ফ্রেন্ডস উইথ বেনেফিট

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg


আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট এই কথাটি এক লাইনে বলেই সমাপ্ত করে দেওয়া যায়। শুনতেও যে খুব একটা আহামরি লাগে, তা নয় কিন্তু এই কথাটির একেবারে চরম বিরোধিতা আমি করি। কারণ ফ্রেন্ড হয় নিঃস্বার্থ। অর্থাৎ ঠিক আছে একটা ব্যাপার যে আমরা ফ্রেন্ডের জন্য জান দিতেও রাজি। অর্থাৎ ফ্রেন্ড সব সময় আমাদের উপকারে লাগে এই ব্যাপারগুলো আলাদা। ফ্রেন্ড আমাদের উপকারে লাগে, কারণ তারা আমাদের ফ্রেন্ড বলে। কিন্তু উপকারের দরকার বলে, কাউকে ফ্রেন্ড বানাবো কিংবা কেউ আমাকে উপকারে লাগে বলে আমাকে ফ্রেন্ড বানাবে। এই ব্যাপার গুলোর চরম বিরোধিতা করি আমি।

কারণ ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট মানে হলো পুরোপুরিভাবেই স্বার্থপরতা। কারণ আমি শুধুমাত্র আমার স্বার্থের জন্য কিংবা আমি শুধুমাত্র তার স্বার্থের জন্য হয় আমি ব্যবহার হবো। না হয় সে ব্যবহার হবে। কিন্তু একটা মানুষকে আসলে একটা মানুষের সাথে যখন সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়। তখন কিন্তু স্বার্থটাকে সাইডে রেখে সেই সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়। কারণ স্বার্থ আসার পরে আগে আসে নিজের মনের মিল কিংবা ভালোবাসা। আর যেখানে ভালোবাসা শ্রদ্ধা এসব থাকে। সেখানে চলে হেল্প করা কিংবা হেল্প পাওয়ার ব্যাপারগুলো চলে আসে। কিন্তু শুধুমাত্র হেল্প পাওয়ার আশায়, কোনো কিছু পাওয়ার আশায় ফ্রেন্ড তৈরি করার কোনো মানেই হয় না।

কিন্তু বর্তমানে আমাদের সমাজে এই ধরনের ফ্রেন্ডশিপ বেশি দেখা যায়। অর্থাৎ তারা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থের খাতিরেই ফ্রেন্ড তৈরি করে। নিজেদের স্বার্থের খাতিরে অন্যের ফ্রেন্ড হয়। অর্থাৎ তাদের মধ্যে না আছে কোনো মনের টান, না আছে কোনো ব্যক্তিত্বের মিল কিংবা শ্রদ্ধা। আমি এমন মানুষও দেখেছি, যারা শুধুমাত্র ফ্রেন্ডশিপ রক্ষা করে নিজেদের স্বার্থের জন্যই। ওই যে বললাম ফ্রেন্ড ফর বেনিফিটস।

ABB.gif