জেনারেল রাইটিং- চিন্তাভাবনা ও টেনশন এর প্রভাব

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago




হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করব। আমার আলোচনার বিষয় থাকবে চিন্তাভাবনা। মানুষ যতক্ষণ বেঁচে থাকে ততক্ষণ বিভিন্ন চিন্তা ভাবনার মধ্যে ডুবে থাকে। এই চিন্তা ভাবনা কখন আমাদের কেমন প্রভাব ফেলে, তাই বিশ্লেষণ করবো।


1000012226.jpg

photo editing by Infinix hot 50 pro mobile gallery




আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি, তখন হয় স্বপ্ন দেখি অথবা স্বপ্ন দেখি না। গভীর ঘুমে সময় চলে যায়। কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পর বিভিন্ন চিন্তা চেতনা আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে। যত সময় যেতে থাকে, তখন বিভিন্ন ভাবনাগুলো যেন মাথার মধ্যে ঘুরপাক করতে থাকে। আর এই চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে আমাদের বুদ্ধি জ্ঞান হওয়ার অনেক আগ থেকে। যখন বুদ্ধি জ্ঞান হয়েছে তখন এটা ভাবতে শিখেছি বা অনুভব করতে শিখেছি। কিন্তু চিন্তাভাবনা সেই কবে কখন আমাদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। ভেবে দেখুন যখন একদম ছোট ছিলাম সেই থেকে এই পর্যন্ত কত চিন্তা ভাবনা করেছি এই জীবনে। ছোটবেলার চিন্তা ভাবনা; স্কুল জীবনের চিন্তা ভাবনা; কলেজ লাইফের চিন্তাভাবনা; সংসার জীবনের চিন্তাভাবনা সবই যেন ভিন্ন ভিন্নতা নিয়ে এসেছে আমাদের মাথার মধ্যে এবং এতে টেনশন করিয়েছে; আনন্দ দান করেছে আবার সাময়িক দুঃখ কষ্ট হাসি আনন্দ সবকিছুই ভাবাইছে। বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন এই চিন্তাগুলো আমাদের শরীরের উপর প্রভাব ফেলেছে এটা কিন্তু আমরা কখনো অনুভব করি নাই। কিছু মানসিক টেনশন,মানসিক হয়রানি আমাদের মধ্যে তাড়া করেছে। উঠতি বয়সে রক্তের মধ্যে অন্যরকম তেজ থাকে যার জন্য আমরা কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হয় না। কিন্তু একটা বয়স পার হয়ে গেলে মানসিক টেনশন বিভিন্ন রোগবালা সৃষ্টি করে দেয়।

ডাক্তারি কিছু পরামর্শে আপনারা দেখবেন হেলথ কেয়ার সম্পর্কে বলে থাকেন ৩০ বছর হলেই মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রকমের অসুখ সৃষ্টি হতে পারে। এর আগে জানতাম ৪০ বছর হলে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। এখন বেশিরভাগ সময় ৩০ বছর বয়স। হ্যাঁ আমি খেয়াল করে দেখছি সত্যি ৩০ বছর হলেই মানুষের মধ্যে টেনশনের কারণে প্রেসারের সমস্যা ডায়াবেটিসের সমস্যা স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ চলে আসে। আমি আমার চিন্তা-চেতনা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে দেখেছি ৩০ বছরের নিকট সময়টা আমাদের জীবনে খুবই টেনশনের মুহূর্ত। বেশিরভাগ মানুষের নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সংসার কন্ট্রোল করা থেকে বিভিন্ন দায়িত্ব নিতে হয়। শুধু নিজেকেই নয়, নিজের ফুল ফ্যামিলির একটা দায়িত্ব চলে আসে এই বয়সে। বেকার মানুষের জীবনেও দায়িত্ব আসে কর্মজীবী মানুষের জীবনেও দায়িত্ব আসে এই বয়সটাতে। এইজন্য অনেকেই এই বয়সের নিকটে এসে বিভিন্ন টেনশনের সম্মুখীন হয়ে পড়েন।

