লাইফ স্টাইল :-হঠাৎ করে বাজার করতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব হঠাৎ করে বাজার করতে যাওয়ার মুহূর্ত। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে আমি বিকেল বেলা আমার ওয়াইফ ও মেয়েকে নিয়ে বাজার করতে গেলাম। মূলত আমার ছোট বোনের হাজব্যান্ড বিদেশ থেকে আসলো। এবং বিকেল বেলা মোবাইলে কল করে বলেন। কালকে আমাদের বাড়িতে আসবে। কারণ সে বিদেশ থেকে অনেক দিন পরে আসলো সবার সাথে দেখা করতে আসবে। আর আমাদের বাড়িতে আমাদের সাথে মা বাবা আছে। এবং মূলত শশুর শাশুড়ির সাথে দেখা করার জন্য আসতেছে।
এই কথা শোনার পর আমার ওয়াইফ বলছে বাজারে যেতে হবে বাজার করে নিয়ে আসার জন্য। কারণ দুলাভাই অনেকদিন পরে আসতেছে এই কথা বলল আমার ওয়াইফ। তখন আমি আমার ওয়াইফ কে জিজ্ঞেস করছি কি কি লাগবে। তখন আমার ওয়াইফ অনেক জিনিসের নাম বলল এবং জিনিসগুলোর নাম শুনে আমি বললাম। তাহলে তুমি আমার সাথে বাজারে চলো কি কি লাগবে নিয়ে আসবে। যদিও বিকালবেলা এই কারণে ফ্রি আছে আমার ওয়াইফ। সাথে সাথে সেও রাজি হয়ে গেল বাজারে যাওয়ার জন্য। বাজার আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে। তারপর আমার ওয়াইফ তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আমার সাথে বাজারে গেলো।
তারপর বাজারে যাওয়ার পর প্রথমে আমরা একটি মুদি দোকানে গেলাম। এবং ওই দোকানের সামনে শাকসবজি ও বিক্রি করা হয়। বলতে গেলে ওই দোকানে সব ধরনের জিনিস পাওয়া যায়। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে রইলাম। আমার ওয়াইফ দোকানদারকে বলেছে যা যা দরকার সব দেওয়ার জন্য। দোকানদার প্রথম একটি কাগজে জিনিসগুলোর নাম লিখলেন। তারপর আস্তে আস্তে সে জিনিসগুলো কাগজ থেকে দেখে দিচ্ছেন। এবং একে একে সেই সবগুলো বাজার দিয়ে দিলেন। তখন আমরাও বাজারগুলো দেখে দেখে নিলাম। তারপর আমার ওয়াইফ বলতেছে দেশি মোরগ এবং বয়লার মোরগ লাগবে।
এই কথা শুনে পাশে মুরগি দোকান আছে আমরা ওখানে গেলাম। আমি লোকটিকে মুরগির দাম জিজ্ঞেস করলাম। কারণ এখন মুরগির দাম একটু বেশি। তারপর দেশি মুরগি ও বয়লার মুরগি কিনে নিলাম। তবে দেশি মুরগি বলতে বিভিন্ন জাতের আছে। পাকিস্তানি মুরগিগুলো ও দেশী মুরগি বলে বিক্রি করে ফেলে। তবে আমি বয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা করে কিলো কিনেছি। আর দেশি মুরগি ৩৩০ টাকা করে কিলো কিনলাম। যদিও আমরা মাছের বাজারে গেলাম ওই সময় মাছ ছিল না। তারপর আমরা মাংসের বাজারে গেলাম ওই সময় তাজা মাংস ছিল না।
এরপর আমরা এই বাজারগুলো নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম। কারণ বাজারে গেলে প্রিয় মানুষদের সাথে বসে কিছু খেতে অন্যরকম ভালো লাগে। তারপর আমার ওয়াইফ আমার মেয়ে এবং আমি হালকা কিছু নাস্তা খেলাম। এরপর আমরা ঐদিন বিকেলবেলা বাজার করে বাড়িতে চলে আসলাম। এবং পরের দিন সকালবেলা আবার বাজারে গেলাম আমি। কারণ মাছ ও মাংস বাকি ছিল। এবং সকালবেলা তাড়াতাড়ি গিয়ে মাছ ও মাংস ও কিছু ফল কিনে নিয়ে আসলাম। আর বাড়িতে ছোট বোনের হাসবেন্ড আসবে। সেই কারণে বড় বোনের ফ্যামিলি এবং বাড়ির কিছু লোকেও দাওয়াত করলাম। কারণ সবাইকে একসাথে দাওয়াত করে এক সাথ করা যায় না। আর এই সুবাদে সবাইকে দাওয়াত করে এক সাথ করলাম। এই হচ্ছে হঠাৎ করে বাজার করতে যাওয়ার মুহূর্ত।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/Jamal7183151345/status/1881267532444942683?t=9OPGFusdcluAaeNfyudgtQ&s=19