শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রিয়জনের জন্য পছন্দের খাবার বানিয়ে দেওয়া
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। এখন যখন লিখতে বসেছি প্রায় রাত 11:30 টা বাজে। আমি মাত্র গোসল সেরে লিখতে বসেছি। একদমই ইচ্ছে করছিল না লিখতে। প্রচুর ক্লান্ত এবং ঘুম পাচ্ছিল। কিন্তু সময়ের কাজ সময় না করলে পরে আর মন বসে না। বিশেষ করে আজকের দিনটায় খুবই ব্যস্ত ছিলাম। সকাল থেকে একটুও রেস্ট করার সময় পায়নি। কারণ বাড়িতে আজ প্রায় অনেকগুলো মিস্ত্রি ছিল। রঙের মিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি এবং বাহিরে বারান্দা করা হচ্ছিল টিনের মিস্ত্রি। সব মিলিয়ে নিঃশ্বাস ফেলার সময় পায়নি। যাইহোক এরই মধ্যে আবার প্রিয়জনের আবদার মেটাতে হয়। যেমন স্বামী সন্তান সবার।
আজ দুপুর বেলা যেহেতু অনেকগুলো মিস্ত্রি ছিল বাসায় তাই তাদের জন্য রান্না বান্নাও করতে হচ্ছিল।তাই অনেকটা সময় লাগছিল। এদিকে আমার বরমশায়ের খুদা লেগেছে সাথে ছেলে বলছে তারও কিছু খেতে হবে।তাই ভাবলাম ঝটপট তাদের জন্য নুডলস বানিয়ে দেই কারণ এটা তাদের দুজনেরই পছন্দের খাবার। খুবই কম সময়ের মধ্যে আমি তাদের খাবারটা বানিয়ে দিয়েছিলাম।
ঘরে গাজর ছিল ভাবলাম আজকে একটু তাদেরকে গাজর দিয়ে মজা করে নুডলস বানিয়ে দিই। তারা খুবই মজা করে খেয়েছিল। আসলে শত ব্যস্ততার মাঝেও যখন প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে পারি তখন ভালোলাগাটা অন্যরকমের হয়।তাদের এই হাসি মুখগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। জানিনা কবে এই ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠতে পারব। তবে অনেকটা একঘেয়েমি চলে এসেছে আর ভালো লাগছে না। ঠিকভাবে পোস্ট লেখার মতো বিষয়ে এখন খুঁজে পেতে আমার অনেক কষ্ট হয়। রেসিপি করতে পারছি না বাহিরে কোথাও ঘোরাঘুরি করতে পারছি না সব সময় বাসার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি।
ভাবলাম যেহেতু তাদের জন্য আমি রান্না করেছি সেটার রেসিপি শেয়ার না করলেও অন্তত খাবারের ফটোগ্রাফি দিয়ে আমি এই মুহূর্তটা লিখতে পারি। সেই ভেবে লিখতে বসেছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। হয়তো খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুনরায় কাজে ফিরব। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলছেন আপু শত ব্যস্ততার মাঝেও যখন প্রিয়জনের কাছে পছন্দের খাবার গুলো দেওয়া যায় তখন সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি অনেক ব্যস্ত ছিলেন সারাদিন। তার মাঝেও খুব মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছিলেন। ভাইয়া আর বাবুর জন্য। নুডুলসের কালার দেখে বেশ ভালো লাগলো।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রিয়জনের জন্য পছন্দের খাবার বানিয়ে দেওয়ার মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। এবং সেই খাবারটি যখন প্রিয় মানুষ তৃপ্তি সহকারে খায়। তখনকার অনুভূতিটা আরো বেশি তীব্র হয়।
এটা সত্যি বলেছেন আপু অনেক ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয়জনের আবদার পূরণ করতে পারলে মনের কাছে অনেক ভালো লাগে। নুডুলস রেসিপিটা আমি অনেক বেশি পছন্দ করি খুব ভালো লাগে আমার কাছে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি প্রক্রিয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এরকম ধরনের নুডুলস খেতে আমারও খুবই পছন্দ। আমাদের এখানে ম্যাগি পাওয়া যায়। ম্যাগি দিয়ে এরকম বানায়। মাঝে মাঝে মনে হয় বিশ্বের সেরা খাবার ম্যাগি। হা হা হা৷ আপনার নুডুলসটিও দেখতে বেশ হয়েছে ভাবি৷ খেতেও নিশ্চই দারুণ হয়েছিল।
নুডুলস খুবই লোভনীয় লাগছে। এই ধরনের খাবারগুলো খেতে সবাই পছন্দ করে। আর আপনি আপনার প্রিয় মানুষের জন্য চমৎকার করে নুডুলস তৈরি করেছিলেন। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই পোস্ট দেখে।
এধরনের রেসিপি দেখলে আসলে অনেক লোভ লেগে যায় কারণ এগুলো তো আসলে মুখোচোক খাবার। আর এধরনের খাবার দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে। এত সুন্দর একটি মোখরোচক খাবার আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
সত্যিই প্রিয় মানুষের জন্য যদি কোন কিছু করা যায় তাহলে সেখানেই আমাদের শান্তি। আপনার কষ্ট হলেও আপনি যেহেতু প্রিয় মানুষের জন্য এই রেসিপি তৈরি করেছেন তাহলে সেই রেসিপি খেয়ে প্রিয় মানুষের মুখের হাঁসি দেখলে আপনার সকল কষ্ট দূর হয়ে যাবে।