গল্প :- কিছু মানুষের স্বভাব এইরকম।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব একটি মজার ঘটনা। কিছু কিছু মানুষের স্বভাব এরকম একটি সুন্দর গল্প। কিছুদিন আগে দুপুরবেলা আমি হঠাৎ করে বাজারে যাব বাজার করার জন্য। ওই সময় দুপুর প্রায় বারোটা বাজলো। যদিও বাজারটি আমাদের বাড়ি থেকে দূরে আছে। তখন আমি একটি রিক্সা নিয়ে বাজারে গেলাম। প্রথমে আমি চলে গেলাম মাছ বাজারে। যদিও ওই সময় মাছ বাজারের লোক সংখ্যা কম ছিল তবে মাছ অনেক ছিল। আর বাজারে দেখা যায় কিছু মানুষ আছে তারা টাকা খুঁজে মানুষের কাছে। বিশেষ করে কিছু মহিলা দেখা যায় তারা মানুষ দেখলে বিভিন্নভাবে কথা বলে টাকা খোঁজে।
একটি মহিলা এসে আমার কাছে টাকা চাইছে। আল্লাহর বাছতে তাকে কিছু হেল্প করার জন্য সেই বলছে। যদিও প্রথমে আমি তার কথা এত খেয়াল করি নাই। আমার পাশে একটি মহিলা সেও মাছ কিনতেছেন। এই সময় মহিলাটি আবার আমাদের দুজনের কাছে টাকা চাইলো। তবে মহিলাটির বয়স তেমন বেশি না এই কারণে আমি তাকে প্রথম টাকা দিতে চাইনি। এবং মহিলাটি এমনভাবে টাকা চাইছে মনে হয় সে আমার কাছে টাকা পাবে। পরে দেখতেছি মহিলাটি এমনভাবে টাকা চাচ্ছে না দিয়ে উপায় নাই। তারপর আমি মহিলাটিকে 10 টাকা দিলাম। না হয় মহিলাটি মাছ বাজারে শুধু টাকায় খুঁজবে আমার কাছে। এরপর আমার পাশের মহিলাটির কাছেও টাকা চাইলো এই মহিলাটি। যদিও আমি ওই মহিলাটি চিনিনা।
তখন মহিলাটি এই মহিলাকে দশ টাকা দিলেন। এমন সময় ওই ভদ্র মহিলাটি যে টাকা চাইছে ওই মহিলাকে বলছে। আপনি এক কাজ করেন আমার বাড়িতে চলের কাজ করবেন। আপনাকে খাওয়া-দাওয়া এবং মাসে 7000 টাকা করে দেব। এবং আপনার ডাক্তারি খরচ সব আমি নিজে দেখব। আমি পাশে মাছ কিনার কারণে মহিলাটির কথাগুলো শুনতেছি। তবে মহিলাটি ভালো কথা বলেছে। এবং যে মহিলা ভিক্ষা করের মহিলাটি ওই মহিলার সাথে গরম হয়ে গেল। এবং কথা বলতেছে জোরে জোরে। আপনার টাকা পয়সা মনে হয় অনেক বেশি হয়ে গেছে। আমি আপনার বাসায় কাজে যাব বলছি নাকি। এই কথাগুলো বলে মহিলাটার সাথে তর্ক করতেছেন। এমন সময় মহিলাটি আমাকে বলতেছে দেখেন ভাই এই মহিলা ভিক্ষা করে মানুষ থেকে হেল্প নিচ্ছে।
আমি মহিলাটিকে কাজ দেবো এবং খাওয়া-দাওয়া ও টাকা দেব। আর মহিলাটি এই কথা শোনার পর আমার সাথে ঝগড়া করছে। তখন আমি যে মহিলা ভিক্ষা করছেন তাকে বললাম সে তো ভালই বলেছে। এবং ভিক্ষা করা মহিলাটি আমার সাথে গরম হয়ে গেল। বলতেছেন আমার ফ্যামিলির খরচ অনেক বেশি। আমার একটি ছেলে একটি মেয়ে পড়ালেখা করের। তাদের খাওয়া দাওয়া পড়ালেখা অনেক খরচ হয়। আর এই মহিলাটি আমাকে মাসে ৭ হাজার টাকা করে দেবে তার বাড়িতে কাজ করার জন্য। এই টাকা দিয়ে আমার কি হবে। এরপর মহিলাটি বলছে 7000 টাকা তো অনেক কেন কাজ করবেন না। ভিক্ষা করা মহিলাটি বলতেছে আমার দৈনিক ১০০০ টাকার উপরে ইনকাম আছে।
