বাবা-মায়ের ট্যুরের বিরোধিতা!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
বেশ কয়েকদিন আগে হুট করেই ট্যুরে যাওয়ার পরে একটা ছেলে মিসিং হয়ে যায়। তাও একেবারে খুব অদ্ভুতভাবে মিসিং হয়। অর্থাৎ তার মিসিং হওয়ার কোনো সত্যতা কিংবা মিথ্যে কোনো কিছুই ধরা যাচ্ছিলো না। কারণ তার সাথে যারা গিয়েছিলো, তাদের বক্তব্য ছিলো সকলের একই।
সেই বক্তব্যটি হলো যে, ওই ছেলে নাকি হুট করেই পাথরের উপর এ বসা অবস্থা থেকে হারিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ তারা যেটা বলতে চাইছিলো, সেটা হলো উধাও হয়ে গিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত নানা ঝামেলা, ঝঞ্ঝাট, পুলিশ ইত্যাদির পরে যেটা জানা গেলো। সেটা হলো ওই ছেলেটির লাশ দুই থেকে তিনদিন পরে হাঁটু সমান পানিতে ভেসে উঠেছে।
আর এটি বিশেষ কথা হলো, সেখানে ডুবে যাওয়ার মতোন কোনো পানি ছিলো না। অর্থাৎ শুধুমাত্র হাঁটু সমান পানি ছিলো। যেখানে একটা মানুষের ডুবে মরে যাওয়া একেবারে অসম্ভব ব্যাপার। আজকের এই ঘটনাটি আপনাদের সাথে কিছুটা এক্সপ্লেইন করলাম আমার টপিক নিয়ে কথা বলার জন্য। অর্থাৎ বাবা মায়েদের একটা ব্যাপার সব সময় খেয়াল করলে দেখবেন যে, তারা যেকোনো ট্যুর এর নাম শুনলেই রেগে যায়।
এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। কিন্তু আমি নিজেও বুঝতে পারছি যে কেনো বাবা-মায়েরা আসলে বন্ধুদের সাথে অনেক দূরে ঘুরতে যেতে দিতে চায় না। কারণ এই যে এই ধরনের ঘটনাগুলো আমাদের মনকে বিশেষ করে বাবা মায়েদের মনকে এতোটা সংকুচিত করে দেয়। যে তারা আসলে তাদের ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে এই ভয় গুলো পেতে বাধ্য হয়। অর্থাৎ আমরা যে সব সময় আমাদের বাবা-মায়েদের উপরে এই বিষয়গুলো নিয়ে রাগ করি। যে তারা কেনো আমাদের দূরে কোথাও, বাইরে কোথাও যেতে দেয় না। এটা আসলে আমরা হয়তো বুঝতে পারি না। কিন্তু এই ছোট একটা ঘটনা তে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। ছোট ঘটনা বলতে আমি লিখেছি ছোট করে। কিন্তু ঘটনাটির প্রশস্ততা কতো বেশি সেটা নিশ্চয়ই আপনারা উপলব্ধি করতে পারছেন।