ঈদের কেনাকাটা শেষে ভরপেট খাওয়া-দাওয়া

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। গত দুদিন আগে ঈদের কেনাকাটার মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম। বেশ অনেকটা সময় ধরে আমরা কেনাকাটা করেছি বলতে গেলে বিকেল চারটা থেকে রাত বারোটা অব্দি। আমি এই ঈদে চেষ্টা করি আমার শ্বশুরবাড়ি বাবার বাড়ি এবং বেশ কিছু আত্মীয়-স্বজনসহ কিছু গরিবদের কাপড় কিনে দেওয়ার। যেহেতু সবার জন্য কেনাকাটা ছিল তাই সময় নিয়ে কেনাকাটা করতে হয়েছিল আর সবচেয়ে দেরি হয়েছিল বাবুর কেনাকাটা করতে। ইফতারের পর অনেকটা সময় হেঁটে হেঁটে শপিং করা হয়েছে তাই অনেকটা ক্ষুধা পেয়ে গিয়েছিল।

1000036549.jpg

1000036550.jpg

আমরা গিয়েছিলাম আমার দেবরের বাসায়। যেহেতু কেনাকাটা করতে অনেকটাই রাত হয়ে গেছে আর বাসায় এসে রান্না করার মত কোন এনার্জি থাকবে না তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েই বাইরে থেকে খেয়ে বাসায় ঢুকবো। আর কথা হচ্ছে কাচ্চি তো আমরা ইফতারে খেয়েছি তাই একটু ডালভাতের ব্যবস্থা হলে বেশ ভালো হতো। বগুড়া শহরে সিরাজের চুই ঝাল আমি একটি রেস্টুরেন্ট আছে। যেটার খাবার নাকি অনেক বিখ্যাত। আমার দেবর বললো সেখানে গেলে আমরা অনেক তৃপ্তি করে খেতে পারব। ওখানে নাকি ওরা মাঝে মধ্যেই খায়।

1000035723.jpg

1000035740.jpg

1000035741.jpg

1000035725.jpg

1000035724.jpg

তাই আমরা আবার দেরি না করে সেখানে চলে গিয়েছিলাম। তো আমরা সেখানে বেশ কিছু খাবারে অর্ডার দিয়েছিলাম। আমরা নিয়েছিলাম চুঁই ঝাল দিয়ে খাসির মাংস। উনারা বলছিলেন চুই ঝাল দিয়ে হাঁসের মাংস নাকি এখানকার খুব বিখ্যাত কিন্তু তখন শেষ হয়ে গিয়েছিল। সাথে দিয়েছিল কয় প্রকার ভর্তা ডাল ভর্তা আলু ভর্তা এবং কাঁচা কলা ভর্তা আর সাথে মরিচ এবং পেঁয়াজের ভর্তা।সাথে দিয়েছিল ঘি। গরম ভাত এবং ভর্তার সাথে ঘি দিয়ে খেতে যে কি মজা লাগছিল সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। এরপর চলে এসেছিল আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত চুঁইঝাল দিয়ে খাসির মাংস। আমি চর্বিযুক্ত একটি মাংস নিয়েছিলাম।

সত্যি কথা বলতে ভর্তার আইটেমগুলো অসাধারণ ছিল বিশেষ করে সেই মরিচ এবং পেঁয়াজের ভর্তাটা। তো ভর্তা দিয়েই অর্ধেক ভাত খেয়ে ফেলেছিলাম। সত্যি কথা বলতে খুবই ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল এবং খাবারগুলো অনেক সুস্বাদু ছিল তাই বেশ তৃপ্তি করে খেয়েছি। খাবারের শেষে ছিল চাটনি। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা বাসায় চলে আসি। তো এই ছিলা আমার খাওয়া-দাওয়া সুন্দর মুহূর্ত। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 yesterday 

ঈদের খাবারের কথা শুনেই জিভে জল চলে আসে।ঈদ শুধু খাওয়া-দাওয়া বা কেনাকাটার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোরও একটি সুযোগ।ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা! আপনার ঈদ উৎসব আনন্দময় হোক এবং এই উৎসব আপনার জীবনে সুখ ও শান্তি বয়ে আনুক।

 yesterday 

আসলে আপু ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা মানে বেশ অনেক সময় প্রয়োজন অনেক কিছু কেনাকাটার প্রয়োজন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আত্মীয়স্বজনকে যদি গিফট দিতে হয় তাহলে তো আরো সময়ের ব্যাপার আর ধৈর্য ধরে পছন্দ করে দামদামি করে কেনাকাটা করতে হয়। যাইহোক এরপর দেবরের বাসা উঠেছেন তারপরে আপনাদের খাবারদাবারের বিষয়গুলো সব মিলে সুন্দর ছিল। অনেক কিছু একটি পোষ্টের মাঝে জানতে পারলাম। ভালো লাগলো চমৎকার এই পোস্ট দেখে।

 yesterday 

ঈদ উপলক্ষে ব্যাপক কেনাকাটা করেছেন দেখছি। যাইহোক কেনাকাটা করতে করতে আসলে অনেকটাই সময় যায় এবং ক্ষুধাও লেগে যায়। কারণ অনেক হাটাহাটি করতে হয়। হেঁটে হেঁটে দেখে তারপর কিনতে হয়। যাই হোক দেবরের বাসায় যাওয়ার আগে খেয়ে নিয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। কারণ শপিং করার পর বাসায় গিয়ে আবার রান্না করা অনেক ঝামেলার ব্যাপার হয়ে যায়।

 yesterday 

বাহ খুব সুন্দর একটি মুহূর্তে কাটালেন আপনি। কেনাকাটার সময় সময় খাওয়া-দাওয়া করতে খুব ভালো লাগে। যেহেতু ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করা হয় তাই অনেক খিদে লেগে যায়। বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া করলেন। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।