অবশেষে শুভ পরিণয় ❤️|| দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। কিছুদিন আগে আমি অবশেষে শুভ পরিণয় গল্পের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম আজ সেই গল্পের দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব শেয়ার করব। আশা করছি ভালো লাগবে। দুই ধর্ম থেকে দুজন মানুষ ভালোবেসে এক হওয়ার গল্প। ভালোবাসায় কখনো ধর্ম, জাত, উঁচু নিচু এগুলো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।
এভাবেই চলছিলো তাদের সম্পর্ক। কথায় আছে সত্য কখনো চাপা থাকেনা।খুব তাড়াতাড়ি জানাজানি হয়ে যায় তাদের সম্পর্কের কথা।তখন দুজনার বাড়ি থেকেই কড়া নিষেধ যে এ সম্পর্ক যেনো আর না এগোয়।এর মধ্যে জান্নাতের পরিবার জান্নাতের বিয়ে ঠিক করে। এরপর কি হবে? জান্নাত কি ভাবে গৌতমকে বিয়ে করলো জানতে হলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
এরমধ্যে জান্নাতের পরিবার থেকে জান্নাতের বিয়ে ঠিক করে।কিন্তু জান্নাত কোনো ভাবেই বিয়েতে রাজি হয়না।এ নিয়ে জান্নাতের বাবা মা ভিষন রেগে যায়।জান্নাত কোনো উপায় না পেয়ে গৌতমকে সব জানায় এবং তারা সিদ্ধান্ত নেয় দুজন পালিয়ে যাবে।এরপর তারা সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়।এরপর তারা আইনি বিয়ে করে। কেননা কেউ কারো ধর্ম ত্যাগ করতে চায়নি।এবার তারা শহরে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে শুরু করে।তাদের বিয়েটা নিয়ে দুই পরিবার অনেক দিন রেগে ছিলো।
এরপর তাদের ঘর আলো করে আসে এক ছেলে।তখন দুই পরিবারের সবার একটু একটু করে রাগ কমতে শুরু করে।এরপর সবাই জানতে পারে যে তারা দুজন কেউ কার ধর্ম ত্যাগ করেনি। তখন তাদের পরিবারের সবার রাগ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তখন থেকে আস্তে আস্তে তাদের সবার সম্পর্ক গুলো স্বাভাবিক হয়ে যায়। এভাবেই চলছে তাদের জীবন।
সত্যি কথা বলতে আরও একটি বিষয় জানার পর আমার খুবই ভালো লেগেছিল সেটি হচ্ছে তারা দুজন দুজনার ধর্ম পালন করে। যখন গৌতমের বাসায় পূজো হয় তখন জান্নাত তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। এবং যখন রমজান মাস আসে এবং ঈদ আসে তখন পুরো রমজান মাসটা জান্নাত তার ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই কাটায়। অনেকটা আগ্রহ নিয়ে আমরা একদিন আমাদের স্যারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বিষয়গুলো। তখন স্যার আমাদেরকে বলেছিলেন ওনার স্ত্রী নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। উনি কখনো ধর্ম নিয়ে উনার স্ত্রীকে চাপ দেন না।
বিষয়গুলো জানার পর সত্যি খুবই ভালো লেগেছিল। যদি দুজন দুজনার মাঝে ভালোবাসা থাকে তাহলে ধর্ম কখনো বাধা হতে পারে না। সত্যিই এই ভালবাসাগুলো দেখতেও ভালো লাগে। যাই হোক এই ছিল আমার আজকের গল্প শেষ পর্ব। আশা করছি ভালো লেগেছে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই গল্পের প্রথম পর্ব পড়েছিলাম এবং আজকে শেষ পর্ব পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। গৌতম এবং জান্নাত পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করাতে খুব ভালো হয়েছে। নয়তো তাদের পরিবার কখনোই ভিন্ন ধর্মের মানুষের সাথে বিয়ে দিতে রাজি হতো না। তাছাড়া এখন তো সবকিছু একেবারে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া তারা দুজন নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে, এটা জেনে আরও বেশি ভালো লাগলো। যাইহোক গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।