আমি এই বাজারে ভিক্ষা করে দৈনিক এক হাজার টাকা করে কমপক্ষে হয়। এই কথা শুনে আমি আর ওই মহিলাকে অবাক হয়ে গেলাম। তখন আমার কাছে মনে হচ্ছে মহিলাটি ভিক্ষা করছেন না মনে হচ্ছে একটা বিজনেস করছেন। আর বিজনেসের মাধ্যমে সেই টাকা ইনকাম করের। এবং ভদ্র মহিলাটি ও আর কিছুই বললেন না। কারণ বিক্ষোক মহিলাটি ভিক্ষা করা তার পেশায় হয়ে গেল। কারণ সেই মানুষের থেকে হেল্প নিয়ে তার পরিবারের দেখাশুনা হতে অন্য সবকিছু করে। আর এতে করে ওই মহিলাটির লজ্জা শরম মনে হয় নেই। কারণ অভাবের কারণে কেউ যদি হেল্প চাই তার মধ্যে একটু হলেও লজ্জা শরম এবং আসার ব্যবহার থাকে। আর এ মহিলার কাছে কিছুই নেই। তার কথাগুলো বড় বড় মনে হচ্ছে সবার কাছে সেই টাকা পাবে এই কারণে খুঁজে খুঁজে নিচ্ছে। এই হচ্ছে বাস্তব একটি ঘটনা। আশা করি আমার গল্পটির পড়ে আমাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
0.00 SBD,
1.44 STEEM,
1.44 SP
https://x.com/Jamal7183151345/status/1885972833144344646?t=weOryWtU_YjTG9r8ocKc3w&s=19
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে আমারও একটি ঘটনা মনে পড়ে গেলো। আমার বাসায় দুপুর বেলা একদিন এক মহিলা ভিক্ষা নিতে আসে। তখন ভাবিকে বললাম,ভাবি কাজ করার কথা বলে দেখো কি বলে। আমরা যেই বললাম আমাদের বাসায় কাজ করবেন। এই কথা শুনে মহিলা রেগে আমাদের বকা দিয়ে ভিক্ষা না নিয়ে চলে গেলো। যাদের যেই স্বভাব তারা সেটাই করবে। তেমনি মহিলা প্রতিদিন হাত পেতে যদি ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারে তাহলে বাসায় কাজ করে কি করবে। বর্তমানে ভালো ভালো মানুষেরা এই ধরনের কাজ করে চলেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমি যতটা বুঝতে পারলাম মহিলাটা ভিক্ষাটাকে নিজের পেশা তৈরি করে নিয়েছে। এতে তার অনেক বেশি লাভ হয়। তাই উনি কারোর বাড়িতে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে কাজ নিতে রাজি নয়। সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে। কাজ করে খাওয়ার চিন্তা করে না। লোকের কাছে হাত পাততে পছন্দ করে। এতে অনেক টাকা ইনকাম হয়। চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি থাকা, হালাল পথে ইনকাম করা তাদের সয়না। এইজন্য তো আপনাদের দুজনের কথা তার সহ্য হয়নি। এমন মানুষগুলো চিহ্নিত করে টাকা দেওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
সত্যিই অনেক মানুষ আছেন যারা পরিশ্রমের বদলে সহজ উপার্জনকে বেশি পছন্দ করেন। ভিক্ষাবৃত্তি এখন অনেকের কাছে পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে পরিশ্রমের তুলনায় লাভ বেশি। তবে, এই ধরনের মানুষদের প্রতিক্রিয়া যখন সমাজের অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন আমাদের দায়িত্ব হয় তাদের চিহ্নিত করা এবং সঠিক পথে চলার জন্য উত্সাহিত করা।