কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি
হ্যালো",
সবাইকে আমার ফটোগ্রাফি পোস্টে স্বাগতম। প্রতিদিন চেষ্টা করে আলাদা আলাদা বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করার আজ বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আমরা এখন যেখানে ঘুরতে যাই কিংবা কাজে যায় না কেন আমাদের একটা উদ্দেশ্য থাকে সেটা হচ্ছে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করা। যাতে পরবর্তীতে সেগুলো আমার বাংলা ব্লগে শেয়ার করতে পারি। তবে একটা কথা বলতে পারি আজকে আমার কিছু ফটোগ্রাফি দেখে আপনারা ছোটবেলায় ফিরে যেতে পারেন। যাইহোক চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নিই।
ফটোগ্রাফি-১
এগুলো নিশ্চয় চিনতে পেরেছেন।এগুলো লাটিম।ছোটবেলায় আমি লাটিম ঘুরাতে পারতাম না।আব্বু বারবার শিখিয়ে দিতেন। তাও পারতাম না আর খালি কান্না করতাম।এখনকার বাচ্চারা তো লাটিম চিনবেই না। অন্য বাচ্চাদের কথা কি বলবো আমার ছেলেই এগুলো চিনে না।কিছুদিন একটি দোকানে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম বেশ কিছু পুরোনো দিনের খেলনা।তাই ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
#ফটোগ্রাফি-২
এগুলো হলো মার্বেল ছোটবেলায় খুবই খেলেছি। এখন অনেকেরই প্রশ্ন থাকে মেয়ে হয়ে আমি কিভাবে মার্বেল খেলেছে। আমাদের গ্রামবাংলায় একটা খেলা আছে মার্বেল দিয়ে ২০ পর্যন্ত গুনে গুনে খেলতাম। এরপর যে লাস্ট হতো তার জন্য শাস্তি রাখতাম। এখনো অবশ্য গ্রামে এই দৃশ্যগুলো দেখা যায়।
ফটোগ্রাফি-৩
এগুলো হচ্ছে কারেঙ্গা মার্বেল মানে কামরাঙ্গার মত ডিজাইন থাকতো এই মার্বেল গুলোর ভিতরে। রুবেলায় ছোট ছোট কালো মার্বেলের পাশাপাশি এই মার্বেলগুলো ছিল সব ছোটদের পছন্দের।আর এই মার্বেলগুলো অনেকদিন পর দেখে বেশ ভালই লাগছিল। তাই এটার একটা ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।
ফটোগ্রাফি-৪
শীতকালে প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে সরিষা ক্ষেত। ক্ষেতের পর ক্ষেত সরিষা চাষ করা হয় এই সিজনে। প্রত্যেকটা ক্ষেত যখন সরিষা ফুলে ভরে যায় সেটার সৌন্দর্য থাকে দেখার মতো।ইতিমধ্যে দুই দিন সরিষা ক্ষেতে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
তো এইছিল আমার কয়েকটি রেনডোম ফটোগ্রাফি। আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
আজকে আপনি মুগ্ধ হওয়ার মতো বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। যে ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দেখতে। এরকম ফটোগ্রাফি গুলো আমি সব সময় খুব পছন্দ করি। আপনার তোলা প্রতিটা ফটোগ্রাফির প্রশংসা করাই লাগছে। সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি বেশি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ছিল।
সত্যি কথা বলতে এই জিনিসগুলো দেখে অনেকটাই আবেগপ্রবণ হয়েছিলাম। সেই ছোটবেলার কথা বারবার মনে পড়ছিল। ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
অনেক অনেক ভালো লাগলো ছোটবেলার কিছু খেলার জিনিস দেখতে পেরে। মার্বেল আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয় জিনিস ছিল। আমি তো ফুল মার্বেল গুলো বেশি বেশি সংরক্ষণ করে রাখতাম। যাইহোক একদম মনটা ভরিয়ে দিলেন সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখিয়ে।
ফুল মার্বেলগুলা আমারও ছিলো। আমার এক বড় ভাইয়া খেলে এনে আমাকে দিতেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
খুবই ভালো লাগলো আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে। অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। একই সাথে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির খুবই চমৎকার বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। দারুন একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে একদম শৈশবের স্মৃতিতে চলে গেলাম আপু। দাদু বাড়িতে যখন থাকতাম প্লে পড়তাম তখন রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার সময় দেখতাম গ্রামের ছেলেরা এসব মার্বেল দিয়ে খেলাধুলা করছে।
এখন গ্রামেও এই খেলা গুলো খুব একটা দেখা যায়না।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আমরা যেখানেই যাই না কেন ফটোগ্রাফি করা যেন আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে। যাই হোক সত্যিই আপনার কয়েকটি ফটোগ্রাফি ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়। লাটিম আর মার্বেল এর ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আপনি আপু একেবারে ছোটবেলার স্মৃতি তুলে ধরেছেন। লাটিম বা লাট্টু এখনও পাওয়া যায়। আমি খেলি বাড়ি গেলে। আর মার্বেল ছোটবেলায় আমিও অনেক খেলেছি। পাড়ার ছেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে। হে হে হে। বাবার হাতে মারও খেয়েছি। অনেক স্মৃতি উস্কে দিল আপনার পোস্টটি।
আমিও খেলেছি আপু ছোট বেলায়।মায়ের দৌড়ানি যে কত খেয়েছি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
https://x.com/HiraHabiba67428/status/1879474194343411816?t=fZLHF2YS1G2Zeizc2gTI2Q&s=19
ঠিকই বলেছেন আপু এখনকার বাচ্চারা এ ধরনের খেলা গুলো খুবই কম খেলে। যদিও এ খেলা গুলোর সাথে আমিও তেমন পরিচিতি না। কখনো খেলা হয়নি। খুব সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলায় এ খেলা গুলো কত খেলেছি কিন্তু এখনকার বাচ্চারা এই খেলা গুলোর সাথে একদমই পরিচিত নয়। বলতে গেলে এই জিনিসগুলো তারা চেনেই না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।