ভ্রমণ :- তালতলী গ্রাম ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব তালতলী গ্রাম ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। কিছুদিন আগে আমি আমার দুই চাচাতো ভাই সহ কোথাও ঘুরতে যাব ঠিক করলাম। কারন আমার চাচাতো ভাই মোশারফ বিদেশ থাকে। আর আমরা দুইজন ক্লাস মিট। ছোট থেকে আমরা দুইজন একসাথে চলাফেরা করেছিলাম। এই কারণে বিদেশ থেকে আসার পর চাচাতো ভাই বলল কোথাও ঘুরতে যাবে। সাথে আমার আরেকটি চাচাতো ভাই ও ছিল। তারপর আমার সাথে আলোচনা করেছেন। তখন আমি বললাম তালতলী গ্রাম জায়গাটি খুব সুন্দর। আমরা ওইখানে ঘুরতে যেতে পারি।
কারণ ওই এলাকা নদী এলাকা। আর নদী এলাকা জায়গা গুলো এমনিতে সুন্দর হয় বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এবং শীতকালে। বিগত ১০ বছর আগেও এই জায়গাগুলো নদীর চর ছিল। এইখানে মানুষ বসবাস করত না। কারণ বর্ষার সময় এই জায়গাগুলোতে পানি থাকতো। আর গ্রীষ্মকালে মানুষ এইখানে চাষাবাদ করতেন। যখন নতুন করে সুইচগেট ঠিক করা হয়েছে। তখন এই জায়গাগুলোতে মানুষ বাড়ি ঘর করতে লাগলো। যদিও এই এলাকাতে এখনো বাড়ি ঘর খুব কমই আছে। তাই আমরা একদম দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়া করে তিনজন একটি গাড়ি নিয়ে এর জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
জায়গাটি আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূর হবে। আমরা এক ঘণ্টার মধ্যেই জায়গাটিতে পৌঁছে গেলাম। তবে ওই সময় অনেক রোদ ছিল। এবং আশেপাশে কোন দোকানও ছিল না। তারপর আমরা জায়গাটির মধ্যে ঘুরতে লাগলাম। তবে কিছু লোকের মুখে শুনেছি আগে এই জায়গা নদী অনেক বড় ছিল। আর এখন নদী একদম ছোট হয়ে গেল। এই কারণে ফসলের জমি অনেক বেড়ে গেল। তবে যারা এইখানে আগে বাড়িঘর করেছে তারা সুবিধা করেছেন। কারণ এইখানে জায়গা সম্পত্তির দাম আগে খুব কম ছিল। অনেকে বলে ১৫ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে ১ ডিসিম করে জায়গা কিনতে পারতো। আর এখন জায়গাগুলোর দাম অনেক বেড়ে গেল। যদিও এই কথা আমি আগে কিছু মানুষের মুখে শুনেছিলাম।
তবে এইখানে জমিগুলোর মধ্যে সবাই শীতকালীন ফসল ও বিভিন্ন ধরনের ফসল করেছেন। সত্যি বলতে দূরে দূরে কিছু বাড়ি আছে। আর এইখানে রাস্তা গুলো এখনো মাটির কাঁচা রাস্তা। এখনো এই জায়গাতে রাস্তা গুলো পাকা হয়নি। তবে এইখানে গিয়ে গ্রামের সম্পর্ক করতে পারলাম। কারণ এইখানে গেলে গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে এখানে সৌন্দর্য দেখার জন্য। এবং আশেপাশে জায়গাগুলোতে বসে আড্ডা দেওয়ার জায়গা আছে। সত্যি বলতে আমরা তিনজন মিলে ঘুরতে গিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছি। তবে আমরা যাওয়ার সময় কোন নাস্তা নিয়ে যাইনি।
কারণ নাস্তা নিয়ে গেলে ওইখানে বসে খাওয়া যেত। কারণ আমরা দেখেছি কিছু লোক নাস্তা নিয়ে এসে এখানে বসে বসে খাওয়া দাওয়া করতে লাগলো। তবে আমার চাচাতো ভাই মোশারফ বলছে তার কাছে গরম লাগলো। যদিও এখনো গরম এখনো নেই বললেই চলে। তবে এই এলাকাতে অনেকে দেখলাম বাদাম চাষ করেছেন। কারণ আমাদের এলাকায় বাদাম চাষ খুব কমই করা হয়। সত্যি বলতে ফসলের জমির মধ্যে যখন ফুল ফুটল তখন দেখতে বেশ ভালো লাগলো। তারপর আমরা নদীর ধারে কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম। তবে এই সব জায়গাতে শিয়াল আসে। কারণ নদী এলাকায় শিয়াল অনেক থাকে। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আমরা আবার গাড়ি করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এই হচ্ছে তালতলী গ্রাম ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1894344626959781939?t=Grus3WDFYF5nwyX__6LvKw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তালতলী গ্রাম ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা আমার কাছে দেখে অসম্ভব ভালো লেগেছে। গ্রামীণ অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যের বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। আপনার কাটানো পুরো মুহূর্তটা ছিল অনেক বেশি দারুণ। ধন্যবাদ শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ গ্রাম অঞ্চলের ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত দেখতে অনেকের কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। ভালো থাকবেন আপু।
তালতলী গ্রাম তো দেখছি খুবই সুন্দর। এমন জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে খুব ভালো লাগে। আপনারা তিনজন সেখানে ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। তবে সাথে কিছু খাবার নিয়ে গেলে অবশ্যই খুব ভালো হতো। তাহলে এমন খোলামেলা পরিবেশে বসে হালকা নাস্তা করতে পারতেন। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া সাথে কিছু খাবার নিলে খোলামেলা পরিবেশে বসে খাওয়া যেত। তবে আপনার অসাধারণ মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার দুই চাচাতো ভাইকে নিয়ে তালতলী গ্রাম ঘুরতে গেলেন। তবে এসব গ্রাম অঞ্চলে ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এবং আপনারা যদি হালকা খাওয়া-দাওয়া নিতেন তাহলে আরো সময় ঘুরতে পারতেন। এবং এসব সৌন্দর্য জায়গাতে বসে খেতেও পারতেন। এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি চমৎকার। তালতলী গ্রাম ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করেছেন।