মানুষের দেখার মধ্যেও ভুল থাকে।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের চারপাশে এবং বাস্তবে কিছু শিক্ষনীয় বিষয় ঘটে যেগুলো আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। আমাদের সবার উচিত ঐসব কিছু শিক্ষার বিষয় থেকে নিজেদেরও কিছু শিখা। আপনাদের সবাইকে দেখি এরকম বিভিন্ন রকম শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে। তাই আমিও চেষ্টা করতেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করার জন্য। আপনাদেরও আমার পোস্টে আশা করি খুবই ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করব। আসলে কিছু কিছু ঘটনা আছে যেগুলো মানুষকে হাসায় আবার কাঁদায়। আর অনেক সময় দেখা যায় দেখার মধ্যেও ভুল থাকে। আমাদের বাড়ির পাশে একটি পরিবার আছে। পরিবারে স্বামী স্ত্রী আর একটা মাত্র সন্তান আছে। তবে তিনজনের পরিবার তারা মোটামুটি সুখে আছে। তবে লোকটির নাম হচ্ছে হানিফ। হানিফ পরিবারের মানুষকে নিয়ে সুখে আছে। তবে লোকটির দিনমজুরের কাম করে। এবং যে সময় যেই কাজ পায় ওই কাজে করে। তার মধ্যে কোন কাজের অহংকার নেই। আর লোকটির ঘর হচ্ছে ছোট্ট একটি টিনের ঘর।

আর লোকটির ঘরের মধ্যে ছোট্ট ছোট্ট তিনটি রুম আছে। এবার আসি বর্তমান সময়ে কারেন্ট নিয়ে কিছু কথা। এবং লোকটির ঘরে একটি কারেন্টের মিটার আছে। এবং এই লোকটির ঘরে প্লিজ বা কোন পানির মোটর কিছুই নেই। শুধু ঘরের মধ্যে লাইট আর দুটি পাকা আছে। আর লোকটি প্রতিমাসে কারেন্ট বিল আছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। এর অতিরিক্ত কখনো তার কারেন্টের বিল আসে না। শীতের সময় ১০০ টাকার নিচে তার কারেন্ট বিল আস্ত । আর গরমের সময় হয়তো ২০০ টাকা পর্যন্ত তার কারেন্টের বিল আসে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখার মধ্যে অনেক কিছু ভুল দেখা দেয়। লোকটির এক পরিচিত লোক কোথায় বেড়াতে যাচ্ছিল।

তার একটি অটো রিক্সা হানিফ মিয়ার বাড়িতে রেখে গেলেন। মূলত লোকটি দুই দিন হানিফ মিয়াকে বলেছে রিক্সাটি দেখার জন্য। এই কারণে হানিফ ভাই রিকশাটি তার ঘরের পাশে ভালো করে তালা মেরে লাগল গাছের সাথে। আর ওই দুই দিনের মধ্যে কারেন্টের লোক এসে বিল বানিয়ে নিলেন। এর কিছুদিন পরে হানিফ মিয়ার ঘরে কারেন্টের বিল আসলো ১৬০০ টাকা। হানিফ মিয়া ১৬০০ টাকা কারেন্ট বিল দেখে ঘুরে পড়ে গেলেন। কারণ সেই মিটার যতদিন পর্যন্ত লাগালো এই পর্যন্ত কখনো ২০০ টাকার উপরে বিল আসে নাই। আর সেই জায়গায় তার কারেন্ট বিল ১৬০০ টাকা আসলো। এবং হানিফ মিয়া অফিসে গেলেন নালিশ দেওয়ার জন্য।

এরপর অফিসের লোক বললো কমপ্লেন থাকলে মিটার চেঞ্জ করে দেবে। তবে এই ১৬০০ টাকা কারেন্ট বিল দিতে হবে। এবং লোকটি অনেক কষ্ট করে ১৬০০ টাকা কারেন্ট বিল দিলেন। পরবর্তীতে বিল করার জন্য আসলো লোকটিকে সেই ধরেছে। এবং তার এত টাকা কারেন্টের বিল কিভাবে আসলো। এবং আগের বিল ও পরের বিল গুলো দেখালেন। এবং যে লোক বিল করেছেন কারেন্টের সেই লোক বলতে লাগলো আপনি অটো রিক্সা ঘরের মধ্যে কারেন্টের চার্জ দেন। এই কারণে আপনার এত টাকা বিল আসলো। এরপর হানিফ মিয়া লোকটিকে ধরলেন। আমার এক বন্ধু দুই দিনের জন্য তার অটো রিক্সা আমার বাড়িতে রেখে গেল। এই কারণে আপনি ওই সময় ১৬০০ টাকার বিল বানিয়েছেন।

এরপর লোকটি কথার পাশ কেটে যাওয়ার চেষ্টা করলেন। যখন হানিফ মিয়া গরম হয়ে গেল তখন লোকটি বলতে লাগলো আমি মনে করলাম আপনি কারেন্টের মধ্যে গাড়িটি সাজ দেন। এই কারণে আমি ১৬০০ টাকার বিল বানিয়েছি। তখন হানিম মিয়া লোকটিকে বুঝিয়ে বলেন আমি গরিব মানুষ আমার ঘরে ফ্রিজ এবং পানির মোটর কিছুই নেই। আপনাদের একটু ভুলের কারণে আমার কিন্তু অনেক টাকা লস হলো। এবং লোকটি বলল সামনে এরকম ভুল আর হবে না। এই কারণে দেখার মধ্যে অনেক কিছু ভুল আছে। হয়তোবা লোকটি ঠিকমতো কারেন্টের মিটার চেক করলো না। গাড়ি দেখে আন্দাজি বিল বানিয়ে নিয়ে গেলেন। এই হচ্ছে আন্দাজি কাজ করার ঘটনা। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।