ওয়ালটন শোরুমে বিভিন্ন পন্য দেখতে যাওয়া
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব ছেলের কেনাকাটা করতে গিয়ে ওয়ালটন শোরুমে বিভিন্ন পণ্য দেখার অভিজ্ঞতা। বাচ্চাদের কেনাকাটা যেন শেষই হতে চায় না। ছোট বাচ্চাদের আরও একটা সমস্যা হচ্ছে ওরা খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং এবছরের কাপড় পরের বছর আর গায়ে লাগেনা। গ্রামে এখন হালকা ঠান্ডা পড়েছে। হালকা বলতে গেলে সকালে এবং রাতে বেশ ভালোই ঠান্ডা পড়ে।
গতকাল আলমারি থেকে যখন শীতের কাপড় গুলো নামিয়েছিলাম দেখলাম সেগুলো মাপে অনেকটা ছোট হয়ে গিয়েছে। তাই আজ গিয়েছিলাম ছেলের জন্য কেনাকাটা করতে। আমি বাবুর জন্য কয়েকটা পাতলা ফুলহাতা গেঞ্জি এবং গেঞ্জি কাপড়ের ফুল প্যান্ট কিনেছি। কেননা এখনো শীতের ভালো কোয়ালিটির মোটা পোশাকগুলো বের হয়নি।যদিও সব সময় অনলাইন থেকেই কেনাকাটা করে থাকি। তবে কেন জানি না মনে হল এবার মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা করব। যাইহোক বাবুর জন্য কেনাকাটা করতে গিয়ে অনেকটাই অবাক হয়েছিলাম কেননা প্রত্যেকটা কাপড়ের দাম খুবই বেশি ছিল। গেঞ্জি গুলো আমার কাছ থেকে নিয়েছিল ২৫০ টাকা করে এবং প্যান্টগুলো কিনেছিলাম ১৫০ টাকা করে।
মার্কেটের পাশেই ওয়ালটন শোরুম। বেশ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে হবে তাই ভাবলাম একটু শোরুমটা দেখে যাই। একটা দামের আইডিয়া নেওয়া যাবে। সেই ভেবে আম্মুকে নিয়ে walton শোরুমে চলে গেলাম। বরাবরই সেখানে গেলে আমার চোখ আটকায় ডাবল দরজার ফ্রিজ গুলোতে। যাইহোক বাসায় যেহেতু ফ্রিজ আছে তাই আর সেদিকে তাকিয়ে লাভ নেই।তবে যদি কখনো বাসার ফ্রিজ টা নষ্ট হয় অবশ্যই আমি ডাবল দরজার এই ফ্রিজটা কিনব। যাই হোক আমার একটি আয়রন মেশিন, ননস্টিক কুকারের সেট এবং একটি মাইক্রোওভেনের দরকার। আমি ছেলেকে সবসময় বাসায় কেক বানিয়ে খাওয়ায়। এর জন্য একটি ইলেকট্রিক বিটারের দরকার ছিল। আমি সবগুলোই ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। সত্যি কথা বলতে এই জায়গাগুলোতে গেলে একটা জিনিসের সাথে সাথে বিভিন্ন জিনিস পছন্দ হয়ে যায়।
যাইহোক বেশ ভালই আইডিয়া নিয়েছি। শোরুমে যে লোকগুলো ছিল তারা বলছিলেন "ভাবি শুধু দেখেই যাবেন কিনবেন না।" আমি বললাম "অবশ্যই সময় করে চলে আসব।" বাসায় গিয়ে আপনাদের ভাইয়ার ব্রেন ওয়াশ করতে হবে তারপর। হি হি হি।যাইহোক এখন বর্তমানে হাসবেন্ড এর ব্রেন ওয়াশ করা চলছে দেখি কবে কিনতে পারি। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
ওয়ালটন শোরুমে যেয়ে ঘোরাঘুরি করলেন এবং জিনিসগুলো দেখলেন। ওয়ালটনের জিনিসগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে এই জিনিসগুলো বেশ ভালো সার্ভিস দেয়। আপনার মত আমারও ডাবল দরজার ফ্রিজ টা বেশ পছন্দের। বেশ ভালো হবে আপু এই ফ্রিজটা নিলে অনেক সুন্দর। আপনার ব্লগটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে।
আমার বাসার প্রত্যেকটা ইলেকট্রিক জিনিস walton থেকে নেওয়া। তাই আমি যখনই কোন কিছু কিনতে যাই অন্য শোরুম গুলোতে খুব কমই যাই। যদি কখনো ফ্রিজের প্রয়োজন পড়ে আবারও অবশ্যই আমি ডাবল দরজা এই ফ্রিজ টাই কিনব আপু।
ওয়ালটন শোরুমে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। অনেক ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র দেখেছেন। আসলে জীবনে চলার পথে সবকিছুই দরকার হয়। Walton এর পণ্যগুলো আমারও খুব ভালো লাগে। আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। walton এর জিনিসগুলো আমার কাছেও খুব ভালো লাগে।