আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। আজকে পটলের একটা রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। পটল সবজিটা এমনিতে আমার তেমন একটা পছন্দ না। তবে এইভাবে রেসিপি তৈরি করার পর বেশ ভালো লেগেছে খেতে। এটি হচ্ছে পটল এর ভর্তা রেসিপি। একটু ভিন্নভাবে পটল সবজি খাওয়ার ট্রাই করলাম। গরম গরম ভাতের সাথে এই ভর্তাটা বেশ সুস্বাদু ছিল। আপনারা চাইলে বাসায় খুব সহজেই রেসিপিটা তৈরি করতে পারবেন। আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের এই রেসিপিটা ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
রেসিপিটির সর্বশেষ ফটোগ্রাফি
- পটল
- টমেটো পেস্ট
- সরিষার তেল
- লবণ
- পেঁয়াজ
- কাঁচামরিচ
- ভাজা শুকনো মরিচ
- ধনিয়া পাতা
- রসুন কুচি
- কালো জিরা
প্রথমে আমি পটলগুলো কিছুটা মোটা স্লাইস করে কেটে নিয়েছি।
তারপর একটি পাতিলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে এই স্লাইস গুলো সিদ্ধ করার জন্য বসিয়ে দিলাম। এর সাথে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিলাম।
এভাবে পটলগুলো প্রথমে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
তারপর পটলগুলো পাটায় বেটে নিয়েছি। এভাবে পেস্ট করে একটা বাটিতে নিলাম।
এরপর একটা কড়াইয়ে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম। এর সাথে রসুন কুচি এবং সামান্য পরিমাণ কালোজিরা দিয়ে দিলাম।
এরপর সবকিছু ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিয়েছি। তারপর পটলের পেস্ট সেখানে দিয়ে দিলাম।
এরপর দিয়ে দিলাম টমেটো পেস্ট। তারপর আবারো নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
এরপর দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো লবণ। যেহেতু পটল সিদ্ধ করার সময় কিছুটা লবণ দিয়েছিলাম তাই সেই অনুযায়ী লবণ দিতে হবে। তারপর ভাজা শুকনো মরিচগুলো ভেঙে সেখানে দিয়ে দিলাম।
সবকিছু দেওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ধনিয়া পাতা কুচি দিলাম এবং চুলা থেকে নামিয়ে ফেললাম। এভাবেই রেসিপিটা তৈরি হয়ে গেল।
| এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার আজকে রেসিপিটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। |
|---|
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
🤍আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়🤍
আমি ইসরাত জাহান মিম। বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই।
সুস্বাদু পটলের ভর্তা রেসিপি দেখে দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপির পরিবেশের এবং রেসিপি কালারটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এভাবে কখনো এই রেসিপি তৈরি করা হয়নি। তাই ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যে কোনো ধরনের ভর্তা আমার খুব পছন্দের। আপনার পটলের ভর্তা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আসলে গরম ভাতের সাথে ভর্তা খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার সুস্বাদু পটলের ভর্তা তৈরি রেসিপি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
গরম ভাতের সাথে যে কোন বর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। পটলের ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। আজকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে ভালো লাগলো আপু। আমি অবশ্যই এভাবে একদিন ভর্তা তৈরি করে খেয়ে দেখবো। দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল।
পটলের ভর্তা রেসিপি দেখে আপু জিভে জল চলে আসলো। বিশেষ করে ভর্তার কালার তো দারুণ এসেছে। যেকোনো ভর্তা খেতে খুব ভালো লাগে। আর পটল ভর্তা হলে তো আরো ভালো লাগবে গরম ভাতের সাথে খেতে। সুস্বাদু রেসিপিটি শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।
সুস্বাদু পটলের ভর্তা রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে এতো মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
পটল ভর্তার লবণীয় রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এর আগে আমি কোনদিন এইভাবে পটল ভর্তা করে খাইনি তাই এটা আমার কাছে ভিন্ন ধরনের রেসিপি বলে মনে হয়েছে। ইউনিক এই রেসিপিটা দেখেই যেন ভালো লাগছে।
সুস্বাদু পটলের ভর্তা রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। পটলের ভর্তা রেসিপি আমার কাছে একদমই ইউনিক আমি কখনো পটলের ভর্তা খায়নি।দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে তাহলে খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পটল ভর্তা রেসিপি এর আগেও অনেকবার খেয়েছি তবে আপনার মতো করে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। যেকোনো ভর্তা জাতীয় রেসিপি খাইতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। পটল ভর্তার কালারটা জোস হয়েছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু পটলের ভর্তা খেতে আমার কাছে বেশ দারুন লাগে। আপনি বেশ সুন্দর পদ্ধতিতে এবং ভিন্ন রকম করে পটলের ভর্তা করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা পটলের ভর্তা খেতে মনে হয় বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ এমন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।