গল্প :- একজন দুঃখিনী মায়ের গল্প। প্রথম পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

IMG-20250420-WA0001.jpg

ক্যানভা দিয়ে তৈরি,

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব একজন দুঃখিনী মায়ের গল্প। আর দুখিনী মহিলাটি আমাদের পাশের বাড়ির। আর এই দুঃখিনী মহিলাদের জীবন কাহিনী আমি নিজেও জানি আবার আমার মায়ের মুখ থেকেও শুনেছি। মহিলাটির নাম হচ্ছে রাবেয়া। রাবেয়া পরিবারের মেয়েদের মধ্যে ছোট ছিল। তবে রাবেয়ার বয়স যখন তিন মাস তখন হঠাৎ করে তার মা মারা গেল। যদিও ওই ঘরে রাবেয়ার আরো ভাই-বোন ছিল। তিন মাস থাকা অবস্থায় মারা যাওয়ার পর তার বড় বোন রাবেয়াকে লালন পালন করেছে। আর রাবেয়া যখন একটু বড় হয়েছে তখন তার বাবার নতুন করে বিয়ে করলেন। যে মহিলাকে তার বাবা বিয়ে করেছে ওই মহিলাটি অবিবাহিত মেয়ে ছিল।

যদিও রাবেয়া বাবার আগের ঘরে পাঁচজন ছেলে মেয়ে ছিল। রাবেয়ার সৎ মা যখন আসলো ওই সময় রাবেয়ার বড় বোনও তার সৎ মায়ের সমান বয়সের ছিল। তবে রাবেয়ার বড় বোন এবং বড় ভাই বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেল। ওই সময় রাবেয়া যখন একটু বড় হয়েছে তখন সে তার বাবার কাছে থাকতো। সারাক্ষণ রাবেয়াকে দিয়ে তার সৎ মা কাজ করাতেন এবং পড়ালেখা করা নাই। ঠিকমত রাবেয়াকে খাওয়া-দাওয়া দেয়নি তার সৎ মা। যদিও রাবেয়ার বাবার পরের ঘরে আরো তিনজন ছেলে মেয়ে হয়েছে। আর ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত সৎ মায়ের এবং বাবার ঘরে কাজের মেয়ের মতই ছিল। কারণ রাবেয়াকে সৎ মায়ের কারণে তার আপন বাবা দেখতে পারে না।

কারণ রাবেয়ার যখন তিন মাস বয়স ছিল তখন তার মা মারা গেল এই কারণে রাবেয়াকে সবাই অলক্ষ্মী মনে করে। এরপর রাবেয়া যখন বড় হয়েছে একজন গরিব লোকের কাছে তাকে বিয়ে দিলেন। যদিও রাবেয়া হাসবেন্ড দেশে রিক্সা চালায় এবং দিনমজুরের কাজ করে। আর স্বামীর ঘরে গিয়ে রাবেয়া ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারে না। কারণ তার হাজবেন্ড একদম গরীব। বাবার সংসারে খেতে পারে নাই সৎ মায়ের কারণে। আর হাজবেন্ডের সংসারে এসে খেতে পারছে না অভাবের কারণে। এভাবে রাবেয়ার দিন যেতেই লাগলো। এইদিকে রাবেয়ার ঘরে দুটি মেয়ে এবং একটি ছেলে জন্মগ্রহণ করেছে। এবং ছেলেটি হচ্ছে পরিবারের বড়। আর মেয়ে দুটি হচ্ছে পরিবারের ছোট। এভাবে তিনটি ছেলে মেয়ে এবং স্বামী নিয়ে রাবেয়ার দিন যেতে লাগলো।

যদিও রাবেয়ার বড় ভাই মাঝেমধ্যে রাবেয়াকে হালকা হেল্প করে। তবে অনেকে বলে ছোট কাল থেকে রাবেয়া কষ্ট করেছে স্বামীর ঘরে গিয়েও কষ্ট করছেন। ভাগ্য খারাপ হলে এই কথা অনেকে বলে। আমার অনেকে বলে রাবেয়া ছেলে বড় হলে টাকা পয়সা ইনকাম করলে তার ভাগ্য পরিবর্তন হবে। এভাবে আস্তে আস্তে রাবেয়ার দিন যাচ্ছে সামনের দিকে। এভাবে যেতে যেতে রাবেয়ার ছেলে বড় হয়েছে। এবং সেই এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন। যদিও ছেলেটি খুব ভালো সে পড়ালেখা অবস্থায় একজনের কাপড়-দোকানে থাকতেন। এবং ওই লোক তাকে খুব বিশ্বাস করে। ছেলেটির নাম হচ্ছে পলাশ। পলাশ কলেজে ভর্তি হলে কলেজের ক্লাস শেষে দোকানে বসে ব্যবসা করে। কলেজে থাকা অবস্থায় তার মামা তার মায়ের সাথে কথা বলে তাকে বিদেশ পাঠানোর কথা চিন্তা করলেন।

এদিকে পলাশের মায়ের বোন এবং মায়ের ভাই দুইজনের টাকা দেবে তাকে বিদেশ পাঠানোর জন্য। এতে করে পলাশের মা-বাবা দুইজন রাজি হলেন। কারণ ওই সময় ছেলেটি কাপড় দোকানে থেকে কিছু টাকা তার মাকে দিতেন পরিবারের জন্য। আর বিদেশ গেলে হয়তোবা ভালো টাকা পয়সা দেবে মা বাবার জন্য। এই কথা চিন্তা করে পলাশকে আফ্রিকা পাঠানোর কথা চিন্তা করল তার পরিবার। এবং কিছুদিনের মধ্যে ছেলেটি আফ্রিকা চলে গেলেন। এবং বিদেশ যাওয়ার পর থেকে সব সময় চেষ্টা করতেন তার মা-বাবার জন্য টাকা পাঠানোর জন্য। কারণ ঘরের তার দুটি বোন আছে তারও মোটামুটি বড় হয়েছে। এভাবে রাবেয়ার দিন যেতেই লাগলো।

(চলবে)

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

IMG-20240904-WA0027.jpg

Sort:  
 4 days ago 

Screenshot_2025-04-20-16-25-12-270_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-04-20-16-21-24-761_com.twitter.android.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 days ago 

Screenshot_2025-04-20-13-00-05-901_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-04-20-12-57-41-166_com.twitter.android.jpg

 4 days ago 

আপনার লেখা গল্পটা পড়তে আমার কাছে ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গল্পটা উপস্থাপন করেছেন। আসলে মানুষের জীবনে অনেক ঘটনা থাকে অনেক দুঃখ কষ্ট থাকে এটাই স্বাভাবিক। এভাবে মানুষের জীবন। ঘটনাটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

 3 days ago 

আমার গল্পটি নিয়ে সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 days ago 

IMG-20250420-WA0002.jpg