কথার চেয়ে কাজের দাম বেশি
17-06-2025
০৩ আষাঢ় , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আসলে জীবনের রুটিন হুট করে পরিবর্তন হলে সেটার সাথে মানিয়ে কষ্ট হয়। সবারি এমন হওয়ার কথা যাদের নতুন কোনো রুটিন মেনে জীবনে চলতে হয়। আমার বেলায় ও তাই হচ্ছে। সকাল আটটা থেকে ভার্সিটি বিকাল চারটা অবধি! মাঝখানে কিছু সময়ের জন্য ব্রেক। একটা নতুন রুটিন যেন প্রতিনিয়ত ফলো করতে হচ্ছে। পড়ার অনেক চাপ আবার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। তো সবমিলিয়েই আসলে জীবন। জীবনে চাপ থাকবে, ব্যস্ততা থাকবে তবুও জীবন চলতে থাকবে জীবনের নিয়মে।
তো আজকে কথা বলবো কথার চেয়ে কাজের দাম বেশি নিয়ে। অনেক মানুষ আছে যারা একটু বেশি কথা বলে প্রকৃতির। তারা সবসময় মানুষকে জ্ঞান দিতেই বেশি পছন্দ করে। কে কি করলো এসব নিয়েই পরে থাকে। কিন্তু দিনশেষে দেখা যায় তাদের উপার্জন শূন্য। মানুষ আসলে এসব দেখবে না যে আপনি কতো বেশি কথা বলেছেন! কাজ না করে বসে থেকেছেন। দিনশেষে মানুষ ফলাফলটাই দেখতে চাই। আপনার ফলাফলটা আসলে কি! আপনি কথা বলে হয়তো মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখতে পারবেন। কিন্তু এতে আপনার লাভই বা কি হলো! আপনি যদি কথা কম বলে সেটা কাজে এক্সিকিউট করতেন তাহলে সেটার ফলাফল পেতেন খুব তাড়াতাড়ি।
ধরুন, আপনি একটা অফিসে কাজ করুন। আপনি বারবার আপনার অফিসের বসকে কথা বলে থামায় রাখছেন। কাজ করার বেলায় কোনো না কোনো অযুহাত দিচ্ছেন অফিসের বসকে। যে কাজটা দশ মিনিটে করে ফেলা সম্ভব। সেটা আপনি দুদিনেরও বেশি সময় লাগাচ্ছেন সম্পন্ন করতে। মানে হচ্ছে আপনি কাজের সময় কাজের কাজ না করে কথা বেশি বলে ফেলেন। যেটা আপনার অফিসে থাকা কারো পছন্দের না। হয়তো কেউ মুখ ফুটে আপনাকে বলতে পারছে না কিন্তু বাস্ত সত্য হলো এটাই! আপনার অফিসের বসও কিন্তু আপনার উপর রেগে আছে। কারণ আপনি কাজ করছেন না যথাসময়ে। এখন একজন অফিসের মালিক আপনার মতো লোককে কেন সে রাখবে? আপনাকে দিয়ে কোম্পানির আলটিমেটলি কোনো লাভই হচ্ছে না! আপনার অফিসের বস আপনাকে অফিস থেকে চাকরিচ্যুত করতে দ্বিতীয়বার ভাববে না।
বাস্তব জীবনে কাজের গুরুত্ব অনেক। সবাই চাই কাজ! কেউ আসলে চাই না কথা! আর সত্য কথা হলো আপনার দ্বারা যখন কাজ হবে না কোনো তখন আপনি বুঝা হয়ে যাবেন। যেমনটা মানুষ বয়স্ক হলে হয়। কারণ তখন তো তার বয়স বেশি হয়ে যায়। তাকে দিয়ে এখন আর কোনো কাজ করা যাবে না। এখন তাকে পরিবারের কাছেও বুঝা মনে হবে। আবার দেখেন চাকরিক্ষেত্রে, মানুষের একটা নির্দিষ্ট বয়স সীমা থাকে চাকরি করার। একটা সময় পরে তাকেও চাকরি থেকে রিটায়ার্ড নিতে হয়। তাকে আর প্রয়োজন নেই! এখন সে প্রতিষ্ঠানটির দরকার কর্মক্ষম জনবল! যাকে দিয়ে পাচঁজনের কাজ করানো যাবে! এই যে কাজের ধারা এটা কিন্তু চলতেই থাকবে। আপনি যদি ইয়াং হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এখনই কর্মক্ষম হওয়া জরুরি!
তো কথার চেয়ে কাজের মাধ্যমেই নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। নিজের সাথে লড়াই করতে হবে। কারণ প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে কাজের কোনো বিকল্প নেই! সবাই এখন চাই দক্ষ জনবল। আর সেজন্য দরকার নিজেকেও দক্ষতায় গড়ে তোলা। কথা কম বলে কাজের দিকে বেশি মনোযোগ দেয়া। আর কাজই আপনাকে ডিফাইন করবে আপনি অদূর ভবিষ্যৎ এ কোথায় যাবেন। এজন্য আমাদের কাজ করতে হবে বেশি বেশি। কথার মাধ্যমে না জিতে কাজের মাধ্যমেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এবং কাজ করার মাধ্যমে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