সমাজমাধ্যমে পুঁজি যখন সন্তান!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে পেপার পড়ছিলাম সকালবেলা উঠেই, যেহেতু আমার ইউনিভার্সিটি বন্ধ ছিলো। হঠাৎ করেই পেপারের একটা লাইনে আমার চোখ আটকে গিয়েছিলো।আর লাইনটা হলো, আমি টাইটেলে যেই লাইনটি লিখেছি সেই লাইনটি। অর্থাৎ সমাজমাধ্যমে পুঁজি যখন সন্তান। প্রথমে আমি লাইনটি ঠিক ভালোভাবে বুঝতে পারিনি। তবে হেডলাইনটি অনেকটা আকর্ষণীয় লাগাতে আমি পুরো লেখাটি পড়া শুরু করলাম।
পুরো লেখাটা পড়া শেষ করার পরে আমি আসলে যেটা উপলব্ধি করলাম যে, এটা একেবারে আমাদের কাছে নতুন কোনো লেখা নয়। অর্থাৎ এই ব্যাপারটা আমরা আমাদের চোখের সামনে দেখে আসছি বহু দিন কিংবা বহু মাস ধরে। বহু বছর বলবো না। কারণ এই ট্রেন্ডটা আসলে বহু বছরের নয়। যদি বলি রিসেন্টলির ঘটনা তাহলে সেটা মানানসই হচ্ছে।
এখন অনেকে হয়তো আপনারা ভাবছেন যে আসলে এই কথাটির মানে কি? তাহলে আমি একটু নিজের মতো করেই ব্যাপারটির বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তাহলে আসলে আপনারাও বুঝতে পারবেন যে, কথাটির সত্যতা অনেকখানি।
আমরা এখন হরহামেশাই কিন্তু দেখি যে বাচ্চার বাবা মায়েরা তাদের বাচ্চাদেরকে দিয়ে লাইভে আসছে। তাদের বাচ্চাদের বিভিন্ন ভিডিও ভাইরাল করছে। এমনকি আমরা এটাও দেখি যে, কিছু ছোট ছোট বাচ্চা এতো অল্প বয়সে এতো বেশি পাকনামি করে। যেটা অসম্ভব দৃষ্টি কটু লাগে, অন্তত আমার কাছে লাগে।
তারা তাদের এই নিষ্পাপ ছোট বাচ্চাদেরকে অভিনয় শিখায়। তারা তাদের এই নিষ্পাপ ছোট্ট বাচ্চাদেরকে ধর্মীয় শিক্ষা না দিয়ে, সামাজিক শিক্ষা না দিয়ে, পড়াশোনা না শিখিয়ে! কিভাবে টিকটকে নাচানাচি করবে কিংবা কিভাবে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে, কিভাবে ন্যাকামি করে কথা বলবে সেসব শিখায়। আর এসব শিখানোর একটা মাত্র কারণ হলো ভিউ এবং ভিউ এর মাধ্যমে পাওয়া টাকা।
চিন্তা করতে পারেন! আমরা আসলে কোন জেনারেশনে এসে পৌঁছেছি! যে জেনারেশনের বাবা-মা তাদের সন্তানদেরকে পুঁজি করে টাকা ইনকাম করে। শুধুমাত্র টাকার লোভে তাদের নিষ্পাপ বাচ্চাটিকে ছেড়ে দেয় দুনিয়ার হাতে। এদের দেখলে আসলে নিজেদের বাবা-মাকে বর্তমানের সবচেয়ে ভালো মানুষ হিসেবেই মনে হয়। কারণ আমরা কি সুন্দর একটা পরিবেশে ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছি। কি সুন্দর শাসন, কি সুন্দর পরিবেশ। কিন্তু এখনকার বাচ্চাদের অবস্থা একেবারে শোচনীয়। বর্তমানে বাবা-মায়েরা কি করে বাচ্চাদেরকে নিয়ে শো অফ করে টাকা ইনকাম করবে, শুধু সেই ভাবনায় মত্ত। ব্যাপারটি সত্যিই আমার কাছে অসম্ভব ভয়ঙ্কর মনে হয়েছে।