অকুতোভয় সৈনিক (দ্বিতীয় পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


তুই এর ভেতরে যে কয়জন প্লেয়ার কে পারিস এক জায়গায় জড়ো কর। তখন সজীব সেখান থেকে চলে যায়। বাড়ির ভেতরে ফিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রিশাদ একটু বই নিয়ে বসে। তাকে বই নিয়ে বসতে দেখে তার মায়ের মন কিছুটা ভালো হয়। তখন রিশাদ চালাকি করে তার মাকে বলে। মা আমাকে তো এখন বাইরে যেতে হবে। সজিবদের বাড়িতে আমার একটা নোট বই রয়েছে। সেটা এখনই আনতে হবে। কারণ কালকে একটা ক্লাস টেস্ট আছে। সেই ক্লাস টেস্ট দেয়ার জন্য নোট টা খুবই প্রয়োজন। রিশাদের মা চিন্তা করতে থাকে তাকে কি বলবে?

Copy of What kinds of change steemit can bring in our society_20240814_234136_0000.png

কিন্তু তাকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই রিশাদ দৌড় দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। রিশাদ বাড়ি থেকে বের হয়েই সোজা খেলার মাঠে চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে সজীব বেশিরভাগ প্লেয়ার জোগাড় করে ফেলেছে। রিশাদ সেখানে পৌঁছাতেই সজীব জানায় বাদবাকি ২-৩ জন কিছুক্ষণের ভেতরেই মাঠে চলে আসবে। রিশাদ সবকিছুর জন্য সজীবকে ধন্যবাদ জানায়। খেলায় রিশাদদের দল জিতে যায়। আর দলের জয়ে রিশাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দুই গ্রামের ভিতর খেলা হওয়ায় বিকালে খেলার মাঠে প্রচুর দর্শক সমাগম হয়।

গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য সবাই রিশাদের অনেক প্রশংসা করে। কিন্তু তখন রিশাদের মনে অন্য চিন্তা কাজ করছিলো। কিভাবে সে বাড়িতে ঢুকবে সেটাই সে চিন্তা করছিলো। শেষ পর্যন্ত রিশাদ ধীরে ধীরে তার বাড়ির দিকে আগাতে থাকে। বাড়িতে ঢোকার আগে বেড়ার ফাঁক দিয়ে আগে দেখে নেয় তার মা কি করছে? সে উঁকি দিয়ে দেখে তার মা রান্নার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। সেই সুযোগে রিশাদ লুকিয়ে লুকিয়ে তার ঘরে ঢুকে সরাসরি পড়ার টেবিলে বসে জোরে জোরে পড়তে শুরু করে।(চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