সবার আগে যোগ্যতা!
22-03-2025
০৮ চৈত্র , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২ রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই হলো প্রধান বিষয়। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মাঝে মাঝে ভালো থাকা কঠিন। কয়েকদিন ধরে সোস্যাল মিডিয়াতে দেখতে পাচ্ছি অযোগ্যদের যোগ্যতার চেয়ারে বসানোর পায়তারা চলছে। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান অবস্থার কথা যদি বলি তাহলে বলতে গেলে বেশ নাজুক অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষার কাঠামোর ব্যাপক পরিসরে পরিবর্তন আনা দরকার। আপনারা হয়তো জানেন আমি একজন ইলকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা করা স্টুডেন্ট! আর ডিপ্লোমাধারীরা সরকারি জবগুলাতে সাব এসিসট্যন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আবেদন করতে পারে। এর পাশাপাশি পলিটেকনিক এ জুনিয়র ইন্সট্রাকটর হিসেবে নিয়োগ হতে পারে।
এখন কথা হচ্ছে বাংলাদেশের ডিপ্লোমাধারীরা ন্যূনতম জ্ঞান থাকে ডিপার্টমেন্ট রিলেটেড কাজ সম্পর্কে। এই যেমন ধরেন আমি ইলেকট্রিকাল এর ছাত্র। আমার ন্যূনতন আইডিয়া হলেও রয়েছে ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট সম্পর্কে। এখন একজন জেনারেল থেকে এইস এস সি বা মাস্টার্স করা কাউকে যদি সার্কিটের কাজ করাতে চান তাকে দিয়ে তাহলে সেটা কি আদৌ সম্ভব হবে! ইতোমধ্যে লক্ষ্য করছি পলিটেকনিক গুলাতে ক্রাফট এসিসট্যন্ট যারা তারা জুনিয়র এসিসট্যন্ট হিসেবে নিয়োগ চাইছে! এখন কথা হচ্ছে ক্রাফট এসিসট্যন্ট কারা আসলে? ক্রাফট এসিসট্যন্ট মূলত তারাই যারা ল্যাবে কাজ করে পলিটেকনিক গুলাতে। মানে তাদেরকে ল্যাব এসিসট্যন্ট বলা যেতে পারে।
জেনারেল থেকে পাশ করে তারা ক্রাফট এসিসট্যন্ট এ নিয়োগ পেয়ে থাকেন! এখন তারা চাইছে জুনিয়র এসিসট্যন্ট হিসেবে ক্লাস নিতে! আমার কথা হলো তারা এইস এস সি বা অনার্স পাশ করা স্টুডেন্ট তাদেরকে দিয়ে কোনো একটা ডিপার্টমেন্ট এর ক্লাস কিভাবে নিবেন আপনি?? তার মধ্যে আদৌ কি সে যোগ্যতাটুকু রয়েছে ডিপার্টমেন্ট রিলেটেড ক্লাস নেয়ার। জুনিয়র ইন্সট্রাকটর যারা তারা ডিপার্টমেন্ট রিলেটেড ক্লাস নিয়ে থাকে। কিন্তু তাদেরকে জুমিয়র ইন্সট্রাকটর বানানো হলে তারা ক্লাস নিবে কি করে এটা আমার মাথায় আসে না কোনোভাবে!
ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সকল পলিটেকনিক এর শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে। আমি যেহেতু একজন ডিপ্লোমা ব্যাকগ্রাউন্ড স্টুডেন্ট তাদের এই ক্লাস বর্জনকে সাধুবাদ জানাই! কারণ অযোগ্যদের দিয়ে হাল চাষ ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব না। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জনগণ তা ভালোভাবেই টের পেয়েছে। ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা এমনিতেই অবহেলিত বলা যেতে পারে। কারণ একজন জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ড এর শিক্ষার্থীকে যে সম্মানটুকু দেয়া হয় এদেশে একজন ডিপ্লোমাধারী শিক্ষার্থীকে দেয়া হয় না। তবে আমি বিশ্বাসকরি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট জ্ঞানী ও মেধাবী এবং তাদের কো কারিকুলাম এক্টিভিটিজ যথেষ্ট ভালো।
তবে বাংলাদেশে আমি মনে করি প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞানকে অধিক নজর দরকার! একাডেমিক কেন্দ্রিক লেখাপড়া করে বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের মগজ ধুলাইটাই বেশি হয়। আপনি যদি কোনো প্র্যাকটিক্যাল কাজ করেন। আমি বিশ্বাড করি কখনো অন্তত বেকার থাকতে হবে না। আমি এমনও দেখেছি যারা অনার্স মাস্টার্স শেষ করে বেকার বসে আছে চাকরির জন্য। চাকরি পাচ্ছে না। একের পর এক জবের পরীক্ষা দিয়েই যাচ্ছে। এখন আপনি যদি একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি যেকোন দক্ষতা শিখে রাখতেন তাহলে আপনার জন্য চাকরি পাওয়াটা সহজ হতো। সেদিক থেকে আমি বলবো ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা এগিয়ে থাকবে।
যারা ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় প্র্যাকটিক্যাল কাজগুলো ভালোভাবে করেছে আমি বিশ্বাস করি তারা কেউ বেকার বসে নেই।কোনো না কোনো কাজ তারা করছে। কারণ প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান আপনার কাজে লাগবেই জীবনের কোনো না কোনো ক্ষেত্রে। বর্তমানে যে সংকট পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে আশা করছি সেটার সমাধান হবে। আর বাংলাদেশের মানুষ এখন যথেষ্ট সচেতন আগের থেকে। অযোগ্যদের ঠাইঁ অদূর ভবিষ্যৎ এ বড় কোনো চেয়ারে হবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। পাশাপাশি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক! ল্যাব এটেন্ডেন্স থেকে জুনিয়র ইন্সট্রাকটর হওয়া কখনোই সম্ভব না। এতে শিক্ষার অবনতি ছাড়া কোনো কিছুই আশা করা যায় না।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share
ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের যোগ্যতার মূল্যায়ন করা উচিত, কারণ তাদের হাতে-কলমে শেখা দক্ষতা বাস্তব ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞানকে গুরুত্ব না দিয়ে অযোগ্যদের দায়িত্ব দেওয়া শিক্ষার মান নষ্ট করবে। যোগ্যদের প্রাপ্য সম্মান ও সুযোগ দেওয়া উচিত। শিক্ষার্থীদের দাবি ন্যায্য এবং এ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।