ভ্রমণ :- ভাতিজা রাসেলকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার ভাতিজা রাসেলকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। আমার এই ভাতিজা হচ্ছে আমার জ্যাঠাতো ভাইয়ের ছেলে। আমি আর রাসেল মূলত ওমান একসাথে ছিলাম। যদিও আমি কয়েক বছর আগে বিদেশ থেকে দেশে চলে আসলাম। আর রাসেল কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে আসলো। বিদেশে একসাথে থাকার কারণে আমার সাথে একদম ফ্রি হয়ে গেল। যদিও আমি ব্যস্ততার কারণে তার সাথে তেমন কোথাও ঘুরতে যেতে পারি না। মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি ঘুরতে যাওয়ার জন্য। কিছুদিন যাবৎ আমাদের এদিকে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। আর দুই দিন আগে আসরের নামাজের পর বলতে লাগলো ভাতিজা কোথাও থেকে ঘুরে আসবে। তখন আমি তাকে বললাম কোথায় যাবে ঘুরতে। তখন বলতে লাগল নদীর ধারে তো কালকে ঘুরে আসলাম।
এরপর আমি বলতে লাগলাম আমাদের পুরনো হাই স্কুলের দিকে ঘুরে আসি। আর এই কথা শুনে ভাতিজার রাসেল রাজি হয়ে গেল। এরপর আমরা দুজন কথা বলতে বলতে ঐদিকে চলে গেলাম। যদিও আমরা সময় থাকার কারণে হেঁটে হেঁটে কথা বলতে বলতে গেলাম। আর এই জায়গার এক পাশে হাইস্কুল অন্যপাশের দোকানপাট। এই কারণে এই জায়গাটি দেখতেও কিন্তু সুন্দর লাগে। যদিও আমরা হাই স্কুলের সামনে গেলাম না। আমরা রাস্তার পাশে ছিলাম এবং এখানে অনেকক্ষণ পর্যন্ত আড্ডা দিলাম। আর বৃষ্টি হওয়ার কারণে আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা ছিল। ঠান্ডা থাকার কারনে চারপাশ খুব সতেজ ছিল।
আর ভাতিজা রাসেল বিদেশ এবং দেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করতে লাগলো। কারণ অনেক বছর পর দেশে আসলো এই কারণে দেশের মানুষের সম্বন্ধে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করতে লাগলো। আবার রাসেল এইবার বিয়ে করার জন্য আসলো এই কারণে ব্যক্তিগত কিছু কথা বলতে লাগলো। আর কথা বলতে বলতে আমরা ওইখানে কয়েকজন পরিচিত লোকও পেলাম তাদের সাথে ভালো মন্দ অনেক কিছু কথা বললাম। সবসময় মজার বিষয় হচ্ছে রাসেল আর আমি দাঁড়িয়ে রইলাম এমন সময় দুইটি মানুষ এসে রাসেলকে দেখতে লাগলো। তখন আমি বুঝতে পারলাম রাসেল এর বিয়ের ব্যাপারে হয়তোবা লোকগুলো তাকে দেখতে লাগলো।
যদিও এই জায়গাটি আমাদের এলাকার মধ্যে না। আমাদের পাশের এলাকা তাই ধারণা করলাম তার বিয়ের সম্বন্ধে দেখতে লাগলো। পরে কিন্তু সত্যি হয়েছে তার বিয়ের সম্বন্ধে লোকগুলো তাকে দেখলো। আর গ্রাম অঞ্চলে ঘুরতে গেলে যেমন ভালো লাগে তেমনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। কারণ চারপাশে গাছপালা সবুজ সবকিছু দেখলে অন্যরকম ভালো লাগে। এরপর আমরা আরো অনেকক্ষণ ওই আড্ডা দিলাম। এরপর আমরা পাশে একটি দোকানে বসে নাস্তা করলাম। মূলত গ্রামে হাতের নাস্তা গুলো হচ্ছে যেমন খেতে ভালো লাগে তেমনি চমৎকার লাগে। আর এসব জায়গাতে নাস্তা করলে টাকা তেমন বেশি যায় না।
আর ভাতিজা যতক্ষণ পর্যন্ত আড্ডা দিলেও ততক্ষণ পর্যন্ত অনেক কিছু জিজ্ঞেস করল। তার বিয়ের সম্বন্ধেও সে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করেছেন। আর ঐদিন ভাতিজার রাসেলের সাথে ঘুরতে গিয়ে যেমন ভালো লাগলো তেমনি ভালো সময় কাটলো। কারণ গ্রামে এরকম পরিবেশ এর মধ্যে ঘুরতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে। আর যারা বাইরের রাষ্ট্রে থাকে তারা হঠাৎ করে দেশে আসলে ঘুরতে যেমন ভালো লাগে তেমনি সৌন্দর্য উপভোগ করে। আর ঐদিন রাসেল ঘুরতে গিয়ে বারবার বলতে লাগলো তার কাছে খুব ভালো লাগতে লাগলো। এই হচ্ছে ভাতিজার রাসেলের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। আশা করে আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1936331031235510513?t=KPn8JPiULJiNk3T-jA7ETw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/Jamal7183151345/status/1936417902682599444?t=bNGZ0rbLYzh0SqDk6Gk94w&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1936418355587776587?t=2OOmrIvGHKKwAJt_xEnPHA&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1936419599773560964?t=WuR4GPJSeie8mBSKWc5E-g&s=19
আপনি দেখছি আপনার ভাতিজা রাসেলের সাথে খুব ভালই ঘুরাঘুরি করেছেন। আসলে ভাতিজা যখন বড় থাকে তখন বন্ধু বান্ধবের মতো হয়ে যায়। আর গ্রাম অঞ্চলে জায়গাগুলো এমনিতে চমৎকার ঘুরতে গেলে ভালো লাগে। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে ভাতিজাকে নিয়ে ঘুরতে গেলেন আর কিছু লোক তাকে দেখতেছে। যাইহোক ঘুরতে গিয়ে দুজন মিলে ভালো করে নাস্তা করেছেন। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।