ঋণের লোভ
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের চারপাশের বিভিন্ন ধরন এবং বিভিন্ন রকম বিভিন্ন স্বভাবের মানুষ থাকে। অর্থাৎ আমাদের কারো স্বভাবের সাথে কিন্তু কারো স্বভাব মিলেনা। তাই কারো কারো অনেক রকমের বদ অভ্যাস রয়েছে। কারো কারো অনেক রকমের ভালোবাসা রয়েছে। অর্থাৎ সবকিছু মিলিয়েই মানুষ এখন মানুষের সংজ্ঞা দিতে গেলে আসলে হয়তো রাত ভোর হয়ে যাবে। কিন্তু তাও মানুষ এর সংজ্ঞা দেওয়া শেষ হবেনা। তাই সে চেষ্টা ও করছি না। আজকে আমি আসলে এক ধরনের মানুষকে নিয়ে কথা বলতে এসেছি। যাদের জীবনে দুঃখ দুর্দশার কমতি থাকে না।
কিছু কিছু মানুষ দেখবেন, যারা জীবনে অনেক সুখী জীবন যাপন করে অর্থাৎ জীবনে অনেক সুখ। আর এই যে তারা সুখী, তো তাদের জীবন ব্যবস্থা একটু খতিয়ে দেখলে দেখা যায় যে তাদের ঋণের বোঝা এতো বেশি যে। তারা অনেক মানুষ এর হক নষ্ট করে নিজে ভালো থাকছে। কারণ একটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন যে, ব্যাংক থেকে আমরা যেসব ঋণ নেই। সেসব কিন্তু কারো না কারো টাকা।
এবং আমরা যেই ঋণ নেই, সেই ঋণ গুলো যদি আমরা না নিতাম। তাহলে কিন্তু সেই টাকা দিয়া হয়তো ব্যাংক কোনো কাজে লাগাতে পারতো অর্থাৎ হ্যাঁ এখানে এটা ঠিক যে ঋণ থেকেও ব্যাংক লাভ করে। কিন্তু সে জন্য কিন্তু অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ অন্যের টাকা আমি নিয়ে জব্দ করে রেখেছি। এটা সত্যিই কোনো ভালো ব্যাপার নয়।
তার চেয়েও ভয়ংকর ব্যাপার হলো, আমি এমন কিছু মানুষ চিনি এবং দেখেছি যাতে লোন করাটাই একটা ব্যবসা এর মতোন।অর্থাৎ তারা একটা ব্যবসা পর্যন্ত গড়ে তোলে, শুধু মাত্র লোন নেওয়ার জন্য। এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্যবসা খুলতে থাকে। যাতে তারা নতুন নতুন ব্যবসা দেখিয়ে ঋণ নিতে পারে। এই ধরনের ঋণের লোভ যারা করে। তাদের বেশিরভাগ মানুষ এর জীবন আসলে অনেক কষ্টে কাটে অর্থাৎ শেষ বয়সে। তাই আমি মনে করি যাদের এই যে ঋণ করার অভ্যাস হয়েছে। তাদের সে অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসা উচিত।
এরকম বাজে অভ্যাস গুলি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কেননা যে সকল মানুষগুলো লোন নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে প্রতিনিয়ত ঋণ নিয়ে যায় শুধুমাত্র ক্ষণিকের ভালো থাকার জন্য একটা সময় দিয়ে তাদের এই কৃতকর্মের ফল তাদের ছেলেমেয়েদের উপরে বর্তায়। অনেক সময় দেখা যায় তারা মানুষকে ঠকিয়ে ভালো থাকতে চায়। আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি এরকম মন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে প্রত্যেকের।