জেনারেল রাইটিং- হিংসা
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করব। আমার আলোচনার বিষয় থাকবে হিংসা। হিংসা মানুষের খারাপ একটি গুণাবলী। আমি আজকে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
হিংসা কখনো মানুষকে বড় হতে শেখায় না। হিংসা মানুষকে সব সময় নিচুর পরিচয় তুলে ধরে। হিংসুটে মন-মানসিকতা নিয়ে যারা চলে, তারা সমাজে ঘৃণার পাত্র। কারো ভালো মন্দ দেখলে তাদের মধ্যে জলে। হিংসা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে ভালো-মন্দ গুণাবলী থেকে থাকে। তার মধ্যে হিংসে চিন্তা-চেতনা সব সময় উপস্থিত না থাকলেও বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে এমন চেতনা জাগ্রত হয়। বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে হিংসা চেতনা জাগ্রত হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু হিংসা মন-মানসিকতা সব সময় মানুষের মধ্যে বিদ্যমান থাকবে এটা ক্ষতির বড় কারণ। সমাজে এমন কিছু শ্রেণির মানুষকে লক্ষ্য করা যায়। সব সময় হিংসুটে মনোভাব নিয়ে চলে। সেই শ্রেণীর মানুষেরা ভাল পর্যায়ে যেতে পারে না। আবার যার উপর হিংসুটে মনোভাব পোষণ করে তাদেরকে ভালো কিছু করা থেকে ব্যাহত করে।
আমি ছোট থেকে হিংসা বিষয়টাকে মন থেকে মেনে নিতে পারি না। যখন একজন সবল ব্যক্তি দুর্বলের উপর হিংসা করে। তখন তার বোঝা উচিত, তার আচরণটা পশুর সমতুল্য হচ্ছে। হিংসুটে প্রাণেরা দুর্বল হিংসুটে পানিকে শিকার করে। এরপর সেই শিকার করা প্রাণীকে ধ্বংস করে ফেলে। হিংসার ঠিক তেমন। যার উপরে হিংসা পোষণ করা হয়। সেই ব্যক্তিকে হিংসা দ্বারা শিকার করা হয়। তার পথচলা, দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত করা হয় হিংসার মাধ্যমে। এতে সে ব্যক্তি হিংসার কবলে পড়ে ধ্বংসের দিকেও চলে যায়। বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভিন্ন ধরনের হিংসা লক্ষ্য করা যায়। বাস্তব জীবনের ছোটবেলা থেকে বেশ কয়েকটা বিষয় এর হিংসা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। লেখাপড়া জীবনে অনেক বন্ধু বান্ধবী থাকে। ক্লাসে রোল নম্বর প্রথম পর্যায়ে আনতে প্রতিযোগিতা থাকে। প্রতিযোগিতা আর হিংসা কখনো এক নয়। যারা ভালো স্টুডেন্ট তারা সবসময় চেষ্টা করে নিজের বন্ধু বান্ধবীদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ভালো ফলাফল করার সুযোগ দেওয়ার। এতে তার মেধার ক্ষতি হয় না। বরংচ আর একজনাকে সহযোগিতা করার মধ্য দিয়ে নিজের মধ্যে আরও উৎসাহ সৃষ্টি হয়ে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়। এতে দেখা যায় নিজের রেজাল্ট সব সময় ভালো পর্যায়ে থাকে। আরেকজনের এগিয়ে আসতে দেখে নিজের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে কিছু কিছু স্টুডেন্ট থাকে মনোভাবটা ব্যতিক্রম। তারা কোন কিছু বেশি জানলে সহপাঠীদের জানাতে চায় না। মনে করে তারা ভাল রেজাল্ট করে ফেললে আমি পিছিয়ে যাব। কিন্তু একটি পর্যায়ে দেখা যায় অন্যান্য বন্ধুরা যেভাবে হোক কষ্ট করে হলেও সে সমস্ত লেখাপড়া গুলো নিজের কন্ট্রোলের মধ্যে নিয়ে আসে এবং ভালো রেজাল্ট করে। এদিকে হিংসুটে মনোভাব বন্ধু-বান্ধবীরা বুঝতে না পেরে ভেবে নেই আমি পারি সে পারবে না এমন মনোভাব পোষণ করে থাকে অথবা খারাপ রেজাল্ট করে ফেলে।
