পূর্নিমার চাঁদ || প্রথম পর্ব
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি সুন্দর একটি ভালোবাসার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশা করছি আজকের এই গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ভালোবাসা এমন একটা জিনিস যা কখনো ধনী গরিব জাত ধর্ম কিছু মানে না।জীবনে কখন ভালোবাসা আসবে কিভাবে কেউ জানে না। তবে আজ আমি যে গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটা একদমই অন্যরকম একটি গল্প হবে।দুজন ভালোবাসার মানুষ দুই ধর্ম থেকে কিভাবে একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে এবং তাদের পরিণতি কি হয় সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
চাঁদ রসুলপুরের মির্জা বাড়ির আদরের সন্তান। দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি পড়াশোনাতেও খুবই ভালো।সে কলেজে পড়ে পরিবারের সবার নয়নের মনি। হঠাৎই চাঁদ ছোট্ট একটা অসুস্থতায় ভোগে। ডাক্তার চাঁদ কে সকালবেলা নিয়মিত হাঁটতে বলেন। ডাক্তারের নিদর্শন অনুযায়ী চাঁদ প্রতিদিন সকাল বেলায় গ্রামের মেঠো পথে হাঁটতে বের হয়।প্রতিদিনের মতো চাঁদ একদিন হাঁটতে বেরিয়েছে। যাদের পাশ কাটিয়ে একটা মেয়ে হাতে বই নিয়ে চলে যায়। এক পলকেই চাঁদের নজর কেড়ে নেয় সেই মেয়ে।কিন্তু সামনে থেকে চাঁদ মেয়েটিকে ভালোভাবে দেখতে পারেনি।
পরের দিন চাঁদ খুব সকালে উঠে আবারো একই রাস্তায় হাঁটতে যাই সেই মেয়েটিকে দেখার আশায়। কিন্তু অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও সেই মেয়েটি আর দেখা পায়নি। দেখা পাবে কি করে তখন যে পূজোর ছুটি পড়ে গেছে। এরপর প্রতিনিয়ত চাঁদ মেয়েটির জন্য অপেক্ষা করছে। অপেক্ষার প্রহর যেনো কাটতেই চায় না। এরপর হঠাৎই চাঁদ একদিন সকালবেলা সেই মেয়েটিকে দেখতে পায়। এবং মেয়েটির পিছু নেয়।এভাবেই বেশ কয়েকদিন চলে যায়।কিন্তু চাঁদ সাহস করে মেয়েটিকে কোন কিছুই জিজ্ঞেস করতে পারেনি। এমনকি এই নামটা পর্যন্ত চাঁদ জানেনা।
যাইহোক এভাবেই বেশ কিছুদিন চলে যায়। মেয়েটি বুঝতে পারে যে চাঁদ তাকে কিছু বলতে চায়। তখন সে দাঁড়িয়ে চাঁদ কে জিজ্ঞেস করে আপনি কি কিছু জানতে চান। চাঁদ তখন অনেক সাহস করে তার মনের কথাটা বলে ফেলে যে সে মেয়েটিকে অনেক পছন্দ করে। মেয়েটি বুঝতে পারে যে চাঁদ অনেকদিন থেকেই তাকে দেখছে এবং সেও চাঁদকে মনে মনে পছন্দ করে ফেলেছে। যাইহোক এভাবে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
চাঁদ প্রতিনিয়ত সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সেই রাস্তায় গিয়ে পূর্ণিমার জন্য অপেক্ষা করে। পূর্ণিমা হচ্ছে সেই মেয়ে যাকে চাঁদ প্রতিদিন সকালবেলা দেখতে এবং ভালোবাসে।কিন্তু তাদের এই সুন্দর সম্পর্কটা কিছুদিনের মধ্যেই একটা ঝড় এসে তছনছ করে দেয়।আর কি সেই ঝড় সেটা জানতে হলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে। খুব তাড়াতাড়ি চেষ্টা করব পরের পর্বটি শেয়ার করার। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সাথে থাকবেন। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.