়া দাওয়া শেষ করার পর আমরা সবাই ভালোই কথাবার্তা সেখানে বলতে লাগলাম। তবে বিয়ের খাবার গুলো খুব মজা হয়েছে। খাওয়া গুলো খেতে বেশ মজায় হয়েছে। এরপর আমি ভাতিজা হুমাইনের সাথে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম এবং রেস্টুরেন্টের কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম।
যদিও হুমায়ুন বয়সে আমাদের একটু ছোট। তারপর হুমায়ুনকে আমি জিজ্ঞেস করলাম তুমি বিয়ে কি আগে করেছো নাকি। তখন হুমায়ুন বলল এক সপ্তাহ আগে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করেছেন। এখন শুরু অনুষ্ঠান করছেন। তবে যেখানে অনুষ্ঠান করেছে তার পাশে বড় একটি ডিগি আছে নামকরা। আমরা বিয়েতে গিয়ে মোটামুটি ভালোই ঘুরাঘুরি করলাম আশেপাশে জায়গাগুলোতে। এবং হুমায়ুনের বাবা অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ। সবাই তাকে দুষ্টামি করলে সে অনেক সময় গোসসা হয়ে যায়। বলে আপনার ছেলের না জানিয়ে বিয়ে করেছে। এই কথা বললে সে ছেলের উপর রাগ করে। আর ভাতিজা হুমাইনের বিয়েতে দাওয়াত খেতে গিয়ে ভালই সময় অতিবাহিত করেছি আমরা। এ হচ্ছে ভাতিজা হুমাইনের বিয়ের অনুষ্ঠানের খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1884134447379014015?t=hd1PFfiDTciJgkv6GV5kwQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার ভাতিজার বিয়ের অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আগে বিয়ে করে এখন অনুষ্ঠান করছে। একদম রেস্টুরেন্টে এই অনুষ্ঠানটা করেছে। ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো মুহূর্ত দেখে। সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু আগে বিয়ে করে এখন অনুষ্ঠান করেছে। তবে সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো আপনার।
তাহলে আপনার ভাতিজা হুমায়ুন তার ছাত্রীকে বিয়ে করেছে। আগে বিয়ে করে পরবর্তীতে অনুষ্ঠান করলে তেমন মজা হয় না। তবুও আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। আসলে শীতকালে বিয়ের দাওয়াত খেতে বেশ ভালোই লাগে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া এখন বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো একদিনে শেষ হয়ে যায়। সুন্দর মন্তব্য করে সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
বিয়ে মানে হাসি আনন্দ খাওয়া দাওয়া সকলের সাথে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করা ভাই। বিয়েতে সবার সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে বিয়েতে গেলে খুব ভালো লাগে। খাওয়া-দাওয়াসহ সকলের সাথে দারুন সময় অতিবাহিত করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে বিয়েতে কাটানো এতো সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ বিয়ে মানি আনন্দ বিয়ে মানে খুশি। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে নিজের কাছে ভালো লাগলো।