রেসিপিঃ বাঁধাকপি এবং মসুর ডালের বড়া

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি পোস্টে স্বাগতম। আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাঁধাকপি এবং মসুর ডালের বড়া রেসিপি। ইফতারে আমাদের অন্যান্য খাবারের সাথে বড়া পেঁয়াজু কিংবা পাকোড়া জাতীয় খাবার না থাকলেই নয়। যতই ভাবি একটু স্বাস্থ্যকর খাবার খাব কিন্তু দিনশেষে সেই ভাজাপোড়া গুলোই বেশি খাওয়া হয়। প্রত্যেকদিন এই মসুর ডালের পেঁয়াজু বানানো হয় বাসায়। একই খাবার প্রত্যেকদিন খেতে একদমই আমার কাছে ভালো লাগে না তাই একটু রান্নায় ভিন্নতা আনতে আমি বাঁধাকপি এবং মসুর ডাল মিশিয়ে এই বড়াটি বানিয়েছি। বাঁধাকপির পাকড়া কিংবা বড়া আমার বরাবরই পছন্দের। তাই এইভাবে মসুর ডাল দিয়ে বড়া বানানোর পরও খেতে বেশ ভালো লেগেছিল।

আমি এই রেসিপিটা ইফতারে তৈরি করেছিলাম অন্যান্য খাবারের সাথে। আর সেই রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি ভাল লাগবে। তো চলুন রেসিপিতে যাই।

1000034224.jpg

1000034225.jpg

1000015079.png

উপকরণ
বাঁধাকপি
মসুর ডাল বাটা
আদা-রসুন বাটা
চালের গুঁড়া
পেঁয়াজ কুচি
কাঁচা মরিচ কুচি
হলুদ গুঁড়া
জিরার গুঁড়া
লবণ
তেল

1000034208.jpg

1000000122.png

ধাপ-১

প্রথমেই সব উপকরণ রেডি করে নিয়েছি। এরপর বাঁধাকপি গুলো কুচি করে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি।

1000034227.jpg

ধাপ-২

এবার বাঁধাকপি গুলো একটি বাটিতে নিয়ে একে একে মসুর ডাল বাটা, আদা রসুন বাটা, চালের গুঁড়া, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, হলুদ গুঁড়া, জিরার গুঁড়া এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়েছি।

1000034220.jpg

ধাপ-৩

এবার সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে হাত দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। মাখানোর একপর্যায়ে আমি সামান্য একটু চালের গুড়া দিয়ে আবারো ভালোভাবে সবগুলো উপকরণ মাখিয়ে নিয়ে শক্ত একটা ডো তৈরি করে নিয়েছি।

1000034215.jpg

ধাপ-৪

এবার চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে গেলে একে একে বড়া গুলো তেলের মধ্যে দিয়েছে।

1000034214.jpg

ধাপ-৫

এবার বরাগুলো এপিটোপি ভালোভাবে লাল লাল করে ভেজে নিয়ে মুচমুচে হয়ে গেলে তুলে নিয়েছি।

1000034213.jpg

1000034224.jpg

যাইহোক এই ছিল আমার বাঁধাকপি এবং মসুর ডালের বড়া রেসিপিটি। আপনাদের কাছে রেসিপিটা কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। আর আমার মত বাঁধাকপির পাকোড়া কিংবা বড়া খেতে কে কে পছন্দ করেন সেটাও জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছুই নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

1000010107.jpg

Sort:  
 3 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু, ইফতার এরকম একটা পাকোড়া না থাকলে ভালোই লাগে না। পেয়াজু করা হয় তবে এভাবে পাকোড়া তৈরি করা হয় না ইফতারে। আপনি বাঁধাকপি এবং মসুর ডালের পাকোড়া তৈরি করেছেন। একদিন ইফতারে ট্রাই করে দেখবো রেসিপিটা। ধন্যবাদ আপু ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

