🌼নাটক রিভিউ || ফোর টুয়েন্টি || ০৪তম পর্ব🌼
আজ - রবিবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম ফোর টুয়েন্টি নাটকের ৩৪ পর্বের মধ্য থেকে ০৪ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
নাম | ফোর টুয়েন্টি |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | মুস্তাফা সরয়ার ফারুকী |
অভিনয়ে | লুৎফর রহমান জর্জ,মোশাররফ করিম,নুসরাত ইমরোজ তিশা,সোহেল খান,মারজুক রাসেল |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ৩৪ |
রিভিউ | ০৪ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৭ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @ChanneliClassictv চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম
- লুৎফর রহমান জর্জ,
- সোহেল খান
- নুসরাত ইমরোজ তিশা
- মারজুক রাসেল
এখানে বাড়িওয়ালা যার মাধ্যমে মন্টু এবং কেসলো কে বাসায় জায়গা দিয়েছিল। বিষুকে ডেকে নিয়ে বাড়িওয়ালা নানান রকম কথা শোনায়। বলেন নিজেই ঠিক মতো ভাড়া দিতে পারছ না আবার নিজের ভাগ্নিকে নিয়ে এসেছো। নিয়ে এসেছ ভালো কথা কিন্তু তারা বাসায় এসো সবার সাথে ঝামেলা করে। এসব বলেন নানান রকম কথা শোনাতে থাকে বিষুকে।
তারা কথা বলতে বলতেই অন্ত চলে আসলো। অন্তুকে বাড়িওয়ালা অনেক পছন্দ করে। অন্তু চলে আসার পর বাড়িওয়ালা আর কিছু বলে না মন্টুকে। তখন অন্তত মন্টুকে বলে তোরা দুজন এক হয়ে যা। কিন্তু মন্টু প্রথমে রাজি হয় না। তারপর অন্তু মন্টুকে ঝাড়ি দিল। ঝারি দেওয়ার পর অন্তু যার সাথে ঝামেলা করেছিল তারা দুজন ঝামেলা মিটিয়ে নিল।
কোন দিকে মন্টু আবার ছাদে চলে যাই। ছাদে গিয়ে দেখছে পাশের বাসার ছাদে একজন মেয়ে শাড়ি শুকাতে দিয়েছে। আর সেই শাড়িটি মন্টু নিতে চাই। তাই মনটু একটা বাঁশের সাহায্য নিয়ে শাড়িটি আগিয়ে নেই। কিছুক্ষণ পর মেয়েটার বাড়িতে চলে যাই শাড়ি নিয়ে। যে তার মাকে বলে আপনার মেয়ের শাড়ি আমাদের ছাদে এসে পড়ে গিয়েছিল। তাই আমি ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে এসেছি। মেয়েটির মা বলে তুমি আবার কষ্ট করে পরিষ্কার করতে গেছো কেন। মন্টু বলে আমি বাড়িতেও সবার জামাকাপড় ধুয়ে দেই। এজন্য আপনার মেয়ের শাড়ি ও ধুয়ে দিলাম। কথাবার্তা বলে মন্টু চলে আসলো।
এখানে অন্তুর টিমের লোকজন সবাই আড্ডা দিচ্ছিল। আড্ডা দিতে দিতে কিছুক্ষণ পর আবার কেসলো লোকে বলে তুই ১০০ পর্যন্ত গুণ। কিন্তু কেসলো তো পড়াশুনা জানে না।কেসলো পড়াশোনা না জানার কারণে ঠিকভাবে গুনতে পারছিল না। এই সমস্ত কথাবার্তা নিয়ে তারা বেশ হাসাহাসি করছিল।
পরে আবার একদিন মন্টু ছাদে যায়। ছাদে গিয়ে মেয়েটিও ছাদে দাঁড়িয়ে আছে। মন্টু বারবার মেয়েটির দিকে তাকিয়ে ছিল। তো মন্টুকে এক সময় আবার মেয়েটির ঝাড়ি দিয়ে কথা বলে। মেয়েটি বলে আপনার কি সমস্যা বারবার এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন। তারপর ওখান থেকে মেয়েটি চলে আসে।
চলে আসার পর তার মা তাকে বলে এমন রাগ করছিস কেন। তো মেয়েটি বলে রাগ করবো না তো কি বিয়ে করবো। ও বলে যে বারবার এভাবেই বিয়ে করি একবার তোমার পছন্দ একবার আমার পছন্দ একবার বাবার পছন্দ। এগুলা বলে মেয়েটি তার মায়ের সাথে রাগ করে। তারপর সে ছাদ থেকে নিচে চলে আসে। মেয়েটি চলে আসার পর মেয়েটির মা মন্টুকে জিজ্ঞেস করে কেমন আছো বাবা তুমি। মন্টু বলে ভালো আছি আন্টি আপনি কেমন আছেন। পরবর্তীতে মেয়েটির মা জিজ্ঞেস করে তোমার বাবা-মা সবাই কেমন আছে। এ সমস্ত কথা বলে তারা চলে আসে।
মন্টু আবার যে মেয়েটিকে পছন্দ করে তার আবার বিয়ে হয়েছে। কিন্তু সে ছেলে ভালো না। তাই মেয়েটি ছেলেটাকে ডিভোর্স দিতে চায়। তো ছেলেটা এসে বলে আমি আবার তোমাকে বিয়ে করতে চাই। ছেলেরা বলে যে আমি তোমাকে বিয়ে করব। কিন্তু তুমি বলছো আমি তোমাকে আবার বিয়ে করবো। তো মেয়েটি এই কথা বলার পর মেয়েটি আবার বলে আমি তোমাকে ডিভোর্স দিতে চাই। তো কথা শেষ করে ছেলেটাকে তাড়িয়ে দিল।
এ ধরনের নাটক দেখলে আসলে হাসি ধরে রাখা সম্ভব নয়।এমনি দাও আমি মোশারফ করিমের অনেক বড় ফ্যান। প্রতিনিয়তই তার নাটকের আশায় থাকি। তার মধ্যে থেকে এ নাটকটি ও আমার খুবই ভালো লেগেছে। নাটকের এই পর্বের সবচেয়ে ভালো লাগলো মন্টু যার সাথে ঝামেলা করেছিল তার সাথে আবার ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়া দেখে। আশা করি পরবর্তী পর্বে নাটকগুলো অনেক সুন্দর হবে।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আমার দেখা সেরা একটা নাটক ছিল এইটা। গ্রাম থেকে দুই ভাই এসে কীভাবে ধান্দাবাজি করে শহরের নেতাদের দলে ভীড়ে যায়। বেশ হাসির এই নাটক টা। পাশাপাশি বেশ শিক্ষনীয়। বেশ দারুণ রিভিউ দিয়েছেন ৪ তম পর্বের। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লাগল।।