মানুষ হালাল পথে ইনকাম করে ধনী হতে অনেক সময় লাগে। হালাল পথে ইনকাম করে বড় হওয়াটা বেশ কঠিন রয়েছে। সমাজে যখন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ পাশাপাশি অবস্থান করে। এর মধ্যে কোন এক ব্যক্তি ভালো পর্যায়ে উঠে যেতে পারলে দেখা যায় তার পিছনে অনেক ব্যক্তি হিংসার হাত বাড়িয়ে দেয় এবং শত্রুতা সৃষ্টি করে ফেলে। এই শত্রুতা সে ব্যক্তিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে অনেক ব্যাহত করে। কিন্তু একটা পর্যায়ে দেখা যায় যে সমস্ত মানুষেরা ভালো পর্যায় থেকে বিপদে-আপদে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় না। কারণ হিংসুটে মনোভাব সব সময় চাই ক্ষতির দিকটা। হিংসুটে মনোভাব কখনো ভালো দিক প্রাধান্য দিতে জানে না। আর এমনই হিংসুটে বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা লক্ষ্য করে থাকি। মাত্র দুইটা বিষয়ে উদাহরণ দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করলাম। জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আপনি চলতে গিয়ে দেখবেন এমন হিংসুটে মানুষ আপনার পাশে অবস্থান করছে এবং আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াতে বাধা সৃষ্টি করছে। আমি মনে করি এই হিংসা অনুভূতি মানুষের মনের মূর্খতা। যার মধ্যে মূর্খতা বেশি রয়েছে তাদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ বেশি রয়েছে।
একটা সময় অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষেরা হিংসা করতো। তাদের মধ্যে হয়তো শিক্ষার আলো ছিল না এই জন্য এমন মনোভাব ছিল। কিন্তু এখনো সমাজের যে সমস্ত মানুষেরা হিংসা কাজে জড়িত রয়েছে তারা কতটা নিচু ও জঘন্য হতে পারে। একটা কথা রয়েছে না জেনে ভেজাল খাওয়া যায় কিন্তু জেনে ভেজাল খাওয়া যায় না। যখন একজন মানুষ জেনে শুনে হিংসা করবে তখন বুঝতে হবে তার মধ্যে শিক্ষার অভাব রয়েছে তাই হিংসার কাজে লিপ্ত রয়েছে। এখন আমি বেশিরভাগ লক্ষ্য করে থাকি অর্থের দিক থেকে মানুষের হিংসার প্রবণতা অনেক বেশি। মানুষের চাই আমার অর্থ বেড়ে চলুক আরেকজনের যেন সে ভাবে না হয়। তবে প্রত্যেকটা পর্যায়ে যে হিংসা প্রবণতা রয়েছে এটা সত্য। তাই আমাদের সব সময় হিংসা থেকে দূরে থাকতে হবে। হিংসুটে মনোভাব থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। হিংসা ও হিংসুটে মনোভাব কখনো জীবনে সাফল্য তা এনে দিতে পারেনা। সমাজে একে অপরের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে চলাতে পারে না। তাই মন মানসিকতা সব সময় থাকতে হবে হিংসা মুক্ত। হিংসা থেকে নিজেকে যতটা বিরত রাখা যাবে ততটা নিজের মধ্যে স্বস্তি থাকবে। যার মধ্যে হিংসা যত বেশি সে তত সহজে ঘৃণার পাত্র। সর্বোপরি আমাদের এই বিষয়টা মাথায় রেখে চলতে হবে। হিংসামুক্ত মন মানসিকতা যেন আমাদের দৈনন্দিন পথচলা হয়।
ব্লগিং ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
---|---|
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
আলোচনার বিষয় | হিংসা |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার ও ব্লগার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
আমার আজকের টাস্ক
হিংসা হচ্ছে পতনের মূল। যে হিংসা করে সে কখনো উন্নতি করতে পারে না। হিংসা না করে কাজের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করাই হলো শ্রেষ্ঠ প্রতিশোধ। হিংসুটে মনোভাব আমাদের হৃদয়কে সবসময় ছোট করে। তাই আমাদের উচিত সবসময় হিংসা থেকে বিরত থাকা। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।