আমিও বাসায় প্রতিদিন পেঁয়াজু তৈরি করি আপু তবে মাঝে মাঝে এভাবে পাকোড়া তৈরি করলেও খেতে বেশ ভালো লাগে। অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 3 months ago 

মসুর ডালের সাথে বাঁধাকপি দিয়ে পকোড়া ভীষণ সুস্বাদু হয়ে থাকে। আমি রমজানের আগে একবার এটা তৈরি করেছিলাম। খেতে ভীষণ ভালো লাগে। এরকম রান্নায় ভিন্নতা নিয়ে আসলে মুখের রুচি ফিরে আসে। আর খেতেও ভালো লাগে। রমজানের সময় ভাজাপোড়া কম খাওয়ার দরকার।কিন্তু মন মানে না,তাই না চাইলেও কিন্তু এটাই খেতে হয় পরে।

 3 months ago 

সেটাইতো আপু অনেক সময় ভাবি যে ইফতারে এই ভাজাপোড়া আইটেমগুলো রাখবো না কিন্তু রান্না না করতে পারলে একদমই ভালো লাগে না। যাইহোক বাঁধাকপির এই পাকোড়া আমার ভীষণ পছন্দের আপু। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

আমি এখন ভাজাপোড়া খুব কম খাওয়ার চেষ্টা করি।

 3 months ago 

লোভনীয় এই রেসিপি গুলো দেখে শুধু খেতে মন চায়।মসুরের ডাল দিয়ে চমৎকার সুন্দর করে বাঁধা কপির বড়া রেসিপি করেছেন। খুবই লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 3 months ago 

এভাবে বাঁধাকপির বড়া তৈরি করলে সেটা খেতে ভীষণ মজার হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

অনেক লোভনীয় রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার চমৎকার এ রেসিপি তৈরি করতে দেখে ভালো লাগলো আপু। এ জাতীয় রেসিপিগুলো আমিও বাড়িতে তৈরি করে থাকি। মাঝেমধ্যে তৈরি করে খেতে ভালো লাগে। ইফতারের সময় খেতেও ভালো লাগে।

 3 months ago 

হ্যাঁ আপু আমি ইফতারে খাওয়ার জন্য এই রেসিপিটা তৈরি করেছিলাম। ভীষণ মজা হয়েছিল খেতে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

কি যে দেখালেন আপনি। দেখেই তো এখন আর লোভ সামলাতে পারছি না। এই ধরনের খাবারগুলো খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো খুব কম রয়েছে বলে আমার মনে হয়। আপনি তো দেখছি অনেক বেশি করে তৈরি করেছেন। দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক মজা করেই খেয়েছিলেন। রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 3 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া পাকোড়া জাতীয় খাবার সবারই অনেক পছন্দের। আর সত্যি কথা বলতে সবাই অনেক মজা করেই খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

বাঁধাকপি এবং মসুর ডালের বড়া তৈরি করার খুবই সুন্দর পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। বাঁধাকপির বড়া খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিকেলের নাস্তা তে এমন জিনিস খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে।

 3 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া বিকেলের নাস্তা হিসেবে এই রেসিপিটা একদম পারফেক্ট একটা রেসিপি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

অনেক লোভনীয়একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। ডালের বড়া আমাদের রোজার মাসেই বেশি খাওয়া হয়। মাঝে মাঝে বিকেলের নাস্তা এই ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

রমজান মাস ছাড়াও বিকেলে এ ধরনের পাকোড়া কিংবা বড়া জাতীয় খাবার চায়ের সাথে খেতে বেশ ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 3 months ago 

অনেক মজার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপনি। বিশেষ করে বাঁধাকপির সাথে মসুরের ডাল দেওয়ার কারণেই অনেক মুচমুচে হবে। এই ধরনের খাবার ইফতারের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে। রেসিপিটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

 3 months ago 

হ্যাঁ আপু মসুরের ডাল দেওয়াতে বাঁধাকপির এই পাকোড়া গুলো খেতে বেশ মুচমুচে হয়েছিল। আর খেতেও খুবই ভালো লাগছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.