ছোটবেলায় আমাদের টেনশন থাকে এই খেলাটা খেলতে যাব, অমুক জায়গায় খেলতে যাব ইত্যাদি বিষয়। যে টেনশন গুলো আমাদের মানসিক প্রেসার দেয় না। হতে পারে সেটা টেনশন অথবা চিন্তাভাবনার বিষয়। তবে সেগুলো মানুষকে ভালো রাখে খেলাধুলার মধ্য দিয়ে। তাই ওই সময়ে কোন রোগ বলা আমাদের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না। কারণ যতটা টেনশন তার চেয়ে শারীরিক ব্যায়াম হয়ে যায় বেশি। এদিকে উঠতি বয়সের রক্তের তেজ আমাদেরকে চাঙ্গা করে রাখে। এই জন্য আমরা সুস্থ অবস্থায় হাঁসি আনন্দে সময় পার করি কিশোর বয়সটা। এরপর লেখাপড়া চাপ সৃষ্টি হয়ে যায় হাই স্কুল লাইফ থেকে। লেখাপড়াটাও কিন্তু মানুষের টেনশনের বিষয়। যারা ভাল স্টুডেন্ট, লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ বেশি, ভালো রেজাল্ট করতে হবে এমন চিন্তা নিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে মানসিক টেনশন টা অনেক বেশি থাকে। তবে ওই যে হাই স্কুল লাইফ বন্ধু-বান্ধবী রয়েছে টেনশন যদি হয় দশ মিনিট হাসি আনন্দ 20 মিনিট। এতে যথেষ্ট সুস্থ থাকতে পারে। স্কুলে যাওয়া প্রাইভেটে যাওয়া কোচিংয়ে যাওয়া বিভিন্ন বিষয়গুলো তাকে ব্যায়ামের মধ্যে রাখে। তাই পরিশ্রমই মুহূর্তটা মানুষকে যথেষ্ট সুস্থ রাখে।



কিন্তু ৩০ বছর বয়সটা মানুষকে সাংসারিক জীবনে এনে দেয় বিভিন্ন দায়িত্ব। এই দায়িত্বটা মানুষকে এতটা চাপের মুখে রাখে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যা ফেস করতে থাকতে হয়। এর মধ্যে যাদের চাকরি-বাকরি রয়েছে প্রতিমাসে টাকা পয়সা আসছে যাচ্ছে তারা মানসিক টেনসনে থাকলেও এক প্রকার চাপ কম থাকে। আর যারা বেকারত্ব জীবন অতিবাহিত করে বা অল্প ইনকামে দিন যাপন করে তাদের মানসিক চাপটা একটু বেশি হয়ে যায়। সেই জায়গায় যদি পারিবারিক কোন সমস্যা, রোগবালার পিতা-মাতা অসুস্থ স্বামী বা স্ত্রী অসুস্থ বাচ্চাকাচ্চা অসুস্থ হয়ে থাকে সেখানে মানসিক টেনশন টা আরো বেশি। একদিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে টেনশন আরেকদিকে আর্থিক টেনশন তাকে কাবু করতে থাকে। আগের মত হাসি আনন্দ শারীরিক ব্যায়ামের মতো খেলাধুলা কম থাকায় মানসিক টেনশন চিন্তা-ভাবনা গুলো যেন তার মধ্যে ভাইরাসের মতো আক্রমণ করতে থাকে।

