আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। জয়পুরহাটে এসে বেশ ভালোই সময় কাটছে। যদিও আপনাদের ভাইয়ার কাজের চাপ সে আগের মতোই আছে তবে তার মধ্যেই আমরা একটু ঘোরাফেরা করার চেষ্টা করছি। গতকাল দুপুরে ভাগ্নির বাসায় দাওয়াত ছিল। আমার ভাগ্নির বিয়ে হয়েছে প্রায় তিন বছর। এতে আমি একাই গিয়েছিলাম আপনাদের ভাইয়া ব্যস্ত ছিল তাই যেতে পারেনি। তাই এবার যখন জয়পুরহাটে এসেছি তখন ভাগ্নি বারবার করে বলেছে যেন তার বাসায় অবশ্যই যাই। যাই হোক আমরা আপুর বাসা থেকে দুপুরে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ি ভাগ্নির বাসায় উদ্দেশ্যে।

আমরা প্রথমেই জয়পুরহাটের বিখ্যাত একটি মিষ্টির দোকানে গিয়েছিলাম যার নাম হচ্ছে শর্মা সুইটস্। এখানকার দই মিষ্টি খুবই বিখ্যাত। এখান থেকে আমাদের পছন্দমত দই, মিষ্টি, লাড্ডু নিয়ে ফলের দোকান থেকে ফল কিনে আমরা ভাগ্নির বাসায় উপস্থিত হই। একটু রেস্ট নিয়ে আমরা খাওয়া-দাওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম। আমি তো খাবারের আইটেম দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ ও ছোট মানুষ একা একা অনেক কিছু রান্না করেছে।

যেহেতু রোজা রাখার পর একদমই খুব একটা খাওয়া যাচ্ছে না তাই আমরা নাস্তার আইটেমগুলো স্কিপ করেছিলাম। আর মেইন আইটেমগুলো ছিল সেমাই, সাদা পোলাও, ইলিশ মাছ ভুনা, ডিম ভুন, রোস্ট, খাসির মাংস, আলু ভাজি, পটল ভাজি, পাতলা ডাল, সাদা ভাত সহ আরো অনেক কিছু।সবগুলো খাবারই খুবই মজার হয়েছিল। তবে রোস্ট এবং খাসির মাংস রান্নাটা বেশি মজার ছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা কিছুক্ষণ রেস্ট করেছিলাম।

এরপর আমরা জয়পুরহাটে শহরে কিছু কিছু জায়গায ঘুরতে বের হয়েছিলাম। আর কোথায় ঘুরতে গিয়েছিলাম সেই মুহূর্ত পরের পর্বে শেয়ার করার চেষ্টা করব। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।