চিন্তা ভাবনা গুলো স্বাভাবিক পর্যায়ে থেকে কঠিন পর্যায়ে টেনশনের রূপ নেয়। আর এই ৩০-৪০ বছর সময়টা মানুষের কঠিন মুহূর্ত ধারণ করে থাকে। তাই কিছু জ্ঞানীগুণী মানুষের পরামর্শ মত যা আমি বুঝতে পেরেছি। এই মুহূর্তে আপনজনরা যদি সাহস দিয়ে সেই মানুষটাকে সহযোগিতা করে অথবা একটু সজাগ সচেতন হয়ে টেনশনের মাত্রা একটু কমিয়ে রাখে তাহলে ভিকটিম সুস্থ থাকতে পারে। আর যখন মানসিক টেনশন নিয়ে একজন ব্যক্তি চলে তখন তার প্রিয় জন বা শুভাকাঙ্ক্ষিত মানুষেরা আরও টেনশন বাড়িয়ে দেয় তাহলে তার জন্য কঠিন মুহূর্ত পার হতে থাকে। কারণ এই বয়সের মানসিক চাপ তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। তার চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত করে আপনজনদের দেয়া বাড়তি টেনশন গুলো। আর এর ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে। বিশেষ করে প্রেসার ডায়াবেটিস হার্ট অ্যাটাক এছাড়াও গ্যাসের প্রবলেম তো হতেই পারে অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া বা দেরিতে কারণে। তাই সবার জন্য একটা পরামর্শ থাকবে। যে ব্যক্তি আপনার ফ্যামিলি মেইনটেইন করে অথবা সবাইকে নিয়ে সুন্দর সংসার করার চিন্তা করে অবশ্যই তাকে টেনশন মুক্ত রাখার চেষ্টা করবেন। আপনার কষ্ট হলেও তার কথাগুলো একটু মান্য করার চেষ্টা করবেন। দিনশেষে সে একজন মানুষ এবং একটি পরিবার মেইনটেইন করা ব্যক্তি। যে বেঁচে থাকলে আপনাদের লাভ যে সুস্থ থাকলে আপনাদের লাভ। তাই সে মানুষকে যতটা পারেন টেনশন ফ্রি রাখবেন। আর এটা যদি বুঝে না চলতে পারেন যে কোন মুহূর্তে সেই মানুষটাকে হারাবেন অথবা রোগাক্রান্ত করে ফেলবেন আপনাদের মূর্খ জ্ঞানের জন্য। তাই সময় থাকতে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা প্রয়োজন।




বিশেষ বিশেষ তথ্য


ব্লগিং ডিভাইসমোবাইল ফোন
বিষয়জেনারেল রাইটিং
আলোচনার বিষয়চিন্তাভাবনা ও টেনশন
আমার ঠিকানাগাংনী-মেহেরপুর
বর্তমান অবস্থানঢাকা সাভার
ফটোগ্রাফার ও ব্লগার@helal-uddin
ধর্মইসলাম
দেশবাংলাদেশ



7YHZyBadGPMGPpmSAvnvPWhbR1Eo9nKWN6xzUJNzgxziWYVj97UYc69tRU1c57mVzP13faqGYpEjuFHprQCfZqg6aqpXGjX5CvGtK4DeHp...9hpdsiq4Gci8DoxLdGGsuPNV6A9q1ix4kAGE8RYya7ZwRGxyiWRCNL76EtziJLHwwz9gTz9wqhHP85AxA5FDGdEEDbrQhMniBMZNWdC7GFjraWA5sNwAcGshuY.png


পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ij42VfeLLLL7WCxzYedv2KU7aUqHk3RNyfwHxuumhaYnHGG1dsqAWnhgxDavkADTEGBJEwSdb572op7FjANMqWxnMxgRucn6JYEH18dx32zBsGYg8oAuC5Quz1do2uNbdFiF3z6Lk1Hw8qJ8jcr6SQ85SbvCaLy5VUwHxx3SRmPnXqteex2eVHV2cAzT5iwMRSwwYpQBkt5B8W7bPzGLjyAxm.gif



আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।


IMG-20241121-WA0015.jpg




2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif


Sort:  
 4 days ago 

আমার আজকের টাস্ক

1000012230.jpg

1000012228.jpg